ঢাকা ০৩:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সিনসিনাটির কাছে ইন্টার মায়ামির পরাজয়, থেমে গেল মেসিদের জয়রথ ইরাকের শপিং মলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৫০, আহত বহু মোহাম্মদপুরে গুলি ও পিটিয়ে দুইজনকে হত্যা, আটক ২ জন গোপালগঞ্জে সংঘর্ষের ঘটনায় ১৪ জন আটক, মামলা প্রস্তুতিতে পুলিশ গাজা সংকটে আশার বার্তা দিলেন ট্রাম্প, আলোচনায় অগ্রগতির ইঙ্গিত গোপালগঞ্জ জেলায় স্থগিত আজকের এইচএসসি পরীক্ষা চিকিৎসাবিজ্ঞানে মাইলফলক: তিন ডিএনএর সমন্বয়ে ৮ শিশুর জন্ম, জিনগত ব্যাধির সমাধান বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবার ৩০ বিলিয়নের ঘরে, স্বস্তি রেমিট্যান্সেও নিউ ইয়র্কে ইতিহাসের বৃহত্তম মঙ্গল গ্রহের পাথর ৪.৩ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি শ্রীলঙ্কায় ইতিহাস গড়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতল বাংলাদেশ

গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশে হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে: অন্তর্বর্তী সরকার

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৬:৪৩:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
  • / 4

ছবি সংগৃহীত

 

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশে হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। বুধবার বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, শান্তিপূর্ণ সমাবেশে হামলা করা এবং তাতে বাধা দেওয়া একটি মৌলিক অধিকার লঙ্ঘনের জঘন্য উদাহরণ। এই ধরনের সহিংসতা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, বিপ্লবী আন্দোলনের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত তরুণ নাগরিকদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে বাধা দেওয়া হয়েছে, যা সাংবিধানিক অধিকার ও নাগরিক স্বাধীনতার সরাসরি লঙ্ঘন। সরকার বলেছে, জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য, পুলিশ সদস্য এবং গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর নৃশংস হামলা চালানো হয়েছে। গাড়ি ভাঙচুর, শারীরিক আক্রমণসহ সহিংসতা ছড়ানো হয়েছে পরিকল্পিতভাবে।

সরকারের দাবি, নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগ এবং আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরা এই হামলার সঙ্গে জড়িত। এই ঘৃণ্য অপরাধের সঙ্গে জড়িত কেউই শাস্তির বাইরে থাকবে না বলেও হুঁশিয়ার করেছে সরকার। একইসঙ্গে বলা হয়েছে, অপরাধীদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

বিবৃতিতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তাৎক্ষণিক পদক্ষেপের প্রশংসা জানিয়ে বলা হয়, সেনাবাহিনী ও পুলিশের দ্রুত হস্তক্ষেপ সংঘর্ষকে আরো ভয়াবহ হতে দেয়নি। সেইসঙ্গে যারা এই হুমকি ও নির্যাতনের মধ্যেও সাহসিকতার সঙ্গে সমাবেশ চালিয়ে গেছেন, তাদের দৃঢ়তা ও সহনশীলতার প্রশংসা করেছে সরকার।

ঘটনার পর গোপালগঞ্জে ১৪৪ ধারা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুরে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। এর মাধ্যমে সব ধরনের সভা-সমাবেশ ও জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

সরকারের ভাষ্য অনুযায়ী, দেশের কোনো নাগরিকের ওপর রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে এমন সহিংসতা অগ্রহণযোগ্য। শান্তিপূর্ণ মতপ্রকাশের অধিকারের প্রতি সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং যে কোনো মূল্যে দোষীদের বিচারের আওতায় আনা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশে হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে: অন্তর্বর্তী সরকার

আপডেট সময় ০৬:৪৩:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫

 

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশে হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। বুধবার বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, শান্তিপূর্ণ সমাবেশে হামলা করা এবং তাতে বাধা দেওয়া একটি মৌলিক অধিকার লঙ্ঘনের জঘন্য উদাহরণ। এই ধরনের সহিংসতা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, বিপ্লবী আন্দোলনের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত তরুণ নাগরিকদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে বাধা দেওয়া হয়েছে, যা সাংবিধানিক অধিকার ও নাগরিক স্বাধীনতার সরাসরি লঙ্ঘন। সরকার বলেছে, জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য, পুলিশ সদস্য এবং গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর নৃশংস হামলা চালানো হয়েছে। গাড়ি ভাঙচুর, শারীরিক আক্রমণসহ সহিংসতা ছড়ানো হয়েছে পরিকল্পিতভাবে।

সরকারের দাবি, নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগ এবং আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরা এই হামলার সঙ্গে জড়িত। এই ঘৃণ্য অপরাধের সঙ্গে জড়িত কেউই শাস্তির বাইরে থাকবে না বলেও হুঁশিয়ার করেছে সরকার। একইসঙ্গে বলা হয়েছে, অপরাধীদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

বিবৃতিতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তাৎক্ষণিক পদক্ষেপের প্রশংসা জানিয়ে বলা হয়, সেনাবাহিনী ও পুলিশের দ্রুত হস্তক্ষেপ সংঘর্ষকে আরো ভয়াবহ হতে দেয়নি। সেইসঙ্গে যারা এই হুমকি ও নির্যাতনের মধ্যেও সাহসিকতার সঙ্গে সমাবেশ চালিয়ে গেছেন, তাদের দৃঢ়তা ও সহনশীলতার প্রশংসা করেছে সরকার।

ঘটনার পর গোপালগঞ্জে ১৪৪ ধারা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুরে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। এর মাধ্যমে সব ধরনের সভা-সমাবেশ ও জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

সরকারের ভাষ্য অনুযায়ী, দেশের কোনো নাগরিকের ওপর রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে এমন সহিংসতা অগ্রহণযোগ্য। শান্তিপূর্ণ মতপ্রকাশের অধিকারের প্রতি সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং যে কোনো মূল্যে দোষীদের বিচারের আওতায় আনা হবে।