ঢাকা ০৬:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫, ৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
স্বাধীনতার উদ্দেশ্য ছিল গণতন্ত্র ও অর্থনৈতিক মুক্তি : মঈন খান সিন্ডিকেট রুখতে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ১৫ বছরের ধ্বংস করা দেশ এক দিনে ঠিক করা সম্ভব নয়: মির্জা ফখরুল ভারতের রাষ্ট্রদূত হিসেবে সার্জিও গোরকে মনোনীত করলেন ট্রাম্প দুই সপ্তাহের মধ্যে ভোটার তালিকা চূড়ান্ত প্রকাশ হবে: সিইসি জনগণ নির্বাচনমুখী হলে কোনো ষড়যন্ত্র কাজে আসবে না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা শ্রীবরদীতে পাহাড় ও টিলা কর্তন রোধে জনসচেতনতা মূলক ক্যাম্পেইন ১৩ বছর পর নব অধ্যায়? ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইবিতে ইকসু গঠন নিয়ে শিক্ষার্থীদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত চীনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন রাবি শিক্ষার্থী রেদওয়ান ইসলাম রিদয়

ভারতের রাষ্ট্রদূত হিসেবে সার্জিও গোরকে মনোনীত করলেন ট্রাম্প

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৬:৪১:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫
  • / 1

ছবি: সংগৃহীত

 

হোয়াইট হাউসের প্রেসিডেন্সিয়াল পারসোনেল অফিসের পরিচালক সার্জিও গোরকে ভারতে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত পদে মনোনয়ন দিচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ৩৮ বছর বয়সী গোর একইসাথে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক মার্কিন বিশেষ দূতের দায়িত্বও পালন করবেন। শুক্রবার ট্রুথ সোশ্যালে একটি পোস্টে ট্রাম্প এ ঘোষণা দেন।

ট্রাম্প লিখেছেন, “সার্জিও বহু বছর ধরে আমার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ সহযোগী। তিনি আমার ঐতিহাসিক নির্বাচনী প্রচারাভিযানে কাজ করেছেন, আমার বই প্রকাশ করেছেন এবং আমাদের আন্দোলনকে সমর্থনকারী অন্যতম বড় রাজনৈতিক তহবিলও পরিচালনা করেছেন। বিশ্বের সর্বাধিক জনবহুল অঞ্চলে আমার একজন বিশ্বস্ত দূত প্রয়োজন ছিল, এবং সার্জিও হলেন সেই মানুষ।”

তিনি আরও বলেন, “সার্জিও একজন চমৎকার বন্ধু, যিনি বহু বছর ধরে আমার পাশে আছেন।”
গোরের মনোনয়ন সিনেটের অনুমোদন পাওয়া পর্যন্ত তিনি হোয়াইট হাউজের দায়িত্বে থাকবেন। গোরের এই মনোনয়ন ট্রাম্প প্রশাসনের সিদ্ধান্তের প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ আমদানি শুল্ক কার্যকর রয়েছে, এবং ২৮ আগস্ট থেকে রাশিয়া থেকে তেল আমদানিতে ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক বসতে চলেছে। এই টানাপোড়েনে নয়াদিল্লিতে গোরের অভিষেককে অনেকেই ট্রাম্পের কূটনৈতিক সংকেত হিসেবে দেখছেন।

ওয়াশিংটনের একটি শীর্ষ সূত্র জানায়, “সার্জিয়োর নিয়োগ মানে নয়াদিল্লি এখন সরাসরি প্রেসিডেন্টের বার্তা শুনবে।”
মনোনয়ন পাওয়ার পর গোর এক্স-এ লেখেন, “প্রেসিডেন্টের আস্থা ও বিশ্বাস আমার জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ সম্মান। ভারতের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করা হবে আমার জীবনের সবচেয়ে বড় গৌরব।”
গোর এরিক গারসেট্টির স্থলাভিষিক্ত হবেন, যিনি ২০২৩ সালের মে থেকে ২০২৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত দিল্লিতে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের দায়িত্বে ছিলেন। গোরের অভিষেকের মাধ্যমে গোটা দক্ষিণ এশিয়ার প্রতি ওয়াশিংটনের কৌশলগত বার্তা আরও স্পষ্ট হলো।

নিউজটি শেয়ার করুন

ভারতের রাষ্ট্রদূত হিসেবে সার্জিও গোরকে মনোনীত করলেন ট্রাম্প

আপডেট সময় ০৬:৪১:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫

 

হোয়াইট হাউসের প্রেসিডেন্সিয়াল পারসোনেল অফিসের পরিচালক সার্জিও গোরকে ভারতে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত পদে মনোনয়ন দিচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ৩৮ বছর বয়সী গোর একইসাথে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক মার্কিন বিশেষ দূতের দায়িত্বও পালন করবেন। শুক্রবার ট্রুথ সোশ্যালে একটি পোস্টে ট্রাম্প এ ঘোষণা দেন।

ট্রাম্প লিখেছেন, “সার্জিও বহু বছর ধরে আমার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ সহযোগী। তিনি আমার ঐতিহাসিক নির্বাচনী প্রচারাভিযানে কাজ করেছেন, আমার বই প্রকাশ করেছেন এবং আমাদের আন্দোলনকে সমর্থনকারী অন্যতম বড় রাজনৈতিক তহবিলও পরিচালনা করেছেন। বিশ্বের সর্বাধিক জনবহুল অঞ্চলে আমার একজন বিশ্বস্ত দূত প্রয়োজন ছিল, এবং সার্জিও হলেন সেই মানুষ।”

তিনি আরও বলেন, “সার্জিও একজন চমৎকার বন্ধু, যিনি বহু বছর ধরে আমার পাশে আছেন।”
গোরের মনোনয়ন সিনেটের অনুমোদন পাওয়া পর্যন্ত তিনি হোয়াইট হাউজের দায়িত্বে থাকবেন। গোরের এই মনোনয়ন ট্রাম্প প্রশাসনের সিদ্ধান্তের প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ আমদানি শুল্ক কার্যকর রয়েছে, এবং ২৮ আগস্ট থেকে রাশিয়া থেকে তেল আমদানিতে ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক বসতে চলেছে। এই টানাপোড়েনে নয়াদিল্লিতে গোরের অভিষেককে অনেকেই ট্রাম্পের কূটনৈতিক সংকেত হিসেবে দেখছেন।

ওয়াশিংটনের একটি শীর্ষ সূত্র জানায়, “সার্জিয়োর নিয়োগ মানে নয়াদিল্লি এখন সরাসরি প্রেসিডেন্টের বার্তা শুনবে।”
মনোনয়ন পাওয়ার পর গোর এক্স-এ লেখেন, “প্রেসিডেন্টের আস্থা ও বিশ্বাস আমার জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ সম্মান। ভারতের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করা হবে আমার জীবনের সবচেয়ে বড় গৌরব।”
গোর এরিক গারসেট্টির স্থলাভিষিক্ত হবেন, যিনি ২০২৩ সালের মে থেকে ২০২৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত দিল্লিতে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের দায়িত্বে ছিলেন। গোরের অভিষেকের মাধ্যমে গোটা দক্ষিণ এশিয়ার প্রতি ওয়াশিংটনের কৌশলগত বার্তা আরও স্পষ্ট হলো।