০৪:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫

সুদানে মসজিদে ড্রোন হামলা, নিহত ৭৮

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:২৯:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / 70

ছবি সংগৃহীত

 

সুদানে একটি মসজিদে ড্রোন হামলায় ৭৮ জন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় এল-ফাসের শহরে এই হামলার ঘটনা ঘটে।

শুক্রবার এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, সুদানের দারফুর অঞ্চলে একটি মসজিদে ড্রোন হামলায় ৭০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন বলে দেশের এক জ্যেষ্ঠ চিকিৎসকের বরাত দিয়ে উল্লেখ করা হয়েছে।
হামলার জন্য আধাসামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) কে দায়ী করা হলেও, তারা এখনও দায় স্বীকার করেনি। আরএসএফ এবং সুদানের সেনাবাহিনী দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে ভয়াবহ গৃহযুদ্ধে লিপ্ত রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক গ্রুপ ‘ইমার্জেন্সি রেসপন্স গ্রুপ’ জানায়, আবু সোউক ক্যাম্পের মসজিদে এ হামলা হয়, যা রাজধানী দারফুরের উত্তর দিকে অবস্থিত। মসজিদের ধ্বংসস্তূপ থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়েছে।

এল-ফাসের শহরটি গত ১৮ মাস ধরে আরএসএফের অবরোধের মুখে রয়েছে, যা সুদানের সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকা দারফুরের শেষ অঞ্চল। ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে আরএসএফ এবং সেনাবাহিনীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ শুরু হয়, যা পরে ভয়াবহ গৃহযুদ্ধে রূপ নেয়।

ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউমেনিটেরিয়ান রিসার্চ ল্যাব বৃহস্পতিবার স্যাটেলাইট ছবি প্রকাশ করে, যাতে দেখা যাচ্ছে আরএসএফের সেনারা ওই অঞ্চলের চারদিক দিয়ে এগিয়ে আসছে। এর মধ্যে আবু সোউক ক্যাম্প এবং ইউনিমিডের শান্তিরক্ষী বাহিনীর ঘাঁটিও রয়েছে, যা এখন আরএসএফ-বিরোধী যৌথ বাহিনীর ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
জাতিসংঘ ও অন্যান্য মানবাধিকার সংস্থা জানিয়েছে, চলমান এই গৃহযুদ্ধে গণহত্যাসহ অন্যান্য ভয়াবহ অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

সুদানে মসজিদে ড্রোন হামলা, নিহত ৭৮

আপডেট সময় ১১:২৯:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

 

সুদানে একটি মসজিদে ড্রোন হামলায় ৭৮ জন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় এল-ফাসের শহরে এই হামলার ঘটনা ঘটে।

শুক্রবার এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, সুদানের দারফুর অঞ্চলে একটি মসজিদে ড্রোন হামলায় ৭০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন বলে দেশের এক জ্যেষ্ঠ চিকিৎসকের বরাত দিয়ে উল্লেখ করা হয়েছে।
হামলার জন্য আধাসামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) কে দায়ী করা হলেও, তারা এখনও দায় স্বীকার করেনি। আরএসএফ এবং সুদানের সেনাবাহিনী দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে ভয়াবহ গৃহযুদ্ধে লিপ্ত রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক গ্রুপ ‘ইমার্জেন্সি রেসপন্স গ্রুপ’ জানায়, আবু সোউক ক্যাম্পের মসজিদে এ হামলা হয়, যা রাজধানী দারফুরের উত্তর দিকে অবস্থিত। মসজিদের ধ্বংসস্তূপ থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়েছে।

এল-ফাসের শহরটি গত ১৮ মাস ধরে আরএসএফের অবরোধের মুখে রয়েছে, যা সুদানের সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকা দারফুরের শেষ অঞ্চল। ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে আরএসএফ এবং সেনাবাহিনীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ শুরু হয়, যা পরে ভয়াবহ গৃহযুদ্ধে রূপ নেয়।

ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউমেনিটেরিয়ান রিসার্চ ল্যাব বৃহস্পতিবার স্যাটেলাইট ছবি প্রকাশ করে, যাতে দেখা যাচ্ছে আরএসএফের সেনারা ওই অঞ্চলের চারদিক দিয়ে এগিয়ে আসছে। এর মধ্যে আবু সোউক ক্যাম্প এবং ইউনিমিডের শান্তিরক্ষী বাহিনীর ঘাঁটিও রয়েছে, যা এখন আরএসএফ-বিরোধী যৌথ বাহিনীর ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
জাতিসংঘ ও অন্যান্য মানবাধিকার সংস্থা জানিয়েছে, চলমান এই গৃহযুদ্ধে গণহত্যাসহ অন্যান্য ভয়াবহ অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।