ঢাকা ০১:৫৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সবুজবাগে বিদেশী পিস্তল ও গুলিসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে ডিবি তুরস্কে স্কি রিসোর্টে অগ্নিকাণ্ড: মালিকসহ ৯ জন গ্রেপ্তার ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট সামিটে প্রধান উপদেষ্টাকে আমন্ত্রণ চিটাগং কিংসকে উড়িয়ে দিয়ে ঢাকা ক্যাপিটালসের টানা তৃতীয় জয়   গাজায় ব্যর্থতার দায়ে পদত্যাগের প্রস্তুতিতে শিন বেত প্রধান রনেন বার যেসব পণ্যে ভ্যাট কমালো এনবিআর গাজায় ব্যর্থতার দায়ে এবার পদত্যাগের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরাইলি অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেত-এর প্রধান রনেন বার। পুতিনের ভূমিকা নিয়ে ট্রাম্পের উদ্বেগ, নতুন নিষেধাজ্ঞার ইঙ্গিত ট্রাম্প প্রশাসনের সিদ্ধান্ত: বৈদেশিক সহায়তায় ৯০ দিনের সাময়িক স্থগিতাদেশ ইতালি থেকে আসা সেই বিমানে তল্লাশির পর যা জানা গেল

শিল্প ও বাণিজ্য

ডিসেম্বরে আমদানির রেকর্ড: ব্যবসায় চাঙাভাবের ইঙ্গিত

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি সংগৃহীত

 

গত আগস্টে দেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর ব্যবসা-বাণিজ্যে মন্দাভাব ছিল স্পষ্ট। ঋণপত্র খোলা, ডলারের মূল্যবৃদ্ধি এবং ব্যাংকিং খাতের সংকটের কারণে আমদানি কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দেয়। তবে ব্যবসায়ীদের শঙ্কা দূর করে, গত ডিসেম্বরে পণ্যের আমদানিতে রেকর্ড হয়েছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্য অনুযায়ী, ডিসেম্বরে মোট ১ কোটি ৩৪ লাখ টন পণ্য আমদানি হয়েছে, যা গত ৩৩ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। শুল্কায়ন মূল্যের দিক থেকেও ডিসেম্বরে ৭৩৮ কোটি মার্কিন ডলারের পণ্য আমদানি হয়, যা ১৯ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও শিল্পের কাঁচামালের আমদানিতে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি দেখা গেছে। ডিসেম্বরে চাল আমদানি হয় ১ লাখ ৩৬ হাজার টন, যেখানে আগের বছরের একই সময়ে আমদানি ছিল শূন্য। গম আমদানি বেড়ে দাঁড়ায় ৭ লাখ ৪১ হাজার টনে, যা ৭৩ শতাংশ বেশি।

পেঁয়াজ ও ডালের আমদানিতে সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি দেখা যায়। পেঁয়াজ আমদানি ২১৩ শতাংশ বেড়ে হয় ৮২ হাজার টন, আর ডাল আমদানি ১৬৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ১ লাখ ৯৫ হাজার টনে। শিল্প খাতে তুলা, ক্লিংকার ও এলপি গ্যাসের আমদানিও যথাক্রমে ৬, ১৯ ও ৫৪ শতাংশ বেড়েছে।

ডিসেম্বরে আমদানির এই ঊর্ধ্বগতি ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত দেয়। চলমান চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও, আমদানি বৃদ্ধির এই ধারা অর্থনীতির জন্য একটি ইতিবাচক সিগন্যাল।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১০:০৯:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫
৫২৩ বার পড়া হয়েছে

শিল্প ও বাণিজ্য

ডিসেম্বরে আমদানির রেকর্ড: ব্যবসায় চাঙাভাবের ইঙ্গিত

আপডেট সময় ১০:০৯:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫

 

গত আগস্টে দেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর ব্যবসা-বাণিজ্যে মন্দাভাব ছিল স্পষ্ট। ঋণপত্র খোলা, ডলারের মূল্যবৃদ্ধি এবং ব্যাংকিং খাতের সংকটের কারণে আমদানি কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দেয়। তবে ব্যবসায়ীদের শঙ্কা দূর করে, গত ডিসেম্বরে পণ্যের আমদানিতে রেকর্ড হয়েছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্য অনুযায়ী, ডিসেম্বরে মোট ১ কোটি ৩৪ লাখ টন পণ্য আমদানি হয়েছে, যা গত ৩৩ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। শুল্কায়ন মূল্যের দিক থেকেও ডিসেম্বরে ৭৩৮ কোটি মার্কিন ডলারের পণ্য আমদানি হয়, যা ১৯ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও শিল্পের কাঁচামালের আমদানিতে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি দেখা গেছে। ডিসেম্বরে চাল আমদানি হয় ১ লাখ ৩৬ হাজার টন, যেখানে আগের বছরের একই সময়ে আমদানি ছিল শূন্য। গম আমদানি বেড়ে দাঁড়ায় ৭ লাখ ৪১ হাজার টনে, যা ৭৩ শতাংশ বেশি।

পেঁয়াজ ও ডালের আমদানিতে সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি দেখা যায়। পেঁয়াজ আমদানি ২১৩ শতাংশ বেড়ে হয় ৮২ হাজার টন, আর ডাল আমদানি ১৬৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ১ লাখ ৯৫ হাজার টনে। শিল্প খাতে তুলা, ক্লিংকার ও এলপি গ্যাসের আমদানিও যথাক্রমে ৬, ১৯ ও ৫৪ শতাংশ বেড়েছে।

ডিসেম্বরে আমদানির এই ঊর্ধ্বগতি ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত দেয়। চলমান চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও, আমদানি বৃদ্ধির এই ধারা অর্থনীতির জন্য একটি ইতিবাচক সিগন্যাল।