ঢাকা ১২:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫, ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
এআই চ্যাটবট নিয়ে গুরুতর তথ্য ফাঁস স্বীকার করল মেটা নবীগঞ্জে ৩০ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদককারবারি আটক সংগ্রাম-শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় ৮১ বছরে খালেদা জিয়া রাশিয়ার সম্ভাব্য হুমকি মোকাবিলায় ড্রোন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খুলছে লিথুয়ানিয়া এআই–ভিত্তিক হার্ডওয়্যারে বড় উদ্যোগ নিচ্ছে অ্যাপল জেরুজালেমকে চিরতরে ছিনিয়ে নিতে ই-ওয়ান বসতি প্রকল্প পুনরুজ্জীবনের ঘোষণা ইসরাইলি অর্থমন্ত্রীর ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলল ইউরোপ সিরিয়ার পুনর্গঠনে ইদলিব হবে কেন্দ্রবিন্দু: প্রেসিডেন্ট শারআ নির্বাচন করলে তফসিলের আগেই উপদেষ্টার পদ ছেড়ে দেব: আসিফ মাহমুদ রাজনীতি থেকে মাইনাস হবে, যারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করবে: সালাহউদ্দিন

সীমান্তে নির্মমতা: নির্যাতনের পর যুবককে ফেলে গেলো বিএসএফ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:৫৯:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 52

ছবি সংগৃহীত

 

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে আবারও বিএসএফের (ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী) নির্মমতার চিত্র প্রকাশ পেয়েছে। সম্প্রতি এক বাংলাদেশি যুবককে সীমান্তে আটক করে নির্মমভাবে নির্যাতন করার পর মৃত ভেবে ফেলে গেছে বিএসএফ। তবে সৌভাগ্যক্রমে ওই যুবক বেঁচে আছেন এবং আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

স্থানীয় সূত্র ও ভুক্তভোগীর পরিবারের দাবি, ওই যুবক সীমান্তবর্তী এলাকায় ছিলেন, তখনই বিএসএফ সদস্যরা তাকে আটক করে নিয়ে যায়। আটকের পর তার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হয়। তাকে লোহার রড, লাঠি ও বন্দুকের বাঁট দিয়ে আঘাত করা হয়, যার ফলে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন।

নির্যাতনের একপর্যায়ে যুবকটি প্রায় নিস্তেজ হয়ে পড়লে বিএসএফ সদস্যরা তাকে মৃত ভেবে সীমান্তের বাংলাদেশ অংশে ফেলে দিয়ে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে এবং পরিবারের সহযোগিতায় হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার শরীরে নানা স্থানে গভীর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে, এবং তার অবস্থা সংকটাপন্ন।

এ ঘটনায় যুবকের পরিবারসহ স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা বিএসএফের এ ধরনের নির্মম ও মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে এ ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বারবার ঘটছে, যা দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের জন্যও প্রশ্নবিদ্ধ। বাংলাদেশ সরকার এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের বিচারের জন্য ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিএসএফের হাতে বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যা ও নির্যাতনের ঘটনা নতুন নয়। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো এর আগেও ভারতীয় সীমান্ত বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে এবং সীমান্তে নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ড বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। তবে এ ধরনের ঘটনা প্রতিনিয়তই ঘটছে, যা দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করছে।
এই ঘটনায় স্থানীয় জনগণের মধ্যে উৎকণ্ঠা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে, এবং তারা বিএসএফের এমন বর্বরোচিত আচরণের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

সীমান্তে নির্মমতা: নির্যাতনের পর যুবককে ফেলে গেলো বিএসএফ

আপডেট সময় ০৪:৫৯:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে আবারও বিএসএফের (ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী) নির্মমতার চিত্র প্রকাশ পেয়েছে। সম্প্রতি এক বাংলাদেশি যুবককে সীমান্তে আটক করে নির্মমভাবে নির্যাতন করার পর মৃত ভেবে ফেলে গেছে বিএসএফ। তবে সৌভাগ্যক্রমে ওই যুবক বেঁচে আছেন এবং আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

স্থানীয় সূত্র ও ভুক্তভোগীর পরিবারের দাবি, ওই যুবক সীমান্তবর্তী এলাকায় ছিলেন, তখনই বিএসএফ সদস্যরা তাকে আটক করে নিয়ে যায়। আটকের পর তার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হয়। তাকে লোহার রড, লাঠি ও বন্দুকের বাঁট দিয়ে আঘাত করা হয়, যার ফলে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন।

নির্যাতনের একপর্যায়ে যুবকটি প্রায় নিস্তেজ হয়ে পড়লে বিএসএফ সদস্যরা তাকে মৃত ভেবে সীমান্তের বাংলাদেশ অংশে ফেলে দিয়ে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে এবং পরিবারের সহযোগিতায় হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার শরীরে নানা স্থানে গভীর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে, এবং তার অবস্থা সংকটাপন্ন।

এ ঘটনায় যুবকের পরিবারসহ স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা বিএসএফের এ ধরনের নির্মম ও মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে এ ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বারবার ঘটছে, যা দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের জন্যও প্রশ্নবিদ্ধ। বাংলাদেশ সরকার এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের বিচারের জন্য ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিএসএফের হাতে বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যা ও নির্যাতনের ঘটনা নতুন নয়। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো এর আগেও ভারতীয় সীমান্ত বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে এবং সীমান্তে নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ড বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। তবে এ ধরনের ঘটনা প্রতিনিয়তই ঘটছে, যা দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করছে।
এই ঘটনায় স্থানীয় জনগণের মধ্যে উৎকণ্ঠা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে, এবং তারা বিএসএফের এমন বর্বরোচিত আচরণের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।