ঢাকা ০৩:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের পরবর্তী শুনানি ৭ জুলাই শহীদ আবু সাঈদের মায়ের দোয়া নিয়ে এনসিপির জুলাই পদযাত্রা শুরু জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মাসব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধনীতে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ বছর ঘুরে ফিরে আসলো গণঅভ্যুত্থানের সেই রক্তাক্ত জুলাই পারমাণবিক আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের নিশ্চয়তা চান ইরান: ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলাই অভ্যুত্থান স্মরণে আজ মাসব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা ১৮ জুলাই পালিত হবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিরোধ দিবস: প্রেসসচিব ক্লাব বিশ্বকাপে ইতিহাস গড়ে ম্যানসিটি বিদায় করে কোয়ার্টারে আল হিলাল নির্বাচন হবে আগামী বছরের শুরুতে : মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রধান উপদেষ্টা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ গঠনের শুনানি আজ

গোমার দুটি হাসপাতাল থেকে ১৩০ জন রোগী অপহরণ: পূর্ব কঙ্গোতে এম২৩ বিদ্রোহীদের বর্বর আক্রমণ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:০৯:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫
  • / 46

ছবি সংগৃহীত

 

পূর্ব কঙ্গোর গোমা শহরের দুটি হাসপাতাল থেকে রুয়ান্ডা-সমর্থিত এম২৩ বিদ্রোহীরা গত সপ্তাহে কমপক্ষে ১৩০ জন অসুস্থ ও আহত পুরুষকে অপহরণ করেছে। জাতিসংঘ সোমবার এই ভয়াবহ তথ্য প্রকাশ করেছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিসের মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, এম২৩ যোদ্ধারা ২৮ ফেব্রুয়ারি রাতে গোমার দুটি হাসপাতাল আক্রমণ করে। প্রথম হাসপাতালে ১১৬ জন এবং দ্বিতীয় হাসপাতালে ১৫ জন রোগীকে অপহরণ করা হয়।

অপহৃতদের মধ্যে বেশিরভাগই ডিআর কঙ্গোর সেনা বা সরকারপন্থী মিলিশিয়া ‘ওয়াজালেন্দো’ এর সদস্য বলে ধারণা করা হচ্ছে। শামদাসানি এই ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “এম২৩ যোদ্ধারা রোগীদের হাসপাতালের বিছানা থেকে তুলে নিয়ে যায় এবং অজ্ঞাত স্থানে আটকে রাখে, যা অত্যন্ত নিন্দনীয়।” তিনি এসব ব্যক্তির অবিলম্বে মুক্তি দাবি করেছেন।

এম২৩ বিদ্রোহীরা জানুয়ারির শেষে গোমা শহরে অভিযান শুরু করে এবং এরপর পূর্ব কঙ্গোতে ব্যাপক অগ্রগতি অর্জন করে। তারা গুরুত্বপূর্ণ এলাকা দখল করে এবং মূল্যবান খনিজ সম্পদ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনে। এই অগ্রযাত্রা কঙ্গোর পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে, যা ১৯৯৪ সালের রুয়ান্ডা গণহত্যা এবং কঙ্গোর খনিজ সম্পদের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে চলমান সংঘাতের সবচেয়ে ভয়াবহ দিক।

ডিআর কঙ্গো, জাতিসংঘ এবং পশ্চিমা দেশগুলো রুয়ান্ডাকে এম২৩ গোষ্ঠীকে সমর্থন দেওয়ার জন্য অভিযুক্ত করেছে, কিন্তু রুয়ান্ডা এসব অভিযোগ অস্বীকার করে এবং বলেছে, তারা কঙ্গোতে তুতসি জনগণকে হত্যা ও নিজেদের জন্য হুমকি সৃষ্টি করা হুতু নেতৃত্বাধীন মিলিশিয়া থেকে রক্ষা পেতে চেষ্টা করছে।

গণনা অনুযায়ী, জানুয়ারি থেকে পূর্ব কঙ্গোতে প্রায় ৭ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে এবং ৫ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে আশ্রয়হীন অবস্থায় রয়েছে। বিদ্রোহীরা গোমা এবং বুকাভু শহরও দখল করেছে, যা পরিস্থিতির আরও অবনতির ইঙ্গিত।

নিউজটি শেয়ার করুন

গোমার দুটি হাসপাতাল থেকে ১৩০ জন রোগী অপহরণ: পূর্ব কঙ্গোতে এম২৩ বিদ্রোহীদের বর্বর আক্রমণ

আপডেট সময় ১১:০৯:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫

 

পূর্ব কঙ্গোর গোমা শহরের দুটি হাসপাতাল থেকে রুয়ান্ডা-সমর্থিত এম২৩ বিদ্রোহীরা গত সপ্তাহে কমপক্ষে ১৩০ জন অসুস্থ ও আহত পুরুষকে অপহরণ করেছে। জাতিসংঘ সোমবার এই ভয়াবহ তথ্য প্রকাশ করেছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিসের মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, এম২৩ যোদ্ধারা ২৮ ফেব্রুয়ারি রাতে গোমার দুটি হাসপাতাল আক্রমণ করে। প্রথম হাসপাতালে ১১৬ জন এবং দ্বিতীয় হাসপাতালে ১৫ জন রোগীকে অপহরণ করা হয়।

অপহৃতদের মধ্যে বেশিরভাগই ডিআর কঙ্গোর সেনা বা সরকারপন্থী মিলিশিয়া ‘ওয়াজালেন্দো’ এর সদস্য বলে ধারণা করা হচ্ছে। শামদাসানি এই ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “এম২৩ যোদ্ধারা রোগীদের হাসপাতালের বিছানা থেকে তুলে নিয়ে যায় এবং অজ্ঞাত স্থানে আটকে রাখে, যা অত্যন্ত নিন্দনীয়।” তিনি এসব ব্যক্তির অবিলম্বে মুক্তি দাবি করেছেন।

এম২৩ বিদ্রোহীরা জানুয়ারির শেষে গোমা শহরে অভিযান শুরু করে এবং এরপর পূর্ব কঙ্গোতে ব্যাপক অগ্রগতি অর্জন করে। তারা গুরুত্বপূর্ণ এলাকা দখল করে এবং মূল্যবান খনিজ সম্পদ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনে। এই অগ্রযাত্রা কঙ্গোর পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে, যা ১৯৯৪ সালের রুয়ান্ডা গণহত্যা এবং কঙ্গোর খনিজ সম্পদের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে চলমান সংঘাতের সবচেয়ে ভয়াবহ দিক।

ডিআর কঙ্গো, জাতিসংঘ এবং পশ্চিমা দেশগুলো রুয়ান্ডাকে এম২৩ গোষ্ঠীকে সমর্থন দেওয়ার জন্য অভিযুক্ত করেছে, কিন্তু রুয়ান্ডা এসব অভিযোগ অস্বীকার করে এবং বলেছে, তারা কঙ্গোতে তুতসি জনগণকে হত্যা ও নিজেদের জন্য হুমকি সৃষ্টি করা হুতু নেতৃত্বাধীন মিলিশিয়া থেকে রক্ষা পেতে চেষ্টা করছে।

গণনা অনুযায়ী, জানুয়ারি থেকে পূর্ব কঙ্গোতে প্রায় ৭ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে এবং ৫ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে আশ্রয়হীন অবস্থায় রয়েছে। বিদ্রোহীরা গোমা এবং বুকাভু শহরও দখল করেছে, যা পরিস্থিতির আরও অবনতির ইঙ্গিত।