ঢাকা ০৫:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ধনিয়ার চাষে সাফল্য: শরীয়তপুরে কৃষকদের নতুন সম্ভাবনা

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি সংগৃহীত

 

শরীয়তপুরের কৃষি অঞ্চলে ধনিয়ার চাষ এখন একটি লাভজনক ও জনপ্রিয় ফসল হয়ে উঠেছে। মসলা জাতীয় এই ফসলের উৎপাদন খরচ কম এবং বাজারে দাম বেশ ভালো থাকায় কৃষকরা দিন দিন এর দিকে ঝুঁকছেন। এর ফলে, আবাদ বাড়ছে, এবং স্থানীয় কৃষকদের জন্য নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি হচ্ছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, শরীয়তপুরে ধনিয়া চাষের আয়তন বৃদ্ধি পাচ্ছে। চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬ হাজার ৫৬ হেক্টর জমি, যেখানে আবাদ হয়েছে ৬ হাজার ২৮০ হেক্টর জমিতে। স্থানীয় কৃষকরা জানিয়েছেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভালো হয়েছে এবং এর সুগন্ধি ফুলের পাশে মৌমাছিরা ভিড় করছে। এর পাশাপাশি, বাজারে ধনিয়ার মূল্যও উচ্চমানের হওয়ায় কৃষকরা এই ফসল থেকে লাভের আশায় রয়েছেন।

কৃষক সদানন্দ দাঁড়িয়া জানান, গত মৌসুমে ধনিয়ার ভালো ফলন এবং ভালো দাম পাওয়ার কারণে এবার তিনি ২০ শতক জমিতে ধনিয়া চাষ করেছেন এবং ফলনও আশাব্যঞ্জক। তিনি বলেন, “ধনিয়া চাষে লাভ হওয়ায় আমি এবার আরও জমি চাষে নিয়েছি এবং ভবিষ্যতে আরও জমিতে ধনিয়া চাষ করব।”

অন্যদিকে, কৃষক মতি বেপারী জানান, বাজারে ধনিয়ার দাম প্রতি মণ ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা, যা অন্যান্য ফসলের তুলনায় অনেক বেশি। তিনি আরও বলেন, “যদি সরকার সার ও কীটনাশক সরবরাহ করত, তবে আমাদের লাভের পরিমাণ আরও বাড়ত।”

এ বিষয়ে, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোস্তফা কামাল হোসেন বলেন, “ধনিয়া এখন শরীয়তপুরের একটি ব্র্যান্ড হয়ে উঠেছে। কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণ এবং সঠিক পরামর্শ দিয়ে আমরা এই চাষ অব্যাহত রাখতে চেষ্টা করছি, যাতে তারা ন্যায্য মূল্য পায়।”

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৪:১৭:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
৫১৪ বার পড়া হয়েছে

ধনিয়ার চাষে সাফল্য: শরীয়তপুরে কৃষকদের নতুন সম্ভাবনা

আপডেট সময় ০৪:১৭:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

শরীয়তপুরের কৃষি অঞ্চলে ধনিয়ার চাষ এখন একটি লাভজনক ও জনপ্রিয় ফসল হয়ে উঠেছে। মসলা জাতীয় এই ফসলের উৎপাদন খরচ কম এবং বাজারে দাম বেশ ভালো থাকায় কৃষকরা দিন দিন এর দিকে ঝুঁকছেন। এর ফলে, আবাদ বাড়ছে, এবং স্থানীয় কৃষকদের জন্য নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি হচ্ছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, শরীয়তপুরে ধনিয়া চাষের আয়তন বৃদ্ধি পাচ্ছে। চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬ হাজার ৫৬ হেক্টর জমি, যেখানে আবাদ হয়েছে ৬ হাজার ২৮০ হেক্টর জমিতে। স্থানীয় কৃষকরা জানিয়েছেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভালো হয়েছে এবং এর সুগন্ধি ফুলের পাশে মৌমাছিরা ভিড় করছে। এর পাশাপাশি, বাজারে ধনিয়ার মূল্যও উচ্চমানের হওয়ায় কৃষকরা এই ফসল থেকে লাভের আশায় রয়েছেন।

কৃষক সদানন্দ দাঁড়িয়া জানান, গত মৌসুমে ধনিয়ার ভালো ফলন এবং ভালো দাম পাওয়ার কারণে এবার তিনি ২০ শতক জমিতে ধনিয়া চাষ করেছেন এবং ফলনও আশাব্যঞ্জক। তিনি বলেন, “ধনিয়া চাষে লাভ হওয়ায় আমি এবার আরও জমি চাষে নিয়েছি এবং ভবিষ্যতে আরও জমিতে ধনিয়া চাষ করব।”

অন্যদিকে, কৃষক মতি বেপারী জানান, বাজারে ধনিয়ার দাম প্রতি মণ ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা, যা অন্যান্য ফসলের তুলনায় অনেক বেশি। তিনি আরও বলেন, “যদি সরকার সার ও কীটনাশক সরবরাহ করত, তবে আমাদের লাভের পরিমাণ আরও বাড়ত।”

এ বিষয়ে, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোস্তফা কামাল হোসেন বলেন, “ধনিয়া এখন শরীয়তপুরের একটি ব্র্যান্ড হয়ে উঠেছে। কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণ এবং সঠিক পরামর্শ দিয়ে আমরা এই চাষ অব্যাহত রাখতে চেষ্টা করছি, যাতে তারা ন্যায্য মূল্য পায়।”