ঢাকা ০৭:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫, ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
এআই চ্যাটবট নিয়ে গুরুতর তথ্য ফাঁস স্বীকার করল মেটা নবীগঞ্জে ৩০ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদককারবারি আটক সংগ্রাম-শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় ৮১ বছরে খালেদা জিয়া রাশিয়ার সম্ভাব্য হুমকি মোকাবিলায় ড্রোন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খুলছে লিথুয়ানিয়া এআই–ভিত্তিক হার্ডওয়্যারে বড় উদ্যোগ নিচ্ছে অ্যাপল জেরুজালেমকে চিরতরে ছিনিয়ে নিতে ই-ওয়ান বসতি প্রকল্প পুনরুজ্জীবনের ঘোষণা ইসরাইলি অর্থমন্ত্রীর ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলল ইউরোপ সিরিয়ার পুনর্গঠনে ইদলিব হবে কেন্দ্রবিন্দু: প্রেসিডেন্ট শারআ নির্বাচন করলে তফসিলের আগেই উপদেষ্টার পদ ছেড়ে দেব: আসিফ মাহমুদ রাজনীতি থেকে মাইনাস হবে, যারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করবে: সালাহউদ্দিন

গোমার দুটি হাসপাতাল থেকে ১৩০ জন রোগী অপহরণ: পূর্ব কঙ্গোতে এম২৩ বিদ্রোহীদের বর্বর আক্রমণ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:০৯:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫
  • / 52

ছবি সংগৃহীত

 

পূর্ব কঙ্গোর গোমা শহরের দুটি হাসপাতাল থেকে রুয়ান্ডা-সমর্থিত এম২৩ বিদ্রোহীরা গত সপ্তাহে কমপক্ষে ১৩০ জন অসুস্থ ও আহত পুরুষকে অপহরণ করেছে। জাতিসংঘ সোমবার এই ভয়াবহ তথ্য প্রকাশ করেছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিসের মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, এম২৩ যোদ্ধারা ২৮ ফেব্রুয়ারি রাতে গোমার দুটি হাসপাতাল আক্রমণ করে। প্রথম হাসপাতালে ১১৬ জন এবং দ্বিতীয় হাসপাতালে ১৫ জন রোগীকে অপহরণ করা হয়।

অপহৃতদের মধ্যে বেশিরভাগই ডিআর কঙ্গোর সেনা বা সরকারপন্থী মিলিশিয়া ‘ওয়াজালেন্দো’ এর সদস্য বলে ধারণা করা হচ্ছে। শামদাসানি এই ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “এম২৩ যোদ্ধারা রোগীদের হাসপাতালের বিছানা থেকে তুলে নিয়ে যায় এবং অজ্ঞাত স্থানে আটকে রাখে, যা অত্যন্ত নিন্দনীয়।” তিনি এসব ব্যক্তির অবিলম্বে মুক্তি দাবি করেছেন।

এম২৩ বিদ্রোহীরা জানুয়ারির শেষে গোমা শহরে অভিযান শুরু করে এবং এরপর পূর্ব কঙ্গোতে ব্যাপক অগ্রগতি অর্জন করে। তারা গুরুত্বপূর্ণ এলাকা দখল করে এবং মূল্যবান খনিজ সম্পদ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনে। এই অগ্রযাত্রা কঙ্গোর পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে, যা ১৯৯৪ সালের রুয়ান্ডা গণহত্যা এবং কঙ্গোর খনিজ সম্পদের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে চলমান সংঘাতের সবচেয়ে ভয়াবহ দিক।

ডিআর কঙ্গো, জাতিসংঘ এবং পশ্চিমা দেশগুলো রুয়ান্ডাকে এম২৩ গোষ্ঠীকে সমর্থন দেওয়ার জন্য অভিযুক্ত করেছে, কিন্তু রুয়ান্ডা এসব অভিযোগ অস্বীকার করে এবং বলেছে, তারা কঙ্গোতে তুতসি জনগণকে হত্যা ও নিজেদের জন্য হুমকি সৃষ্টি করা হুতু নেতৃত্বাধীন মিলিশিয়া থেকে রক্ষা পেতে চেষ্টা করছে।

