ঢাকা ০৭:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানিসহ ৯ নেতাকর্মী বিস্ফোরক মামলায় খালাস যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার তালিকায় আরও ৩৬ দেশ, কঠোর অবস্থানে ট্রাম্প প্রশাসন ঈদযাত্রায় ১৫ দিনে সড়কে প্রাণ হারালেন ৩৯০ জন, আহত সহস্রাধিক লবণাক্ত জমিতে আনারস চাষে অভূতপূর্ব সাফল্য কৃষক সুলতানের ইউনূস-তারেক বৈঠকে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে: আমীর খসরু করোনা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই, প্রস্তুত রয়েছে সরকার: ডা. সায়েদুর রহমান সরকারি চাকরি সংশোধন অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিক্ষোভ ইশরাককে মেয়রের দায়িত্ব দেওয়ার দাবিতে নগর ভবনের সামনে ফের অবস্থান সমর্থকদের বিএনপি নেতাদের সঙ্গে ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের বৈঠক জোরপূর্বক গুম নিয়ে জাতিসংঘ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে আইন উপদেষ্টা

জার্মানির আগাম নির্বাচন: অর্থনৈতিক সংকট ও নিরাপত্তাহীনতার ছায়ায় ভোট

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৫৫:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 44

ছবি সংগৃহীত

 

জার্মানির নাগরিকরা আজ গুরুত্বপূর্ণ এক আগাম নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন, যেখানে নিম্নমুখী অর্থনীতি ও সাম্প্রতিক ধারাবাহিক প্রাণঘাতী হামলার কারণে জনমনে গভীর উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। শুধু জার্মানিই নয়, পুরো ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রও নজর রাখছে এই নির্বাচনের দিকে, যা দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবারের নির্বাচনে চ্যান্সেলর পদে লড়ছেন বর্তমান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ, বিরোধীদলীয় নেতা ফ্রেডরিখ মার্জ, বর্তমান ভাইস চ্যান্সেলর রবার্ট হাবেক এবং কট্টর ডানপন্থী অলটারনেটিভ ফর জার্মানি (এএফডি) দলের নেতা অ্যালিস ভাইডেল। এবারের নির্বাচনের প্রধান ইস্যু অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ, অর্থনীতি পুনরুদ্ধার এবং নিরাপত্তা পরিস্থিতি।

জনমত জরিপ অনুযায়ী, ক্রিস্টিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন (সিডিইউ) দলের নেতা ফ্রেডরিখ মার্জ এগিয়ে রয়েছেন। ৬৯ বছর বয়সী এই রক্ষণশীল নেতা জার্মানিকে ইউরোপের সবচেয়ে শক্তিশালী অর্থনীতি হিসেবে পুনর্গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে সরকার গঠনের জন্য তাকে অন্তত একটি দলের সঙ্গে জোট বাধতে হবে, যেখানে বর্তমান চ্যান্সেলর শোলজের সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এসপিডি) সঙ্গে সমঝোতার সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে, মার্জ স্পষ্ট করেছেন যে, তিনি কোনো অবস্থাতেই এএফডির সঙ্গে জোট করবেন না। তবে নির্বাচনে এএফডির শক্তিশালী অবস্থান রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়ানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে। দলটি ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসা, রুশ গ্যাস সংযোগ পুনরুদ্ধার এবং কঠোর অভিবাসন নীতির পক্ষে প্রচারণা চালিয়ে আসছে।

নতুন সরকারকে কেবল অভ্যন্তরীণ সংকটই নয়, বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জও মোকাবিলা করতে হবে। বিশেষ করে, ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিতে হবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক নীতিগত অবস্থান ইউরোপীয় রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে, যা জার্মানির জন্যও বড় পরীক্ষা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

জার্মানির আগাম নির্বাচন: অর্থনৈতিক সংকট ও নিরাপত্তাহীনতার ছায়ায় ভোট

আপডেট সময় ১০:৫৫:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

জার্মানির নাগরিকরা আজ গুরুত্বপূর্ণ এক আগাম নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন, যেখানে নিম্নমুখী অর্থনীতি ও সাম্প্রতিক ধারাবাহিক প্রাণঘাতী হামলার কারণে জনমনে গভীর উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। শুধু জার্মানিই নয়, পুরো ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রও নজর রাখছে এই নির্বাচনের দিকে, যা দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবারের নির্বাচনে চ্যান্সেলর পদে লড়ছেন বর্তমান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ, বিরোধীদলীয় নেতা ফ্রেডরিখ মার্জ, বর্তমান ভাইস চ্যান্সেলর রবার্ট হাবেক এবং কট্টর ডানপন্থী অলটারনেটিভ ফর জার্মানি (এএফডি) দলের নেতা অ্যালিস ভাইডেল। এবারের নির্বাচনের প্রধান ইস্যু অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ, অর্থনীতি পুনরুদ্ধার এবং নিরাপত্তা পরিস্থিতি।

জনমত জরিপ অনুযায়ী, ক্রিস্টিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন (সিডিইউ) দলের নেতা ফ্রেডরিখ মার্জ এগিয়ে রয়েছেন। ৬৯ বছর বয়সী এই রক্ষণশীল নেতা জার্মানিকে ইউরোপের সবচেয়ে শক্তিশালী অর্থনীতি হিসেবে পুনর্গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে সরকার গঠনের জন্য তাকে অন্তত একটি দলের সঙ্গে জোট বাধতে হবে, যেখানে বর্তমান চ্যান্সেলর শোলজের সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এসপিডি) সঙ্গে সমঝোতার সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে, মার্জ স্পষ্ট করেছেন যে, তিনি কোনো অবস্থাতেই এএফডির সঙ্গে জোট করবেন না। তবে নির্বাচনে এএফডির শক্তিশালী অবস্থান রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়ানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে। দলটি ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসা, রুশ গ্যাস সংযোগ পুনরুদ্ধার এবং কঠোর অভিবাসন নীতির পক্ষে প্রচারণা চালিয়ে আসছে।

নতুন সরকারকে কেবল অভ্যন্তরীণ সংকটই নয়, বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জও মোকাবিলা করতে হবে। বিশেষ করে, ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিতে হবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক নীতিগত অবস্থান ইউরোপীয় রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে, যা জার্মানির জন্যও বড় পরীক্ষা হয়ে দাঁড়িয়েছে।