ঢাকা ১১:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মগবাজারের হোটেলে স্ত্রী-সন্তানসহ প্রবাসীর রহস্যজনক মৃত্যু ফরিদপুরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের হোতা কুটি মিয়া অস্ত্র ও মাদকসহ গ্রেফতার এইচএসসি পরীক্ষায় দ্বিতীয় দিনে অনুপস্থিত ২২ হাজার শিক্ষার্থী, বহিষ্কার ৪১ ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক হবে সম্মান এবং পারস্পরিক স্বার্থে: আমীর খসরু ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন দাবি বিএনপির, আপসের প্রশ্ন নেই: দুদু ইরানে আইএইএ মহাপরিচালকের মৃত্যুদণ্ডের দাবির কড়া প্রতিক্রিয়া মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দেশে নতুন করে ১৩ জনের করোনা শনাক্ত, ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু নেই বিসিবির সভা আগামীকাল, এজেন্ডায় থাকছে কী? আজ গাজায় ইসরায়েলি হামলায় তিন শিশুসহ নিহত ১৪ জন শীর্ষক: রেমিট্যান্স প্রবাহে ঊর্ধ্বগতি: জুনের ২৮ দিনেই এসেছে ২৫৩ কোটি ডলার

কুয়েটে আবাসিক হল বন্ধ ঘোষণা, ক্যাম্পাস ছাড়ছেন শিক্ষার্থীরা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:২১:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 43

ছবি সংগৃহীত

 

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) সিন্ডিকেট সভায় সব আবাসিক হল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করায় শিক্ষার্থীরা উদ্বেগের মধ্যে হল ছেড়ে যাচ্ছেন। আজ বুধবার সকাল থেকে শুরু হয় ছাত্রদের হল ত্যাগের প্রক্রিয়া।

মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের ৯৯তম জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বুধবার সকাল ১০টার মধ্যে সব শিক্ষার্থীকে হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়। এ নির্দেশের পর শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন, যেখানে তাঁরা প্রশাসনের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাঁদের দাবি, হল ছাড়ার নির্দেশের পর তাঁরা আর নিরাপদ বোধ করছেন না, এবং তাই বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। তবে, সকাল সোয়া ১০টা পর্যন্ত কিছু শিক্ষার্থী আবাসিক হলে অবস্থান করছিলেন।

এদিকে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। গত সপ্তাহে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিতে কুয়েট ক্যাম্পাসে সংঘর্ষের পর এই সিদ্ধান্তটি আসে। এর আগে, ১৯ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সব একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়।

গতকাল দুপুরে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীরা তাঁর বাসভবনে তালা দিতে যান, তবে পরে শিক্ষক-শিক্ষিকার সঙ্গে আলোচনার পর তাঁরা সেখান থেকে ফিরে যান। ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবি নিয়ে সংঘর্ষে শতাধিক ছাত্র আহত হন। এরপর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন নিরাপত্তা বাড়ানোর পাশাপাশি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়।

শিক্ষার্থীরা দাবি করছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সিদ্ধান্তের পর তাঁরা আরও অসুবিধায় পড়েছেন। এর মধ্যে, তাঁরা উপাচার্যের পদত্যাগসহ নানা দাবি নিয়ে প্রতিবাদে অংশ নিচ্ছেন।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

কুয়েটে আবাসিক হল বন্ধ ঘোষণা, ক্যাম্পাস ছাড়ছেন শিক্ষার্থীরা

আপডেট সময় ০১:২১:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) সিন্ডিকেট সভায় সব আবাসিক হল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করায় শিক্ষার্থীরা উদ্বেগের মধ্যে হল ছেড়ে যাচ্ছেন। আজ বুধবার সকাল থেকে শুরু হয় ছাত্রদের হল ত্যাগের প্রক্রিয়া।

মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের ৯৯তম জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বুধবার সকাল ১০টার মধ্যে সব শিক্ষার্থীকে হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়। এ নির্দেশের পর শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন, যেখানে তাঁরা প্রশাসনের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাঁদের দাবি, হল ছাড়ার নির্দেশের পর তাঁরা আর নিরাপদ বোধ করছেন না, এবং তাই বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। তবে, সকাল সোয়া ১০টা পর্যন্ত কিছু শিক্ষার্থী আবাসিক হলে অবস্থান করছিলেন।

এদিকে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। গত সপ্তাহে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিতে কুয়েট ক্যাম্পাসে সংঘর্ষের পর এই সিদ্ধান্তটি আসে। এর আগে, ১৯ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সব একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়।

গতকাল দুপুরে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীরা তাঁর বাসভবনে তালা দিতে যান, তবে পরে শিক্ষক-শিক্ষিকার সঙ্গে আলোচনার পর তাঁরা সেখান থেকে ফিরে যান। ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবি নিয়ে সংঘর্ষে শতাধিক ছাত্র আহত হন। এরপর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন নিরাপত্তা বাড়ানোর পাশাপাশি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়।

শিক্ষার্থীরা দাবি করছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সিদ্ধান্তের পর তাঁরা আরও অসুবিধায় পড়েছেন। এর মধ্যে, তাঁরা উপাচার্যের পদত্যাগসহ নানা দাবি নিয়ে প্রতিবাদে অংশ নিচ্ছেন।