ঢাকা ১১:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
গাজায় মধ্যরাতের ইসরায়েলি হামলায় নিহত অন্তত ১৮ সৌদি আরবের বিরুদ্ধে গোপনে ইসরায়েলকে সহযোগিতার অভিযোগ ট্রাম্পের স্বাক্ষরে আইনে পরিণত বিতর্কিত অর্থনৈতিক বিল গাজায় যুদ্ধবিরতি আলোচনায় ইতিবাচক সাড়া হামাসের, চায় স্থায়ী সমাধানে গ্যারান্টি করাচির লিয়ারিতে পাঁচতলা ভবন ধসে নিহত বেড়ে ১০, আহত ৯ রাজনীতির আকাশে কালো মেঘ, কিন্তু মুক্তির সূর্য উঠবেই: জামায়াত আমির চুয়াডাঙ্গায় তেলবাহী ট্রাকের চাপায় ইজিবাইক ৩ আরোহী নিহত, আহত আরও ৪ রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানে সব পক্ষের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত বাংলাদেশ টেক্সাসে হঠাৎ ভয়াবহ বন্যায় নিহত বাড়ে ২৪, নিখোঁজ ২৩ শিশু আল হিলালের স্বপ্নভঙ্গ করে ক্লাব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ফ্লুমিনেন্স
পিলখানা হত্যাকাণ্ড

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে দায়বদ্ধ রাষ্ট্র  – প্রধান উপদেষ্টা 

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:৪৮:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 51

ছবি সংগৃহীত

 

পিলখানার বীর সেনা সদস্যদের নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর দীর্ঘ সময় ধরে জাতি নানা বিভ্রান্তির মধ্যে রয়েছে। তবে রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ এই হত্যাকাণ্ডের সুবিচার নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এমন মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। পিলখানার বীর সেনা সদস্যদের নির্মম হত্যাকাণ্ডের সুবিচার নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রাষ্ট্র বলে জানলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

আজ প্রথমবারের মতো পালিত হলো জাতীয় শহীদ সেনা দিবস। ২০০৯ সালের এই দিনে পিলখানায় সংঘটিত ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডে প্রাণ হারানো শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে এক বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “এই দিনটি শুধু শোকের নয়, আমাদের চেতনা জাগরণেরও দিন।”

তিনি বলেন, “এত বছর পরেও শহীদ পরিবারের সদস্যরা তাদের প্রিয়জন হত্যার বিচার পাওয়ার অপেক্ষায় আছেন। জাতি হিসেবে আমরা বিভ্রান্তির মধ্যে ছিলাম, কিন্তু এখন সময় এসেছে সত্যকে সামনে এনে সুবিচার নিশ্চিত করার। বাংলাদেশ সরকার এই নির্মমতার যথাযথ বিচার প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর।”

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “এই দিনটি আমাদের মনে করিয়ে দেবে কতিপয় ষড়যন্ত্রকারী কিভাবে জাতির সূর্যসন্তানদের প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল। তাদের আত্মত্যাগের প্রতি যথাযথ সম্মান জানিয়ে আমরা যেন দেশকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই।”

তিনি আরও বলেন, “জাতি হিসেবে আমাদের দায়িত্ব হলো, দুঃশাসন ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে একটি স্বনির্ভর, সমৃদ্ধ ও মানবিক বাংলাদেশ গড়ে তোলা। ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও বৈষম্য থেকে মুক্ত একটি দেশই হবে শহীদ সেনাদের প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যম।”

প্রধান উপদেষ্টা শহীদ পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করে বলেন, “শহীদদের আত্মত্যাগ বৃথা যাবে না। আমরা জাতি হিসেবে ঐক্যবদ্ধ থেকে সুবিচার ও সত্যের পক্ষে দাঁড়াবো।” জাতীয় শহীদ সেনা দিবস শুধু অতীতের বেদনার স্মৃতি নয়, এটি ভবিষ্যতের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতারও প্রতীক হয়ে থাকবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

পিলখানা হত্যাকাণ্ড

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে দায়বদ্ধ রাষ্ট্র  – প্রধান উপদেষ্টা 

আপডেট সময় ০৩:৪৮:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

পিলখানার বীর সেনা সদস্যদের নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর দীর্ঘ সময় ধরে জাতি নানা বিভ্রান্তির মধ্যে রয়েছে। তবে রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ এই হত্যাকাণ্ডের সুবিচার নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এমন মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। পিলখানার বীর সেনা সদস্যদের নির্মম হত্যাকাণ্ডের সুবিচার নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রাষ্ট্র বলে জানলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

আজ প্রথমবারের মতো পালিত হলো জাতীয় শহীদ সেনা দিবস। ২০০৯ সালের এই দিনে পিলখানায় সংঘটিত ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডে প্রাণ হারানো শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে এক বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “এই দিনটি শুধু শোকের নয়, আমাদের চেতনা জাগরণেরও দিন।”

তিনি বলেন, “এত বছর পরেও শহীদ পরিবারের সদস্যরা তাদের প্রিয়জন হত্যার বিচার পাওয়ার অপেক্ষায় আছেন। জাতি হিসেবে আমরা বিভ্রান্তির মধ্যে ছিলাম, কিন্তু এখন সময় এসেছে সত্যকে সামনে এনে সুবিচার নিশ্চিত করার। বাংলাদেশ সরকার এই নির্মমতার যথাযথ বিচার প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর।”

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “এই দিনটি আমাদের মনে করিয়ে দেবে কতিপয় ষড়যন্ত্রকারী কিভাবে জাতির সূর্যসন্তানদের প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল। তাদের আত্মত্যাগের প্রতি যথাযথ সম্মান জানিয়ে আমরা যেন দেশকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই।”

তিনি আরও বলেন, “জাতি হিসেবে আমাদের দায়িত্ব হলো, দুঃশাসন ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে একটি স্বনির্ভর, সমৃদ্ধ ও মানবিক বাংলাদেশ গড়ে তোলা। ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও বৈষম্য থেকে মুক্ত একটি দেশই হবে শহীদ সেনাদের প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যম।”

প্রধান উপদেষ্টা শহীদ পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করে বলেন, “শহীদদের আত্মত্যাগ বৃথা যাবে না। আমরা জাতি হিসেবে ঐক্যবদ্ধ থেকে সুবিচার ও সত্যের পক্ষে দাঁড়াবো।” জাতীয় শহীদ সেনা দিবস শুধু অতীতের বেদনার স্মৃতি নয়, এটি ভবিষ্যতের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতারও প্রতীক হয়ে থাকবে।