ঢাকা ০৯:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মিসাইল সাথে রাখলেও আমি, আপনি কেউই নিরাপদ নই: উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ শেরপুরের হলদীগ্রাম সীমান্তে ২৭৬ বোতল ভারতীয় মদ জব্দ পাকিস্তান ও ভারতে বন্যা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি, মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে ৭৯ সাবেক মন্ত্রী নুরুজ্জামান ও তার স্ত্রীর স্থাবর সম্পদ জব্দ, ৫৭টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ শিক্ষার্থীদের জন্য সরকারি দপ্তরে পার্টটাইম চাকরির উদ্যোগ ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত রাজনৈতিক কর্মসূচিতে শান্তি বজায় থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নোয়াখালীতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে যাওয়া এক বিধবাকে গণধর্ষণ লক্ষ্মীপুরে ছেলের হাতে বৃদ্ধ পিতা খুন, ছেলে আটক পাকিস্তান-চীন উদ্যোগে নতুন আঞ্চলিক জোট গঠনের ইঙ্গিত, রয়েছে বাংলাদেশও শেখ হাসিনার মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার যথাসময়ে শেষ হবে: চিফ প্রসিকিউটর

ঈদযাত্রায় নৌপথে দুর্ঘটনা রোধ করতে ২ সপ্তাহ বাল্কহেড চলাচল বন্ধের দাবি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:১১:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫
  • / 51

ছবি সংগৃহীত

 

পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে নৌপথে দুর্ঘটনা রোধে আগামী ২৫ মার্চ থেকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত ১৪ দিন বালুবাহী নৌযান (বাল্কহেড) চলাচল নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে শিপিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন রিপোর্টার্স ফোরাম (এসসিআরএফ) এবং নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি।

বুধবার এক যৌথ বিবৃতিতে সংগঠন দুটির পক্ষ থেকে অবৈধ ও অননুমোদিত নৌযানের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান পরিচালনারও আহ্বান জানানো হয়। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন জাতীয় কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ শহীদ মিয়া ও এসসিআরএফ-এর সাধারণ সম্পাদক লায়ন মো. জাহাঙ্গীর আলম। তারা নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়, নৌ পরিবহন অধিদপ্তর, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ), নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ডের কাছে এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।

সংগঠন দুটির নেতারা বলেন, বাল্কহেডের অনিয়ন্ত্রিত চলাচলের কারণে নৌপথে দুর্ঘটনা বাড়ছে এবং যাত্রীবাহী নৌযান ডুবে বহু প্রাণহানি ঘটছে। নিয়ম অনুযায়ী, সূর্যাস্ত থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত বাল্কহেড চলাচল নিষিদ্ধ। কিন্তু বাস্তবে প্রশাসনের নজরের সামনেই রাতে শত শত বাল্কহেড চলাচল করছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, দেশে নিবন্ধিত নৌযানের সংখ্যা প্রায় ১৫ হাজার হলেও বাস্তবে বিভিন্ন ধরনের নৌযান রয়েছে অন্তত ৮৫ হাজার। এর মধ্যে ৭০ হাজারই অনিবন্ধিত, যার মধ্যে প্রায় ছয় হাজার বাল্কহেড। নিবন্ধিত নৌযানের মধ্যে বছরে মাত্র আট হাজারের ফিটনেস পরীক্ষা হয়, বাকি সাত হাজার ফিটনেসবিহীন নৌযান অবাধে চলাচল করছে। অথচ নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর নৌ পরিবহন অধিদপ্তর ও বিআইডব্লিউটিএর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নাকের ডগায় এসব হচ্ছে, কিন্তু কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।

সংগঠন দুটি স্পষ্টভাবে বলেছে, সনদবিহীন চালক ও অবৈধভাবে নৌযান পরিচালনার সুযোগ দেওয়া সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও নৌযান মালিকদেরও আইনের আওতায় আনতে হবে। সেই সঙ্গে জনস্বার্থে জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশকেও এ কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করার দাবি জানানো হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ঈদযাত্রায় নৌপথে দুর্ঘটনা রোধ করতে ২ সপ্তাহ বাল্কহেড চলাচল বন্ধের দাবি

আপডেট সময় ০৫:১১:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫

 

পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে নৌপথে দুর্ঘটনা রোধে আগামী ২৫ মার্চ থেকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত ১৪ দিন বালুবাহী নৌযান (বাল্কহেড) চলাচল নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে শিপিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন রিপোর্টার্স ফোরাম (এসসিআরএফ) এবং নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি।

বুধবার এক যৌথ বিবৃতিতে সংগঠন দুটির পক্ষ থেকে অবৈধ ও অননুমোদিত নৌযানের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান পরিচালনারও আহ্বান জানানো হয়। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন জাতীয় কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ শহীদ মিয়া ও এসসিআরএফ-এর সাধারণ সম্পাদক লায়ন মো. জাহাঙ্গীর আলম। তারা নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়, নৌ পরিবহন অধিদপ্তর, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ), নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ডের কাছে এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।

সংগঠন দুটির নেতারা বলেন, বাল্কহেডের অনিয়ন্ত্রিত চলাচলের কারণে নৌপথে দুর্ঘটনা বাড়ছে এবং যাত্রীবাহী নৌযান ডুবে বহু প্রাণহানি ঘটছে। নিয়ম অনুযায়ী, সূর্যাস্ত থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত বাল্কহেড চলাচল নিষিদ্ধ। কিন্তু বাস্তবে প্রশাসনের নজরের সামনেই রাতে শত শত বাল্কহেড চলাচল করছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, দেশে নিবন্ধিত নৌযানের সংখ্যা প্রায় ১৫ হাজার হলেও বাস্তবে বিভিন্ন ধরনের নৌযান রয়েছে অন্তত ৮৫ হাজার। এর মধ্যে ৭০ হাজারই অনিবন্ধিত, যার মধ্যে প্রায় ছয় হাজার বাল্কহেড। নিবন্ধিত নৌযানের মধ্যে বছরে মাত্র আট হাজারের ফিটনেস পরীক্ষা হয়, বাকি সাত হাজার ফিটনেসবিহীন নৌযান অবাধে চলাচল করছে। অথচ নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর নৌ পরিবহন অধিদপ্তর ও বিআইডব্লিউটিএর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নাকের ডগায় এসব হচ্ছে, কিন্তু কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।

সংগঠন দুটি স্পষ্টভাবে বলেছে, সনদবিহীন চালক ও অবৈধভাবে নৌযান পরিচালনার সুযোগ দেওয়া সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও নৌযান মালিকদেরও আইনের আওতায় আনতে হবে। সেই সঙ্গে জনস্বার্থে জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশকেও এ কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করার দাবি জানানো হয়েছে।