১১:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

আমাদের উজানের দেশ, তথ্য না দিলে বন্যার প্রস্তুতি নেওয়া কঠিন: পরিবেশ উপদেষ্টা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৬:৪২:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫
  • / 81

ছবি : সংগৃহীত

 

উজানের দেশ ভারত বাঁধ খুলে পানি ছাড়ার আগে সময়মতো তথ্য না দিলে বাংলাদেশে বন্যা মোকাবেলায় প্রস্তুতি নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

তিনি বলেন, “ঢলের পরিমাণ সম্পর্কে আগাম তথ্য না থাকায় আমরা পূর্বপ্রস্তুতি নিতে পারি না। উজানের দেশ যদি মাত্র দুই ঘণ্টা আগে জানায় যে তারা গেট খুলবে, তাহলে আমাদের পক্ষে প্রস্তুতি নেওয়া কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়ে।”

বিজ্ঞাপন

সোমবার (১৪ জুলাই) বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, রাইমস ও বিশ্বব্যাংকের ‘কেয়ার ফর সাউথ এশিয়া’ প্রকল্পের আওতায় বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নতুন ওয়েবসাইট এবং ডিসিশন সাপোর্ট সিস্টেম (ডিএসএস) উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা।

রিজওয়ানা হাসান জানান, বাংলাদেশে রিয়েল টাইম তথ্যের ঘাটতি রয়েছে। তিনি বলেন, “আমাদের কাছে রিয়েল টাইম ডেটা নেই। আমরা যতক্ষণ না জানি কতটা পানি ছাড়া হবে, ততক্ষণ সঠিকভাবে ঝুঁকি মূল্যায়ন করতে পারি না।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা এখন যুক্তরাজ্যের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা করছি যাতে তারা আমাদের নির্দিষ্ট এলাকাভিত্তিক রিয়েল টাইম ডেটা অ্যাকসেস দেয়। ইউকে ইতোমধ্যে আগ্রহ দেখিয়েছে এবং তারা আমাদের সহায়তায় আগ্রহী।”

শুধু অবকাঠামো নির্মাণ করে বন্যা মোকাবেলা সম্ভব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, “সাম্প্রতিক ফেনীর বন্যা আমাদের আশঙ্কা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। ৫৪৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত বা ২১ ফুট পানি মোকাবেলায় শুধু অবকাঠামো দিয়ে সম্ভব নয়। আমাদের আর্থ-সামাজিক বাস্তবতায় অবকাঠামোগত সমাধানের সীমাবদ্ধতা রয়েছে।”

তিনি মনে করেন, প্রাক-প্রস্তুতিই হতে হবে প্রধান কৌশল। এজন্য বন্যা ও বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাসের পাশাপাশি নদী ভাঙনের সম্ভাব্য এলাকাগুলোর ঝুঁকি চিহ্নিত করতে হবে। সেইসঙ্গে ভবিষ্যতের জলবায়ু পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে নির্দিষ্ট এলাকায় জনবসতি ও অবকাঠামো গড়ে তোলায় বিধিনিষেধ আরোপ করা প্রয়োজন।

উপদেষ্টা আরও বলেন, “তথ্যভিত্তিক ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণই পারে মানুষকে নিরাপদ রাখতে। তাই আগাম তথ্য পাওয়া এবং সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নেওয়া এখন সময়ের দাবি।”

নিউজটি শেয়ার করুন

আমাদের উজানের দেশ, তথ্য না দিলে বন্যার প্রস্তুতি নেওয়া কঠিন: পরিবেশ উপদেষ্টা

আপডেট সময় ০৬:৪২:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫

 

উজানের দেশ ভারত বাঁধ খুলে পানি ছাড়ার আগে সময়মতো তথ্য না দিলে বাংলাদেশে বন্যা মোকাবেলায় প্রস্তুতি নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

তিনি বলেন, “ঢলের পরিমাণ সম্পর্কে আগাম তথ্য না থাকায় আমরা পূর্বপ্রস্তুতি নিতে পারি না। উজানের দেশ যদি মাত্র দুই ঘণ্টা আগে জানায় যে তারা গেট খুলবে, তাহলে আমাদের পক্ষে প্রস্তুতি নেওয়া কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়ে।”

বিজ্ঞাপন

সোমবার (১৪ জুলাই) বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, রাইমস ও বিশ্বব্যাংকের ‘কেয়ার ফর সাউথ এশিয়া’ প্রকল্পের আওতায় বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নতুন ওয়েবসাইট এবং ডিসিশন সাপোর্ট সিস্টেম (ডিএসএস) উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা।

রিজওয়ানা হাসান জানান, বাংলাদেশে রিয়েল টাইম তথ্যের ঘাটতি রয়েছে। তিনি বলেন, “আমাদের কাছে রিয়েল টাইম ডেটা নেই। আমরা যতক্ষণ না জানি কতটা পানি ছাড়া হবে, ততক্ষণ সঠিকভাবে ঝুঁকি মূল্যায়ন করতে পারি না।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা এখন যুক্তরাজ্যের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা করছি যাতে তারা আমাদের নির্দিষ্ট এলাকাভিত্তিক রিয়েল টাইম ডেটা অ্যাকসেস দেয়। ইউকে ইতোমধ্যে আগ্রহ দেখিয়েছে এবং তারা আমাদের সহায়তায় আগ্রহী।”

শুধু অবকাঠামো নির্মাণ করে বন্যা মোকাবেলা সম্ভব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, “সাম্প্রতিক ফেনীর বন্যা আমাদের আশঙ্কা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। ৫৪৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত বা ২১ ফুট পানি মোকাবেলায় শুধু অবকাঠামো দিয়ে সম্ভব নয়। আমাদের আর্থ-সামাজিক বাস্তবতায় অবকাঠামোগত সমাধানের সীমাবদ্ধতা রয়েছে।”

তিনি মনে করেন, প্রাক-প্রস্তুতিই হতে হবে প্রধান কৌশল। এজন্য বন্যা ও বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাসের পাশাপাশি নদী ভাঙনের সম্ভাব্য এলাকাগুলোর ঝুঁকি চিহ্নিত করতে হবে। সেইসঙ্গে ভবিষ্যতের জলবায়ু পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে নির্দিষ্ট এলাকায় জনবসতি ও অবকাঠামো গড়ে তোলায় বিধিনিষেধ আরোপ করা প্রয়োজন।

উপদেষ্টা আরও বলেন, “তথ্যভিত্তিক ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণই পারে মানুষকে নিরাপদ রাখতে। তাই আগাম তথ্য পাওয়া এবং সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নেওয়া এখন সময়ের দাবি।”