০১:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
মোহাম্মদপুরে মা–মেয়েকে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ঢাকা-১১ আসনে নির্বাচন করবেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক।

শর্তসাপেক্ষে সাবেক আইজিপি মামুনের ক্ষমা বিবেচনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:৩৮:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
  • / 71

ছবি সংগৃহীত

 

 

জুলাই-আগস্টের হত্যাযজ্ঞে নিজের এবং অপরাধে জড়িত প্রধান ও সহযোগী অভিযুক্তদের ভূমিকা সম্পর্কে সম্পূর্ণ সত্য প্রকাশের শর্তে সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে ক্ষমার বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (১২ জুলাই) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ একটি দুই পৃষ্ঠার লিখিত আদেশ প্রকাশ করে। আদেশে উল্লেখ করা হয়, মামুনের আইনজীবী তার পক্ষে রাজসাক্ষী হওয়ার আবেদন করেছেন এবং সেই প্রেক্ষিতে তাকে ক্ষমার অনুরোধ জানান। তবে ট্রাইব্যুনাল মনে করে, কেবলমাত্র তখনই মামুনের ক্ষমার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে, যদি তিনি নিজের অপরাধ এবং অপর অভিযুক্তদের ভূমিকা সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ও নির্ভরযোগ্য তথ্য প্রকাশ করেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) আলোচিত হত্যাযজ্ঞে নিজের সম্পৃক্ততা স্বীকার করে ট্রাইব্যুনালে রাজসাক্ষী হন সাবেক আইজিপি মামুন। আদালতে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে তিনি জানান, তিনি ওই সময়ের সকল ঘটনা প্রকাশ করতে আগ্রহী এবং হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের মুখোশ খুলে দিতে চান।

এই জবানবন্দির পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচার প্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশ দেয়।

সাবেক আইজিপি মামুন বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন এবং রাজসাক্ষী হওয়ার কারণে তাকে একটি আলাদা সেলে রাখা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

আদালতের লিখিত আদেশে আরও বলা হয়, মামুন যদি সত্যতা ও পূর্ণতা বজায় রেখে তদন্তে সহায়তা করেন এবং অপরাধে সংশ্লিষ্ট প্রধান ও সহযোগী ব্যক্তিদের নাম, কর্মকাণ্ড ও পরিকল্পনার বিস্তারিত তথ্য প্রদান করেন, তাহলে আইনি প্রক্রিয়ার আওতায় তার প্রতি নমনীয়তা দেখানো হতে পারে।

এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে দেশের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। অনেকেই এই ঘটনাকে সাম্প্রতিক সময়ের অন্যতম বড় রাজনৈতিক বিচারের সূচনা বলে মনে করছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

শর্তসাপেক্ষে সাবেক আইজিপি মামুনের ক্ষমা বিবেচনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল

আপডেট সময় ০২:৩৮:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

 

 

জুলাই-আগস্টের হত্যাযজ্ঞে নিজের এবং অপরাধে জড়িত প্রধান ও সহযোগী অভিযুক্তদের ভূমিকা সম্পর্কে সম্পূর্ণ সত্য প্রকাশের শর্তে সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে ক্ষমার বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (১২ জুলাই) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ একটি দুই পৃষ্ঠার লিখিত আদেশ প্রকাশ করে। আদেশে উল্লেখ করা হয়, মামুনের আইনজীবী তার পক্ষে রাজসাক্ষী হওয়ার আবেদন করেছেন এবং সেই প্রেক্ষিতে তাকে ক্ষমার অনুরোধ জানান। তবে ট্রাইব্যুনাল মনে করে, কেবলমাত্র তখনই মামুনের ক্ষমার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে, যদি তিনি নিজের অপরাধ এবং অপর অভিযুক্তদের ভূমিকা সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ও নির্ভরযোগ্য তথ্য প্রকাশ করেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) আলোচিত হত্যাযজ্ঞে নিজের সম্পৃক্ততা স্বীকার করে ট্রাইব্যুনালে রাজসাক্ষী হন সাবেক আইজিপি মামুন। আদালতে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে তিনি জানান, তিনি ওই সময়ের সকল ঘটনা প্রকাশ করতে আগ্রহী এবং হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের মুখোশ খুলে দিতে চান।

এই জবানবন্দির পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচার প্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশ দেয়।

সাবেক আইজিপি মামুন বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন এবং রাজসাক্ষী হওয়ার কারণে তাকে একটি আলাদা সেলে রাখা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

আদালতের লিখিত আদেশে আরও বলা হয়, মামুন যদি সত্যতা ও পূর্ণতা বজায় রেখে তদন্তে সহায়তা করেন এবং অপরাধে সংশ্লিষ্ট প্রধান ও সহযোগী ব্যক্তিদের নাম, কর্মকাণ্ড ও পরিকল্পনার বিস্তারিত তথ্য প্রদান করেন, তাহলে আইনি প্রক্রিয়ার আওতায় তার প্রতি নমনীয়তা দেখানো হতে পারে।

এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে দেশের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। অনেকেই এই ঘটনাকে সাম্প্রতিক সময়ের অন্যতম বড় রাজনৈতিক বিচারের সূচনা বলে মনে করছেন।