ঢাকা ০৬:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা: টিটন গাজীর ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে শতাধিক পাসপোর্টসহ ৩ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আরও ১ জনের মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ৩৯১ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সীমান্তে বিজিবির অভিযানে সাড়ে ৪ কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ সরকার কখনও মব জাস্টিসকে বরদাশত করে না: পরিবেশ উপদেষ্টা নির্বাচনে সুষ্ঠুতা নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর: উপ-প্রেস সচিব বাংলাদেশ সফরে বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট জোহানেস যাত চাঁদাবাজি নয়, টাকার লেনদেনের বিরোধেই খুন হন সোহাগ: পুলিশের তদন্ত কিউবার প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা, উত্তপ্ত হচ্ছে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক টিএসসিতে ‘রাজনৈতিক হত্যা স্কোরবোর্ড’ বসানোর ঘোষণা ছাত্র অধিকার পরিষদের

মিডফোর্ডে ব্যবসায়ী হত্যার বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে হবে: আইন উপদেষ্টা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৪৬:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
  • / 7

ছবি: সংগৃহীত

 

রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের মূল ফটকের সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী মোহাম্মদ চাঁদ মিয়া ওরফে সোহাগকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচার হবে বলে জানিয়েছেন সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।

আজ শনিবার (১২ জুলাই) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, “মিটফোর্ডের নারকীয় হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। ইতোমধ্যে এই ঘটনায় জড়িত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”

আসিফ নজরুল আরও জানান, “পুলিশ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে এবং এই পাশবিক ঘটনার দ্রুত বিচার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।”

তিনি বলেন, “এই মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হবে এবং দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আইন, ২০০২ এর ধারা ১০ অনুযায়ী বিচার কার্যক্রম পরিচালিত হবে। খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যেই মামলার বিচার শুরু হবে।”

এদিকে, মিটফোর্ড এলাকায় broad daylight-এ সংঘটিত এই নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘিরে স্থানীয়দের মাঝে চরম উদ্বেগ ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও নিন্দার ঝড় উঠেছে। সাধারণ মানুষ দ্রুত বিচার এবং অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে আসছে।

চাঁদ মিয়া ওরফে সোহাগ দীর্ঘদিন ধরে মিটফোর্ড এলাকায় ভাঙারির ব্যবসা করতেন। তাঁর সঙ্গে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী চক্রের বিরোধ চলছিল বলে জানা গেছে। গত কয়েকদিন ধরেই তাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল বলেও জানিয়েছেন তাঁর স্বজনরা।

পুলিশ জানায়, হত্যার ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণসহ অন্যান্য প্রমাণ সংগ্রহ করে তদন্ত চলছে। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।

সরকারের তরফ থেকে এই ঘটনায় কঠোর অবস্থানের কথা জানানো হয়েছে। আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের এই ঘোষণায় নিহতের পরিবার কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছে বলে জানা গেছে।

ঘটনাটি যেন আরেকটি বহুল আলোচিত হত্যাকাণ্ডের মতো বিচারহীনতায় না পড়ে যায়, সে আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন অনেকে। তারা চান, দ্রুত বিচার নিশ্চিত হোক এবং অপরাধীদের কঠোর শাস্তির মাধ্যমে একটি শক্ত বার্তা সমাজে প্রতিষ্ঠিত হোক।

নিউজটি শেয়ার করুন

মিডফোর্ডে ব্যবসায়ী হত্যার বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে হবে: আইন উপদেষ্টা

আপডেট সময় ১০:৪৬:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

 

রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের মূল ফটকের সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী মোহাম্মদ চাঁদ মিয়া ওরফে সোহাগকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচার হবে বলে জানিয়েছেন সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।

আজ শনিবার (১২ জুলাই) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, “মিটফোর্ডের নারকীয় হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। ইতোমধ্যে এই ঘটনায় জড়িত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”

আসিফ নজরুল আরও জানান, “পুলিশ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে এবং এই পাশবিক ঘটনার দ্রুত বিচার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।”

তিনি বলেন, “এই মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হবে এবং দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আইন, ২০০২ এর ধারা ১০ অনুযায়ী বিচার কার্যক্রম পরিচালিত হবে। খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যেই মামলার বিচার শুরু হবে।”

এদিকে, মিটফোর্ড এলাকায় broad daylight-এ সংঘটিত এই নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘিরে স্থানীয়দের মাঝে চরম উদ্বেগ ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও নিন্দার ঝড় উঠেছে। সাধারণ মানুষ দ্রুত বিচার এবং অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে আসছে।

চাঁদ মিয়া ওরফে সোহাগ দীর্ঘদিন ধরে মিটফোর্ড এলাকায় ভাঙারির ব্যবসা করতেন। তাঁর সঙ্গে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী চক্রের বিরোধ চলছিল বলে জানা গেছে। গত কয়েকদিন ধরেই তাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল বলেও জানিয়েছেন তাঁর স্বজনরা।

পুলিশ জানায়, হত্যার ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণসহ অন্যান্য প্রমাণ সংগ্রহ করে তদন্ত চলছে। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।

সরকারের তরফ থেকে এই ঘটনায় কঠোর অবস্থানের কথা জানানো হয়েছে। আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের এই ঘোষণায় নিহতের পরিবার কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছে বলে জানা গেছে।

ঘটনাটি যেন আরেকটি বহুল আলোচিত হত্যাকাণ্ডের মতো বিচারহীনতায় না পড়ে যায়, সে আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন অনেকে। তারা চান, দ্রুত বিচার নিশ্চিত হোক এবং অপরাধীদের কঠোর শাস্তির মাধ্যমে একটি শক্ত বার্তা সমাজে প্রতিষ্ঠিত হোক।