ঢাকা ০৩:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ মার্চ ২০২৫, ২২ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সহায়তা বন্ধ, ইউক্রেনের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর ভারতের মানচিত্রে অন্তর্ভুক্তি আমাদের লক্ষ্য: জয়শঙ্কর ব্রিসবেনে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘আলফ্রেড’ এর আগমন: সতর্কতায় স্তব্ধ শহর ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্করের ওপর হামলার চেষ্টা, যুক্তরাজ্যে চাঞ্চল্য যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অবস্থানে থাকা বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু সম্পদের হিসাব না দেওয়া কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়া চলছে: জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কুমিল্লার গোমতী চরের মিষ্টিকুমড়ার বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি প্রতিদিন কাঁচা রসুন খাওয়ার উপকারিতা ফেব্রুয়ারিতে রেমিট্যান্সের রেকর্ড, যুক্তরাষ্ট্র শীর্ষে বাংলাদেশের ক্ষমতা পরিবর্তন নিয়ে মোদি সরকারের ভাবনা যুক্তরাষ্ট্রের চেয়েও বেশি: সাবেক রাষ্ট্রদূত ড্যানিলোভিজ

অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিলেন সি আর আবরার

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি সংগৃহীত

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ও মানবাধিকারকর্মী চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার) আজ অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন। বঙ্গভবনে, বুধবার বেলা ১১টার দিকে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে তিনি শপথ করেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. শেখ আবদুর রশীদ শপথ অনুষ্ঠানের সঞ্চালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

এবার সি আর আবরার শিক্ষা উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। বর্তমানে শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। সি আর আবরার দায়িত্ব গ্রহণের পর, ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ শুধুমাত্র পরিকল্পনা উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করবেন।

এই পরিবর্তন সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম গতকাল এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানান, তারা আশা করছেন সি আর আবরার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। দীর্ঘদিন ধরে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ দুটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব একসাথে রাখার বিষয়টি চাচ্ছিলেন না। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় অত্যন্ত বড় একটি মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাজও বড়, যা একসাথে পরিচালনা করা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। তাই সি আর আবরারের আগমন সরকারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর শেখ হাসিনা সরকারের পতনের মুখে, ৮ আগস্ট অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। এরপর বিভিন্ন সময়ে নতুন নতুন উপদেষ্টা নিয়োগ দেওয়া হয় এবং বর্তমানে ২৩ সদস্যবিশিষ্ট অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ সক্রিয় রয়েছে।

এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়, যখন সরকারের নতুন উপদেষ্টার পদে দায়িত্ব গ্রহণের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনাকে আরও দক্ষ এবং সমন্বিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০২:২০:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫
৫০৯ বার পড়া হয়েছে

অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিলেন সি আর আবরার

আপডেট সময় ০২:২০:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ও মানবাধিকারকর্মী চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার) আজ অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন। বঙ্গভবনে, বুধবার বেলা ১১টার দিকে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে তিনি শপথ করেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. শেখ আবদুর রশীদ শপথ অনুষ্ঠানের সঞ্চালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

এবার সি আর আবরার শিক্ষা উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। বর্তমানে শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। সি আর আবরার দায়িত্ব গ্রহণের পর, ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ শুধুমাত্র পরিকল্পনা উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করবেন।

এই পরিবর্তন সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম গতকাল এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানান, তারা আশা করছেন সি আর আবরার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। দীর্ঘদিন ধরে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ দুটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব একসাথে রাখার বিষয়টি চাচ্ছিলেন না। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় অত্যন্ত বড় একটি মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাজও বড়, যা একসাথে পরিচালনা করা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। তাই সি আর আবরারের আগমন সরকারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর শেখ হাসিনা সরকারের পতনের মুখে, ৮ আগস্ট অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। এরপর বিভিন্ন সময়ে নতুন নতুন উপদেষ্টা নিয়োগ দেওয়া হয় এবং বর্তমানে ২৩ সদস্যবিশিষ্ট অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ সক্রিয় রয়েছে।

এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়, যখন সরকারের নতুন উপদেষ্টার পদে দায়িত্ব গ্রহণের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনাকে আরও দক্ষ এবং সমন্বিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।