গণনা অনুযায়ী, জানুয়ারি থেকে পূর্ব কঙ্গোতে প্রায় ৭ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে এবং ৫ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে আশ্রয়হীন অবস্থায় রয়েছে। বিদ্রোহীরা গোমা এবং বুকাভু শহরও দখল করেছে, যা পরিস্থিতির আরও অবনতির ইঙ্গিত।

নিউজটি শেয়ার করুন

গোমার দুটি হাসপাতাল থেকে ১৩০ জন রোগী অপহরণ: পূর্ব কঙ্গোতে এম২৩ বিদ্রোহীদের বর্বর আক্রমণ

আপডেট সময় ১১:০৯:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫

 

পূর্ব কঙ্গোর গোমা শহরের দুটি হাসপাতাল থেকে রুয়ান্ডা-সমর্থিত এম২৩ বিদ্রোহীরা গত সপ্তাহে কমপক্ষে ১৩০ জন অসুস্থ ও আহত পুরুষকে অপহরণ করেছে। জাতিসংঘ সোমবার এই ভয়াবহ তথ্য প্রকাশ করেছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিসের মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, এম২৩ যোদ্ধারা ২৮ ফেব্রুয়ারি রাতে গোমার দুটি হাসপাতাল আক্রমণ করে। প্রথম হাসপাতালে ১১৬ জন এবং দ্বিতীয় হাসপাতালে ১৫ জন রোগীকে অপহরণ করা হয়।

অপহৃতদের মধ্যে বেশিরভাগই ডিআর কঙ্গোর সেনা বা সরকারপন্থী মিলিশিয়া ‘ওয়াজালেন্দো’ এর সদস্য বলে ধারণা করা হচ্ছে। শামদাসানি এই ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “এম২৩ যোদ্ধারা রোগীদের হাসপাতালের বিছানা থেকে তুলে নিয়ে যায় এবং অজ্ঞাত স্থানে আটকে রাখে, যা অত্যন্ত নিন্দনীয়।” তিনি এসব ব্যক্তির অবিলম্বে মুক্তি দাবি করেছেন।

এম২৩ বিদ্রোহীরা জানুয়ারির শেষে গোমা শহরে অভিযান শুরু করে এবং এরপর পূর্ব কঙ্গোতে ব্যাপক অগ্রগতি অর্জন করে। তারা গুরুত্বপূর্ণ এলাকা দখল করে এবং মূল্যবান খনিজ সম্পদ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনে। এই অগ্রযাত্রা কঙ্গোর পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে, যা ১৯৯৪ সালের রুয়ান্ডা গণহত্যা এবং কঙ্গোর খনিজ সম্পদের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে চলমান সংঘাতের সবচেয়ে ভয়াবহ দিক।

ডিআর কঙ্গো, জাতিসংঘ এবং পশ্চিমা দেশগুলো রুয়ান্ডাকে এম২৩ গোষ্ঠীকে সমর্থন দেওয়ার জন্য অভিযুক্ত করেছে, কিন্তু রুয়ান্ডা এসব অভিযোগ অস্বীকার করে এবং বলেছে, তারা কঙ্গোতে তুতসি জনগণকে হত্যা ও নিজেদের জন্য হুমকি সৃষ্টি করা হুতু নেতৃত্বাধীন মিলিশিয়া থেকে রক্ষা পেতে চেষ্টা করছে।

গণনা অনুযায়ী, জানুয়ারি থেকে পূর্ব কঙ্গোতে প্রায় ৭ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে এবং ৫ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে আশ্রয়হীন অবস্থায় রয়েছে। বিদ্রোহীরা গোমা এবং বুকাভু শহরও দখল করেছে, যা পরিস্থিতির আরও অবনতির ইঙ্গিত।