ঢাকা ০৩:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ষাটগম্বুজ মসজিদে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত সম্পন্ন : মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড় ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তাব পুনর্ব্যক্ত করলো বিএনপি ঈদের দিনেও গাজায় রক্তক্ষরণ: ইসরায়েলি হামলায় ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পবিত্র ঈদুল আযহায় স্বাস্থ্যসচেতনতা: সুস্থ থাকুন, নিরাপদে ঈদ করুন আর্জেন্টিনার জয় চিলিতে, গোল আলভারেজের ঈদুল আজহা উপলক্ষে ওমানে ৬৪৫ কারাবন্দিকে ক্ষমা দিলেন সুলতান হাইথাম দুবাইয়ে ঈদুল আজহার নামাজ সম্পন্ন, ঈদগাহে মুসল্লিদের ঢল বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ বিলিয়ন ডলারে ফের অন্তঃসত্ত্বা ‘দৃশ্যম’ অভিনেত্রী ঈশিতা দত্ত, প্রকাশ্যে বেবি বাম্প

শেরপুরে কলা চাষে বিপ্লব: নতুন অর্থনৈতিক সম্ভাবনার উন্মোচন

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:৪৬:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 39

ছবি সংগৃহীত

 

শেরপুরের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে কলা চাষে এক নতুন বিপ্লব ঘটছে। এখানকার উর্বর মাটি এবং পাহাড়ি পরিবেশ কলা চাষের জন্য অত্যন্ত উপযুক্ত, এবং এই অঞ্চলের কৃষকরা বর্তমানে কলা চাষে ব্যাপকভাবে আগ্রহী। বিশেষ করে শ্রীবরদী উপজেলায় কলা চাষের পরিমাণ অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে, যা স্থানীয় কৃষকদের জন্য নতুন অর্থনৈতিক সুযোগ সৃষ্টি করেছে।

কলাকান্দা চৌকিদার বাড়ি বাজারে প্রতিদিন প্রায় অর্ধকোটি টাকার বেচাকেনা হয়, যেখানে স্থানীয় কৃষকের উৎপাদিত কলা দেশের বিভিন্ন বাজারে সরবরাহ করা হচ্ছে। শেরপুরের কলার গুণগত মান এবং স্বাদের কারণে পাইকারি বাজারে এর চাহিদা অনেক বেশি, যা স্থানীয় কৃষকদের লাভজনক বাজারের সুযোগ করে দিয়েছে। বাজারে প্রতিদিনই পাইকারি ব্যবসায়ীদের ভিড় দেখা যায়।

অন্য ফসলের তুলনায় কলা চাষে খরচ কম, আর লাভ বেশি হওয়ায় কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। একে একে জমিতে চারা রোপণ করলে কয়েক মাসের মধ্যেই ফলন পাওয়া যায় এবং নিয়মিত পরিচর্যা করলে একাধিকবার ফলন তোলা সম্ভব। এ কারণে সীমান্ত এলাকার অনেক কৃষক ধান বা অন্য শস্যের পরিবর্তে এখন কলা চাষে মনোযোগী হচ্ছেন।

কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, এই বছরে শ্রীবরদী উপজেলায় প্রায় ৩২০ হেক্টর জমিতে কলা চাষ হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ৯০ শতাংশ বেশি। কৃষকদের লাভের পরিমাণও প্রতিটি একরে আড়াই থেকে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত, এবং আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করলে এই আয় আরও বাড়ানো সম্ভব।

তবে কলা চাষের অগ্রগতি বজায় রাখতে সরকারের সহজ শর্তে ঋণ সুবিধা এবং আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করা প্রয়োজন। শেরপুরের কলা চাষ একদিন দেশের প্রধান উৎপাদন কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে, যদি কৃষকরা পর্যাপ্ত সহায়তা পান।

নিউজটি শেয়ার করুন

শেরপুরে কলা চাষে বিপ্লব: নতুন অর্থনৈতিক সম্ভাবনার উন্মোচন

আপডেট সময় ০৫:৪৬:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

শেরপুরের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে কলা চাষে এক নতুন বিপ্লব ঘটছে। এখানকার উর্বর মাটি এবং পাহাড়ি পরিবেশ কলা চাষের জন্য অত্যন্ত উপযুক্ত, এবং এই অঞ্চলের কৃষকরা বর্তমানে কলা চাষে ব্যাপকভাবে আগ্রহী। বিশেষ করে শ্রীবরদী উপজেলায় কলা চাষের পরিমাণ অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে, যা স্থানীয় কৃষকদের জন্য নতুন অর্থনৈতিক সুযোগ সৃষ্টি করেছে।

কলাকান্দা চৌকিদার বাড়ি বাজারে প্রতিদিন প্রায় অর্ধকোটি টাকার বেচাকেনা হয়, যেখানে স্থানীয় কৃষকের উৎপাদিত কলা দেশের বিভিন্ন বাজারে সরবরাহ করা হচ্ছে। শেরপুরের কলার গুণগত মান এবং স্বাদের কারণে পাইকারি বাজারে এর চাহিদা অনেক বেশি, যা স্থানীয় কৃষকদের লাভজনক বাজারের সুযোগ করে দিয়েছে। বাজারে প্রতিদিনই পাইকারি ব্যবসায়ীদের ভিড় দেখা যায়।

অন্য ফসলের তুলনায় কলা চাষে খরচ কম, আর লাভ বেশি হওয়ায় কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। একে একে জমিতে চারা রোপণ করলে কয়েক মাসের মধ্যেই ফলন পাওয়া যায় এবং নিয়মিত পরিচর্যা করলে একাধিকবার ফলন তোলা সম্ভব। এ কারণে সীমান্ত এলাকার অনেক কৃষক ধান বা অন্য শস্যের পরিবর্তে এখন কলা চাষে মনোযোগী হচ্ছেন।

কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, এই বছরে শ্রীবরদী উপজেলায় প্রায় ৩২০ হেক্টর জমিতে কলা চাষ হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ৯০ শতাংশ বেশি। কৃষকদের লাভের পরিমাণও প্রতিটি একরে আড়াই থেকে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত, এবং আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করলে এই আয় আরও বাড়ানো সম্ভব।

তবে কলা চাষের অগ্রগতি বজায় রাখতে সরকারের সহজ শর্তে ঋণ সুবিধা এবং আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করা প্রয়োজন। শেরপুরের কলা চাষ একদিন দেশের প্রধান উৎপাদন কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে, যদি কৃষকরা পর্যাপ্ত সহায়তা পান।