ঢাকা ০৮:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
হানিফ ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের দুর্নীতির মামলা, সম্পদ বিবরণী চেয়ে আইনি নোটিশ বঙ্গোপসাগরে ভারতীয় দুই ট্রলারসহ ৩৪ জেলে আটক শুধু বাহক নয়, মাদকের গডফাদারদেরও আইনের আওতায় আনা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পরমাণু সংস্থার পরিদর্শকদের জুতার ভেতরে গুপ্তচর চিপ! দাবি ইরানের। ইউক্রেনে সেনা খসড়ায় স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তি: ১৭-২৫ বছরের তরুণদের জন্য পালানোর আর পথ নেই। রাশিয়ার “মেগা-অফেনসিভ” পরিকল্পনা, সঙ্গে থাকছে ৩০,০০০ উত্তর কোরিয়ান সেনা অপরাধ সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত থাকায় দক্ষিণ আফ্রিকার পুলিশমন্ত্রী বরখাস্ত আমাদের উজানের দেশ, তথ্য না দিলে বন্যার প্রস্তুতি নেওয়া কঠিন: পরিবেশ উপদেষ্টা সর্দি কাশি নিরাময়ে লবঙ্গের ৭টি স্বাস্থ্য উপকারিতা যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক নিয়ে অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে বাণিজ্য উপদেষ্টা

ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে জাতীয় সংস্কারক ঘোষণা কেন নয়, জানতে চেয়ে হাইকোর্টের রুল জারি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৬:৩১:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫
  • / 4

ছবি সংগৃহীত

 

 

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘জাতীয় সংস্কারক’ ঘোষণা না করার কারণ জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (১৪ জুলাই) বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে এ আদেশ দেওয়া হয়।

একইসঙ্গে ১৯৯২ সালের ‘জুলাই আন্দোলনে’ শহিদ হওয়া আবু সাঈদ, মীর মুগ্ধ, ওয়াসিম আকরামসহ অন্যান্যদের ‘জাতীয় বীর’ ঘোষণা না করার কারণ জানতে চেয়ে পৃথক রুল জারি করেছেন আদালত।

রুলে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, কেন তাদের ‘জাতীয় বীর’ ঘোষণা করা হবে না এবং কেন জুলাই আন্দোলনে নিহতদের নিয়ে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হবে না।

এই তিনটি বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরকে চার সপ্তাহের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। রুলে বিবাদী করা হয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, তথ্য সচিব এবং অর্থ সচিবকে।

রিট আবেদনে বলা হয়, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ২০০৬ সালে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব পালনকালে দেশে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারমূলক কার্যক্রম গ্রহণ করেন, যা রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক অঙ্গনে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছিল। তার অবদানকে ‘জাতীয় সংস্কারক’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার মতো বলিষ্ঠ ভিত্তি রয়েছে।

অন্যদিকে, ‘জুলাই আন্দোলন’ ছিল স্বৈরাচারবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। সেই আন্দোলনে প্রাণ উৎসর্গকারী ছাত্রদের ‘জাতীয় বীর’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া তাদের আত্মত্যাগের প্রতি ন্যায্য সম্মান প্রদর্শনের বিষয় বলে দাবি করেন রিট আবেদনকারী।

আইনজীবীরা বলেন, দেশের গণতন্ত্র ও ন্যায়ের প্রশ্নে যাঁরা আত্মত্যাগ করেছেন কিংবা সংস্কারমূলক নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাঁদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়া সংবিধান ও ইতিহাসের দাবিও বটে।

আদালতের এই রুল নতুন করে আলোচনা তৈরি করেছে সমাজ ও রাজনৈতিক অঙ্গনে। অনেকেই মনে করছেন, দেশের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা ব্যক্তিদের যথাযথ স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করা সম্ভব।

নিউজটি শেয়ার করুন

ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে জাতীয় সংস্কারক ঘোষণা কেন নয়, জানতে চেয়ে হাইকোর্টের রুল জারি

আপডেট সময় ০৬:৩১:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫

 

 

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘জাতীয় সংস্কারক’ ঘোষণা না করার কারণ জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (১৪ জুলাই) বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে এ আদেশ দেওয়া হয়।

একইসঙ্গে ১৯৯২ সালের ‘জুলাই আন্দোলনে’ শহিদ হওয়া আবু সাঈদ, মীর মুগ্ধ, ওয়াসিম আকরামসহ অন্যান্যদের ‘জাতীয় বীর’ ঘোষণা না করার কারণ জানতে চেয়ে পৃথক রুল জারি করেছেন আদালত।

রুলে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, কেন তাদের ‘জাতীয় বীর’ ঘোষণা করা হবে না এবং কেন জুলাই আন্দোলনে নিহতদের নিয়ে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হবে না।

এই তিনটি বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরকে চার সপ্তাহের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। রুলে বিবাদী করা হয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, তথ্য সচিব এবং অর্থ সচিবকে।

রিট আবেদনে বলা হয়, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ২০০৬ সালে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব পালনকালে দেশে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারমূলক কার্যক্রম গ্রহণ করেন, যা রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক অঙ্গনে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছিল। তার অবদানকে ‘জাতীয় সংস্কারক’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার মতো বলিষ্ঠ ভিত্তি রয়েছে।

অন্যদিকে, ‘জুলাই আন্দোলন’ ছিল স্বৈরাচারবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। সেই আন্দোলনে প্রাণ উৎসর্গকারী ছাত্রদের ‘জাতীয় বীর’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া তাদের আত্মত্যাগের প্রতি ন্যায্য সম্মান প্রদর্শনের বিষয় বলে দাবি করেন রিট আবেদনকারী।

আইনজীবীরা বলেন, দেশের গণতন্ত্র ও ন্যায়ের প্রশ্নে যাঁরা আত্মত্যাগ করেছেন কিংবা সংস্কারমূলক নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাঁদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়া সংবিধান ও ইতিহাসের দাবিও বটে।

আদালতের এই রুল নতুন করে আলোচনা তৈরি করেছে সমাজ ও রাজনৈতিক অঙ্গনে। অনেকেই মনে করছেন, দেশের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা ব্যক্তিদের যথাযথ স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করা সম্ভব।