ঢাকা ১০:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
নিঃশব্দ আতঙ্কের ছায়া: বোবায় ধরা বা স্লিপ প্যারালাইসিসের বৈজ্ঞানিক রহস্য। রংপুরে হিন্দুপল্লীতে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৫ কোনো ধরনের নিরাপত্তা শঙ্কা নেই ৫ আগস্ট ঘিরে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মতলব উত্তরে কিস্তি নিয়ে বিরোধ, চাচার ঘুষিতে প্রাণ গেল ভাতিজার সাবেক প্রধান বিচারপতির সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর লেস্টারে ইতিহাস গড়া দাওয়াতি সম্মেলন, শুরু হলো নতুন দাওয়াতি যুগ নিখোঁজের পর ইউনিয়ন পরিষদের টয়লেট থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার রিয়ালে ১০ নম্বর জার্সির নতুন উত্তরাধিকারী এমবাপে অভিনেত্রী নন্দিনীর গাড়ির ধাক্কায় আহত যুবকের মৃত্যু শুল্কবিরতির মেয়াদ বাড়বে কিনা, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন ট্রাম্প

কয়েকটি রাজনৈতিক দল পিআর পদ্ধতিকে প্রমোট করে : মির্জা ফখরুল

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৬:০৯:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫
  • / 8

ছবি সংগৃহীত

 

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন আমাদের দেশের কয়েকটি রাজনৈতিক দল পিআর পদ্ধতি প্রমোট করে। প্রমোট নয় শুধু, পণ করে বসে আছে এটা না হলে নির্বাচনে যাবে না। আজ মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শফিউল বারী বাবুর পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভা ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শফিউল বারী স্মৃতি সংসদ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

তিনি বলেন,নির্বাচনের দিন-তারিখ নেই, পিআর পিআর করে সমাবেশ করছে একটি দল। দেশের মানুষ পিআর বোঝে না। বেশকিছু বিষয়ে সবাই একমত হচ্ছে, এটা ভালো দিক। কিন্তু সমস্যাটা তৈরি হয় যখন নতুন নতুন চিন্তা সামনে আসছে। এই চিন্তাগুলো দেশ ও জাতির কাছে পরিচিত নয়।’

তিনি বলেন, ‘পিআর পদ্ধতি আমাদের দেশের মানুষ বোঝেই না। তারা বলে, পিআর কি জিনিস ভাই? তারা এখনো ইভিএমে ভোট দিতে পারে না ঠিকমতো, তাই তারা ভোটই দেয় না। তারা পিআর বুঝবে কী করে? এই চিন্তাভাবনাগুলো থেকে দূরে সরে যেতে হবে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘দেশের মানুষ যেটাতে অভ্যস্ত সেই ভোটের ব্যবস্থা করেন। তাদের প্রতিনিধিত্বের ব্যবস্থা করেন। তাহলে সমস্যাগুলোর সমাধান হবে, না হলে হবে না। বাইরে থেকে এসে কাউকে নতুন নতুন চিন্তাভাবনা দিয়ে দেশের সমস্যার সমাধান হবে না।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, অবিলম্বে সংস্কারগুলো শেষ করুন। জাতীয় সনদ ঘোষণা করুন। আর দয়া করে নির্বাচনের যে তারিখটা নির্ধারণ করেছেন, সেই সময়টাতে নির্বাচন দিন। মানুষকে তার অধিকার ফিরিয়ে দিন, ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিন।’

শিশু একাডেমির ভবন না সরানোর অনুরোধ জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজ খুব কষ্ট পাই যখন শুনি, পত্রপত্রিকায় দেখি, শহীদ জিয়ার প্রতিষ্ঠিত শিশু একাডেমিকে এখনকার যে জায়গায় ভবন আছে সেখান থেকে ভেঙে সরিয়ে ফেলা হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমি বিবৃতি দিয়েছি, আজ আবার অনুরোধ করবো, এটা যারই জায়গা হোক, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সেদিন সবার মতামত নিয়েই আমাদের শিশুদের বিকশিত করার জন্য এটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এখানে সারাদেশের শিশুরা আসে। এটা যেন না ভাঙা হয়।’

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান রিপনসহ স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রাজধানীর বনানীতে ‘মায়ের ডাক’ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মন্তব্য করেন, মানুষের সার্বিক উন্নয়নে সহায়ক না হলে সংস্কার কোনো কাজে আসবে না।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা রাষ্ট্রের কাঠামোগত পরিবর্তন চাচ্ছি, সংস্কার চাচ্ছি। কিন্তু সেই সংস্কার যদি মানুষের সার্বিক উন্নয়নে কাজে না আসে, শিশুদের ভবিষ্যৎ নির্মাণে সাহায্য না করে, তাদের একটা নিরাপদ-নিশ্চিত জীবন দিতে না পারে, তাহলে সেই সংস্কার কোনো কাজে আসবে না।’

এ সময় রাষ্ট্র সংস্কারে শিশুর জন্য নিরাপদ রাষ্ট্র নিশ্চিতের দাবিও জানান বিএনপি মহাসচিব। অভিযোগ করে বলেন, ‘সরকার শিশু কিংবা শহীদ পরিবারের পুনর্বাসনের জন্য তেমন কিছুই করেনি।’

গুম কমিশন প্রতিবেদন দাখিল করলেও নিখোঁজদের খুঁজে পাওয়ার বিষয়ে তেমন অগ্রগতি হয়নি উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘যারা গুম হয়েছেন, তাদের ফিরিয়ে দিতে না পারলেও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য কিছু করার সুযোগ আছে। তাদের জন্য কিছু না করলে সবাই দায়ী থাকবে।’

