ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, তাঁর দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিরল খনিজ সম্পদ বিষয়ে চুক্তি করতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত।

গতকাল লন্ডনের ল্যাংকেস্টার হাউসে অনুষ্ঠিত ইউক্রেন সংকটবিষয়ক সম্মেলনের পর বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি এ কথা বলেন। সম্মেলনে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি তিনি যুক্তরাজ্যের রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন।

এর আগে, গত শুক্রবার ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে জেলেনস্কির বৈঠক হয়। তবে বৈঠকটি উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের জেরে অপ্রত্যাশিতভাবে ভেস্তে যায়, ফলে নির্ধারিত যৌথ সংবাদ সম্মেলনও বাতিল করা হয়। পরে হোয়াইট হাউস ছাড়তে বলা হয় জেলেনস্কিকে। তবে লন্ডনে এসে জেলেনস্কি স্পষ্ট করেন যে বিরল খনিজ চুক্তির কাজ থেমে নেই। তিনি বলেন, ‘চুক্তিটি মন্ত্রীদের সইয়ের জন্য প্রস্তুত। আমরা এটি চূড়ান্ত করতে প্রস্তুত।’

এদিকে, ইউক্রেনে এক মাসের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব তুলেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ ও যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে জেলেনস্কি বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে সম্পূর্ণ অবগত। লন্ডন সম্মেলন শেষে টেলিগ্রামে এক পোস্টে জেলেনস্কি লেখেন, ‘এখানে আমরা ইউক্রেনের স্বাধীনতার প্রতি ইউরোপের শক্তিশালী সমর্থন অনুভব করেছি। প্রকৃত শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতার ভিত্তি আরও দৃঢ় করছি।’

অন্যদিকে, সংবাদ সম্মেলনে কিয়ার স্টারমার জানান, ইউক্রেনকে আরও জোরালো সামরিক সহায়তা দিতে হবে এবং রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিক চাপ বৃদ্ধি করতে হবে। তিনি বলেন, ‘যুদ্ধ চলাকালে ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে এবং শান্তিচুক্তির ক্ষেত্রে ইউক্রেনকে অবশ্যই মূল আলোচনার অংশ বানাতে হবে।’

ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা শক্তি বাড়াতে যুক্তরাজ্য ১৬০ কোটি পাউন্ড সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে, যা দিয়ে পাঁচ হাজারের বেশি ক্ষেপণাস্ত্র কেনা হবে। এই সহায়তা ও কূটনৈতিক প্রচেষ্টা রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের অবস্থান আরও শক্ত করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।