০৭:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
মোহাম্মদপুরে মা–মেয়েকে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ঢাকা-১১ আসনে নির্বাচন করবেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক।

শিশু ধর্ষণের ঘটনায় দুই দশক পর ট্রাফিক পুলিশের শাস্তি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৩০:০৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
  • / 49

ছবি সংগৃহীত

 

২০০৬ সালের বাসাবো ঘটনার ধর্ষণ মামলায় পলাতক আসামি ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা মো. আজাদুলের বিরুদ্ধে সাজা-পরোয়ানা জারি করেছেন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল‑৫ এর বিচারক মো. শামছুল ইসলাম। বিষয়টি গতকাল মঙ্গলবার আদালতে ঘোষণা করেন তিনি, নিশ্চিত করেছেন বেঞ্চ সহকারী মো. কামাল হোসেন।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ময়মনসিংহ থেকে গৃহকাজের উদ্দেশে মামার সঙ্গে ঢাকায় আসা ১২ বছরের এক শিশু ২০০৬ সালের এপ্রিল মাসে গৃহকর্তার নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বাসা ছেড়ে পালিয়ে যায়। যাত্রাবাড়ী মোড়ে কান্নারত অবস্থায় তাকে দেখতে পান ট্রাফিক কনস্টেবল আজাদুল। ‘মহাখালী পৌঁছে দেব’ বলে বিশ্বাস অর্জন করে তিনি শিশুটিকে নিজ বাসায় নিয়ে যান এবং টানা নয় দিন আটকে রেখে ধর্ষণ করেন। পরে এলাকার মানুষের খবর পেয়ে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের নেত্রীরা শিশুটিকে উদ্ধার করেন। ওই বছরের ১৯ এপ্রিল সবুজবাগ থানায় ধর্ষণের মামলা করেন ভুক্তভোগী।

বিজ্ঞাপন

২০১৮ সালে ঢাকার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ তানজিনা ঈসমাইল মামলার রায় দেন—আজাদুলকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড, যার অর্ধেক ভুক্তভোগীকে দিতে নির্দেশনা ছিল। কিন্তু আসামি পলাতক থাকায় সে সময় সাজা-পরোয়ানা ইস্যু করা যায়নি। ২০২4 সালে আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে; চলতি বছরের জুনে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। ফলে ট্রাইব্যুনাল‑৫ এখন আনুষ্ঠানিক ভাবে সাজা-পরোয়ানা জারি করল, যা দ্রুত কার্যকর করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

শিশু ধর্ষণের ঘটনায় দুই দশক পর ট্রাফিক পুলিশের শাস্তি

আপডেট সময় ১০:৩০:০৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫

 

২০০৬ সালের বাসাবো ঘটনার ধর্ষণ মামলায় পলাতক আসামি ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা মো. আজাদুলের বিরুদ্ধে সাজা-পরোয়ানা জারি করেছেন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল‑৫ এর বিচারক মো. শামছুল ইসলাম। বিষয়টি গতকাল মঙ্গলবার আদালতে ঘোষণা করেন তিনি, নিশ্চিত করেছেন বেঞ্চ সহকারী মো. কামাল হোসেন।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ময়মনসিংহ থেকে গৃহকাজের উদ্দেশে মামার সঙ্গে ঢাকায় আসা ১২ বছরের এক শিশু ২০০৬ সালের এপ্রিল মাসে গৃহকর্তার নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বাসা ছেড়ে পালিয়ে যায়। যাত্রাবাড়ী মোড়ে কান্নারত অবস্থায় তাকে দেখতে পান ট্রাফিক কনস্টেবল আজাদুল। ‘মহাখালী পৌঁছে দেব’ বলে বিশ্বাস অর্জন করে তিনি শিশুটিকে নিজ বাসায় নিয়ে যান এবং টানা নয় দিন আটকে রেখে ধর্ষণ করেন। পরে এলাকার মানুষের খবর পেয়ে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের নেত্রীরা শিশুটিকে উদ্ধার করেন। ওই বছরের ১৯ এপ্রিল সবুজবাগ থানায় ধর্ষণের মামলা করেন ভুক্তভোগী।

বিজ্ঞাপন

২০১৮ সালে ঢাকার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ তানজিনা ঈসমাইল মামলার রায় দেন—আজাদুলকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড, যার অর্ধেক ভুক্তভোগীকে দিতে নির্দেশনা ছিল। কিন্তু আসামি পলাতক থাকায় সে সময় সাজা-পরোয়ানা ইস্যু করা যায়নি। ২০২4 সালে আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে; চলতি বছরের জুনে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। ফলে ট্রাইব্যুনাল‑৫ এখন আনুষ্ঠানিক ভাবে সাজা-পরোয়ানা জারি করল, যা দ্রুত কার্যকর করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।