টেক্সাসে ভয়াবহ বন্যা: নিহত বেড়ে ১২০, নিখোঁজ ১৬১; পরিদর্শনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প

- আপডেট সময় ০৯:৫৯:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
- / 11
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস রাজ্যে ভয়াবহ বন্যায় প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২০ জনে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ১৬১ জন। এ অবস্থায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে গেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (১১ জুলাই) ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পকে সঙ্গে নিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ‘এয়ার ফোর্স ওয়ান’ বিমানে করে টেক্সাসের সান অ্যান্টোনিওর কাছে একটি বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করেন। সেখান থেকে তিনি সরাসরি কার কাউন্টির কারভিল শহরে যান, যা এই দুর্যোগে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা।
কারভিলে পৌঁছে ট্রাম্প স্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং বন্যায় সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতি সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। দায়িত্ব গ্রহণের ছয় মাসের মধ্যেই ট্রাম্পের সময়কালের এটিই সবচেয়ে প্রাণঘাতী প্রাকৃতিক দুর্যোগ বলে বিবেচিত হচ্ছে।
গত সপ্তাহের শুক্রবারের টানা ভারি বৃষ্টিতে গুয়াডালুপে নদীর পানি হু হু করে বাড়তে থাকে। এর ফলে হড়কা বানে কারভিল শহরের বহু ঘরবাড়ি, যানবাহন ও সামার ক্যাম্পে থাকা শিশুরা ভেসে যায়। ২৫ হাজার বাসিন্দার শহরটি মুহূর্তেই বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।
উদ্ধারকর্মীরা এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া নিখোঁজদের খুঁজে বের করার জন্য তৎপর। তবে সাম্প্রতিক সময়ে জীবিত কাউকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি, ফলে মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বন্যার পূর্বাভাস ও প্রস্তুতি নিয়ে রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। সমালোচকরা বলছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের সময় আবহাওয়া বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট ফেডারেল সংস্থাগুলোর বাজেট কাটছাঁটের ফলে আগাম সতর্কবার্তা দেওয়ার সক্ষমতা কমে গেছে। এর ফলেই এমন প্রাণঘাতী দুর্যোগের আগে জনগণ পর্যাপ্ত সতর্কতা পায়নি।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজ্য সরকার থেকে তহবিল না পাওয়ায় কার কাউন্টি কর্তৃপক্ষ আগাম সতর্কবার্তা দেওয়ার মতো কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারেনি। তবে এনবিসি নিউজের ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানিয়েছেন, ভবিষ্যতের জন্য একটি কার্যকর সতর্কতা ব্যবস্থা চালু করা জরুরি।
ট্রাম্প আরও বলেন, “স্থানীয় কর্মকর্তারাও এমন পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত ছিলেন না। কিন্তু আমরা যেন ভবিষ্যতে আর এমন বিপর্যয়ে না পড়ি, সে জন্য এখন থেকেই উদ্যোগ নেওয়া দরকার।”