ঢাকার সাত কলেজের নতুন ব্যবস্থা, চলবে ইউজিসির অধীন সমন্বিত কাঠামোর আওতায়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন থেকে বেরিয়ে গিয়ে রাজধানীর সাতটি সরকারি কলেজের জন্য আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় গঠন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও এটি এখনও বাস্তবায়ন হয়নি, তবে সাত কলেজের কার্যক্রম শিগগিরই একটি সমন্বিত কাঠামোর অধীনে চলবে। সরকারি সাতটি কলেজের মধ্যে রয়েছে ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা মহিলা কলেজ, সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ।
ইউজিসির তত্ত্বাবধানে, এই সাত কলেজের নতুন কাঠামোর পরিচালক হিসেবে কাজ করবেন ওই কলেজগুলোর যেকোনো একজন অধ্যক্ষ। এই কাঠামোর কার্যক্রমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধিরাও যুক্ত থাকবেন, যেমন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, ভর্তি, রেজিস্ট্রার দপ্তর এবং হিসাব দপ্তর।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে এই প্রস্তাব বাস্তবায়নের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। যদিও পরিকল্পনা পুরোপুরি চূড়ান্ত হয়নি, তবে ইউজিসি এরই মধ্যে সাত কলেজের জন্য ‘জুলাই ৩৬ বিশ্ববিদ্যালয়’ নামক একটি প্রস্তাবনা প্রস্তুত করেছে। এছাড়া, নতুন নাম প্রস্তাবের জন্য ইউজিসি আরও পরামর্শ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে।
এই সাত কলেজে বর্তমানে প্রায় দুই লাখ শিক্ষার্থী এবং এক হাজারের বেশি শিক্ষক রয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে কলেজগুলোর মধ্যে নানা সমস্যা যেমন মানসম্মত শিক্ষা ও পরীক্ষা নিয়ে আন্দোলন চলে আসছে। তাই নতুন কাঠামো প্রবর্তন হলে শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষার মান উন্নত হওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে।
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে এই সাত কলেজের সকল শিক্ষাপ্রশাসনিক কার্যক্রম সমন্বিত কাঠামোর অধীনে পরিচালিত হবে। ইউজিসি জানিয়েছে, পরবর্তী সময়ে এই কলেজগুলো একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত হলে, কাঠামোর কার্যক্রম পুনর্বিন্যস্ত করা হবে।