ঢাকা ০৩:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ষাটগম্বুজ মসজিদে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত সম্পন্ন : মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড় ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তাব পুনর্ব্যক্ত করলো বিএনপি ঈদের দিনেও গাজায় রক্তক্ষরণ: ইসরায়েলি হামলায় ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পবিত্র ঈদুল আযহায় স্বাস্থ্যসচেতনতা: সুস্থ থাকুন, নিরাপদে ঈদ করুন আর্জেন্টিনার জয় চিলিতে, গোল আলভারেজের ঈদুল আজহা উপলক্ষে ওমানে ৬৪৫ কারাবন্দিকে ক্ষমা দিলেন সুলতান হাইথাম দুবাইয়ে ঈদুল আজহার নামাজ সম্পন্ন, ঈদগাহে মুসল্লিদের ঢল বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ বিলিয়ন ডলারে ফের অন্তঃসত্ত্বা ‘দৃশ্যম’ অভিনেত্রী ঈশিতা দত্ত, প্রকাশ্যে বেবি বাম্প

বিএএসএ’র তীব্র প্রতিক্রিয়া: জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব আদালতের সিদ্ধান্তের পরিপন্থী

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:৪৮:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 43

ছবি: সংগৃহীত

 

বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন (বিএএসএ) জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে, যা সুপ্রিম কোর্টের রায়ের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে তারা মন্তব্য করেছে।

এ প্রসঙ্গে, বিএএসএ’র সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম ও মহাসচিব শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী গতকাল এক বিবৃতিতে বলেছেন, “সরকারের উদ্যোগে গঠিত জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন দেশের সার্বিক উন্নয়ন ও প্রশাসন ব্যবস্থাকে আরও দক্ষ, জনমুখী এবং জবাবদিহিমূলক করার লক্ষ্যেই কাজ করছে। তবে কিছু পক্ষের স্বার্থে বিভাজন সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে, যা সরকারের সদিচ্ছাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।”

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “বিএএসএ সরকার পরিচালিত সকল সংস্কার কর্মসূচির সাথে একাত্ম এবং সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। তবে কমিশনের সুপারিশে কিছু বিষয় নিয়ে পুনর্বিবেচনা প্রয়োজন। বিশেষত, উপসচিব পদে পদোন্নতি সম্পর্কে প্রস্তাবিত ৫০% কোটা সংস্কারের বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের চূড়ান্ত রায়ের পরিপন্থী। ২০১৬ সালের রায়ে প্রশাসন ক্যাডারের ৭৫% পদোন্নতির অধিকারকে বৈধ ঘোষণা করা হয়, যা কমিশনের প্রস্তাবের সাথে সাংঘর্ষিক।”

এছাড়াও, বিএএসএ উল্লেখ করেছে যে, কমিশনের প্রস্তাবিত কোটা পরিবর্তন, যেখানে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের জন্য কোটা ৫০% করা হয়েছে, তা মেধাভিত্তিক পদোন্নতির মূলনীতির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয় এবং এটি শাসন ব্যবস্থার ভারসাম্যকে বিপর্যস্ত করতে পারে।

বিএএসএ সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছে, “জন্মসিদ্ধ অধিকার ও প্রশাসন ক্যাডারের ঐতিহাসিক ভূমিকা বিবেচনায় এই প্রস্তাব পুনর্বিবেচনা করা হোক, যাতে দেশের শাসনব্যবস্থায় স্থিতিশীলতা বজায় থাকে।” এ ধরনের প্রতিক্রিয়া এবং সরকারী পদক্ষেপের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করতে প্রয়োজন যথাযথ সমঝোতা ও সতর্ক পদক্ষেপ, যা দেশের শাসন ব্যবস্থাকে আরও সুসংহত করবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

বিএএসএ’র তীব্র প্রতিক্রিয়া: জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব আদালতের সিদ্ধান্তের পরিপন্থী

আপডেট সময় ০৫:৪৮:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন (বিএএসএ) জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে, যা সুপ্রিম কোর্টের রায়ের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে তারা মন্তব্য করেছে।

এ প্রসঙ্গে, বিএএসএ’র সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম ও মহাসচিব শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী গতকাল এক বিবৃতিতে বলেছেন, “সরকারের উদ্যোগে গঠিত জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন দেশের সার্বিক উন্নয়ন ও প্রশাসন ব্যবস্থাকে আরও দক্ষ, জনমুখী এবং জবাবদিহিমূলক করার লক্ষ্যেই কাজ করছে। তবে কিছু পক্ষের স্বার্থে বিভাজন সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে, যা সরকারের সদিচ্ছাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।”

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “বিএএসএ সরকার পরিচালিত সকল সংস্কার কর্মসূচির সাথে একাত্ম এবং সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। তবে কমিশনের সুপারিশে কিছু বিষয় নিয়ে পুনর্বিবেচনা প্রয়োজন। বিশেষত, উপসচিব পদে পদোন্নতি সম্পর্কে প্রস্তাবিত ৫০% কোটা সংস্কারের বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের চূড়ান্ত রায়ের পরিপন্থী। ২০১৬ সালের রায়ে প্রশাসন ক্যাডারের ৭৫% পদোন্নতির অধিকারকে বৈধ ঘোষণা করা হয়, যা কমিশনের প্রস্তাবের সাথে সাংঘর্ষিক।”

এছাড়াও, বিএএসএ উল্লেখ করেছে যে, কমিশনের প্রস্তাবিত কোটা পরিবর্তন, যেখানে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের জন্য কোটা ৫০% করা হয়েছে, তা মেধাভিত্তিক পদোন্নতির মূলনীতির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয় এবং এটি শাসন ব্যবস্থার ভারসাম্যকে বিপর্যস্ত করতে পারে।

বিএএসএ সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছে, “জন্মসিদ্ধ অধিকার ও প্রশাসন ক্যাডারের ঐতিহাসিক ভূমিকা বিবেচনায় এই প্রস্তাব পুনর্বিবেচনা করা হোক, যাতে দেশের শাসনব্যবস্থায় স্থিতিশীলতা বজায় থাকে।” এ ধরনের প্রতিক্রিয়া এবং সরকারী পদক্ষেপের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করতে প্রয়োজন যথাযথ সমঝোতা ও সতর্ক পদক্ষেপ, যা দেশের শাসন ব্যবস্থাকে আরও সুসংহত করবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।