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে শহীদ পরিবারগুলোর পুনর্বাসনে উদ্যোগ নেবে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে জনগণের সমর্থনে যদি বিএনপি নির্বাচিত হতে পারে, তাহলে তারেক রহমান শহীদ পরিবারের পুনর্বাসনে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তা বাস্তবায়ন করব। যে শিশু তার অভিভাবক হারিয়েছে তাদের পুনর্বাসনের সর্বাত্মক চেষ্টা করব।’

 

নিউজটি শেয়ার করুন

কয়েকটি রাজনৈতিক দল পিআর পদ্ধতিকে প্রমোট করে : মির্জা ফখরুল

আপডেট সময় ০৬:০৯:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫

 

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন আমাদের দেশের কয়েকটি রাজনৈতিক দল পিআর পদ্ধতি প্রমোট করে। প্রমোট নয় শুধু, পণ করে বসে আছে এটা না হলে নির্বাচনে যাবে না। আজ মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শফিউল বারী বাবুর পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভা ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শফিউল বারী স্মৃতি সংসদ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

তিনি বলেন,নির্বাচনের দিন-তারিখ নেই, পিআর পিআর করে সমাবেশ করছে একটি দল। দেশের মানুষ পিআর বোঝে না। বেশকিছু বিষয়ে সবাই একমত হচ্ছে, এটা ভালো দিক। কিন্তু সমস্যাটা তৈরি হয় যখন নতুন নতুন চিন্তা সামনে আসছে। এই চিন্তাগুলো দেশ ও জাতির কাছে পরিচিত নয়।’

তিনি বলেন, ‘পিআর পদ্ধতি আমাদের দেশের মানুষ বোঝেই না। তারা বলে, পিআর কি জিনিস ভাই? তারা এখনো ইভিএমে ভোট দিতে পারে না ঠিকমতো, তাই তারা ভোটই দেয় না। তারা পিআর বুঝবে কী করে? এই চিন্তাভাবনাগুলো থেকে দূরে সরে যেতে হবে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘দেশের মানুষ যেটাতে অভ্যস্ত সেই ভোটের ব্যবস্থা করেন। তাদের প্রতিনিধিত্বের ব্যবস্থা করেন। তাহলে সমস্যাগুলোর সমাধান হবে, না হলে হবে না। বাইরে থেকে এসে কাউকে নতুন নতুন চিন্তাভাবনা দিয়ে দেশের সমস্যার সমাধান হবে না।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, অবিলম্বে সংস্কারগুলো শেষ করুন। জাতীয় সনদ ঘোষণা করুন। আর দয়া করে নির্বাচনের যে তারিখটা নির্ধারণ করেছেন, সেই সময়টাতে নির্বাচন দিন। মানুষকে তার অধিকার ফিরিয়ে দিন, ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিন।’

শিশু একাডেমির ভবন না সরানোর অনুরোধ জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজ খুব কষ্ট পাই যখন শুনি, পত্রপত্রিকায় দেখি, শহীদ জিয়ার প্রতিষ্ঠিত শিশু একাডেমিকে এখনকার যে জায়গায় ভবন আছে সেখান থেকে ভেঙে সরিয়ে ফেলা হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমি বিবৃতি দিয়েছি, আজ আবার অনুরোধ করবো, এটা যারই জায়গা হোক, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সেদিন সবার মতামত নিয়েই আমাদের শিশুদের বিকশিত করার জন্য এটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এখানে সারাদেশের শিশুরা আসে। এটা যেন না ভাঙা হয়।’

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান রিপনসহ স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রাজধানীর বনানীতে ‘মায়ের ডাক’ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মন্তব্য করেন, মানুষের সার্বিক উন্নয়নে সহায়ক না হলে সংস্কার কোনো কাজে আসবে না।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা রাষ্ট্রের কাঠামোগত পরিবর্তন চাচ্ছি, সংস্কার চাচ্ছি। কিন্তু সেই সংস্কার যদি মানুষের সার্বিক উন্নয়নে কাজে না আসে, শিশুদের ভবিষ্যৎ নির্মাণে সাহায্য না করে, তাদের একটা নিরাপদ-নিশ্চিত জীবন দিতে না পারে, তাহলে সেই সংস্কার কোনো কাজে আসবে না।’

এ সময় রাষ্ট্র সংস্কারে শিশুর জন্য নিরাপদ রাষ্ট্র নিশ্চিতের দাবিও জানান বিএনপি মহাসচিব। অভিযোগ করে বলেন, ‘সরকার শিশু কিংবা শহীদ পরিবারের পুনর্বাসনের জন্য তেমন কিছুই করেনি।’

গুম কমিশন প্রতিবেদন দাখিল করলেও নিখোঁজদের খুঁজে পাওয়ার বিষয়ে তেমন অগ্রগতি হয়নি উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘যারা গুম হয়েছেন, তাদের ফিরিয়ে দিতে না পারলেও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য কিছু করার সুযোগ আছে। তাদের জন্য কিছু না করলে সবাই দায়ী থাকবে।’

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে শহীদ পরিবারগুলোর পুনর্বাসনে উদ্যোগ নেবে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে জনগণের সমর্থনে যদি বিএনপি নির্বাচিত হতে পারে, তাহলে তারেক রহমান শহীদ পরিবারের পুনর্বাসনে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তা বাস্তবায়ন করব। যে শিশু তার অভিভাবক হারিয়েছে তাদের পুনর্বাসনের সর্বাত্মক চেষ্টা করব।’