ঢাকা ০৯:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫, ২৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আগামী নির্বাচন হবে শান্তিপূর্ণ এটাই সরকারের প্রতিশ্রুতি: প্রেস সচিব ইসরায়েলি বাহিনী সিরিয়ার বেশ কয়েকটি গ্রামে ঢুকে পড়েছে ক্যাশলেস লেনদেন বাড়ানোর ওপর জোর দিতে বলেন গভর্নরের “কেরানীগঞ্জে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের রুট পরিবর্তনের দাবিতে সড়ক অবরোধ” “পতেঙ্গায় ভেসে এলো দুই জেলের মরদেহ, নিখোঁজ ৬” “নতুন ইতিহাস: শামির রেকর্ড ভেঙে দিলেন শাহিন আফ্রিদি” “মধ্যরাতে সেনবাগে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড: ১২ দোকান পুড়ে গেল” “আজ প্রকাশ হচ্ছে খসড়া ভোটার তালিকা: নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা” রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত আগামীর বাংলাদেশে মসজিদ কমিটি হবে: ধর্ম উপদেষ্টা নেশার টাকা যোগাতে ৩ মাসের সন্তানকে বিক্রি, বাবা আটক

জার্মানির আগাম নির্বাচন: অর্থনৈতিক সংকট ও নিরাপত্তাহীনতার ছায়ায় ভোট

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৫৫:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 55

ছবি সংগৃহীত

 

জার্মানির নাগরিকরা আজ গুরুত্বপূর্ণ এক আগাম নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন, যেখানে নিম্নমুখী অর্থনীতি ও সাম্প্রতিক ধারাবাহিক প্রাণঘাতী হামলার কারণে জনমনে গভীর উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। শুধু জার্মানিই নয়, পুরো ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রও নজর রাখছে এই নির্বাচনের দিকে, যা দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবারের নির্বাচনে চ্যান্সেলর পদে লড়ছেন বর্তমান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ, বিরোধীদলীয় নেতা ফ্রেডরিখ মার্জ, বর্তমান ভাইস চ্যান্সেলর রবার্ট হাবেক এবং কট্টর ডানপন্থী অলটারনেটিভ ফর জার্মানি (এএফডি) দলের নেতা অ্যালিস ভাইডেল। এবারের নির্বাচনের প্রধান ইস্যু অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ, অর্থনীতি পুনরুদ্ধার এবং নিরাপত্তা পরিস্থিতি।

জনমত জরিপ অনুযায়ী, ক্রিস্টিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন (সিডিইউ) দলের নেতা ফ্রেডরিখ মার্জ এগিয়ে রয়েছেন। ৬৯ বছর বয়সী এই রক্ষণশীল নেতা জার্মানিকে ইউরোপের সবচেয়ে শক্তিশালী অর্থনীতি হিসেবে পুনর্গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে সরকার গঠনের জন্য তাকে অন্তত একটি দলের সঙ্গে জোট বাধতে হবে, যেখানে বর্তমান চ্যান্সেলর শোলজের সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এসপিডি) সঙ্গে সমঝোতার সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে, মার্জ স্পষ্ট করেছেন যে, তিনি কোনো অবস্থাতেই এএফডির সঙ্গে জোট করবেন না। তবে নির্বাচনে এএফডির শক্তিশালী অবস্থান রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়ানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে। দলটি ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসা, রুশ গ্যাস সংযোগ পুনরুদ্ধার এবং কঠোর অভিবাসন নীতির পক্ষে প্রচারণা চালিয়ে আসছে।

নতুন সরকারকে কেবল অভ্যন্তরীণ সংকটই নয়, বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জও মোকাবিলা করতে হবে। বিশেষ করে, ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিতে হবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক নীতিগত অবস্থান ইউরোপীয় রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে, যা জার্মানির জন্যও বড় পরীক্ষা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

জার্মানির আগাম নির্বাচন: অর্থনৈতিক সংকট ও নিরাপত্তাহীনতার ছায়ায় ভোট

আপডেট সময় ১০:৫৫:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

জার্মানির নাগরিকরা আজ গুরুত্বপূর্ণ এক আগাম নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন, যেখানে নিম্নমুখী অর্থনীতি ও সাম্প্রতিক ধারাবাহিক প্রাণঘাতী হামলার কারণে জনমনে গভীর উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। শুধু জার্মানিই নয়, পুরো ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রও নজর রাখছে এই নির্বাচনের দিকে, যা দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবারের নির্বাচনে চ্যান্সেলর পদে লড়ছেন বর্তমান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ, বিরোধীদলীয় নেতা ফ্রেডরিখ মার্জ, বর্তমান ভাইস চ্যান্সেলর রবার্ট হাবেক এবং কট্টর ডানপন্থী অলটারনেটিভ ফর জার্মানি (এএফডি) দলের নেতা অ্যালিস ভাইডেল। এবারের নির্বাচনের প্রধান ইস্যু অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ, অর্থনীতি পুনরুদ্ধার এবং নিরাপত্তা পরিস্থিতি।

জনমত জরিপ অনুযায়ী, ক্রিস্টিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন (সিডিইউ) দলের নেতা ফ্রেডরিখ মার্জ এগিয়ে রয়েছেন। ৬৯ বছর বয়সী এই রক্ষণশীল নেতা জার্মানিকে ইউরোপের সবচেয়ে শক্তিশালী অর্থনীতি হিসেবে পুনর্গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে সরকার গঠনের জন্য তাকে অন্তত একটি দলের সঙ্গে জোট বাধতে হবে, যেখানে বর্তমান চ্যান্সেলর শোলজের সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এসপিডি) সঙ্গে সমঝোতার সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে, মার্জ স্পষ্ট করেছেন যে, তিনি কোনো অবস্থাতেই এএফডির সঙ্গে জোট করবেন না। তবে নির্বাচনে এএফডির শক্তিশালী অবস্থান রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়ানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে। দলটি ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসা, রুশ গ্যাস সংযোগ পুনরুদ্ধার এবং কঠোর অভিবাসন নীতির পক্ষে প্রচারণা চালিয়ে আসছে।

নতুন সরকারকে কেবল অভ্যন্তরীণ সংকটই নয়, বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জও মোকাবিলা করতে হবে। বিশেষ করে, ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিতে হবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক নীতিগত অবস্থান ইউরোপীয় রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে, যা জার্মানির জন্যও বড় পরীক্ষা হয়ে দাঁড়িয়েছে।