ঢাকা ০৮:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মশার উপদ্রব থেকে বাঁচার সহজ ও ঘরোয়া উপায় ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় আরও একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৪০৬ জন হত্যা ও খুন মামলাসহ পুরনো মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি হবে: অ্যাটর্নি জেনারেল বিদেশফেরত রংমিস্ত্রি থেকে সফল কৃষি উদ্যোক্তা: আফজাল শেখের রাম্বুটান বিপ্লব কলটি বিবিসি উদ্ধার করেনি, এটা ট্রেলার মাত্র, অনেক কিছু এখনো বাকি: চিফ প্রসিকিউটর ১ লাখ শিক্ষক নিয়োগে পুলিশের ভেরিফিকেশন: শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা দুর্নীতিবাজ, দখলদার ও চাঁদাবাজদের না বলুন, যারা ওদের পক্ষে তাঁদের বয়কট করুন: নাহিদ ইসলাম রাজস্থানে ভারতীয় যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত: নিহত দুই পাইলট বাগেরহাটে ডাকাতিকৃত মালামাল সহ ৭ ডাকাত আটক বাংলাদেশ-চীন-পাকিস্তান ঘনিষ্ঠতায় নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগে ভারতীয় প্রতিরক্ষা প্রধান

রাজস্থানে ভারতীয় যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত: নিহত দুই পাইলট

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৭:২১:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫
  • / 4

ছবি সংগৃহীত

 

ভারতের রাজস্থান রাজ্যের চুরু জেলার রতনগড় তেহসিলে ভারতীয় বিমানবাহিনীর (আইএএফ) একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় বিমানটির দুই আরোহী পাইলট নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে আইএএফ।

ভারতীয় বিমানবাহিনীর পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স–এ দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়, বুধবার একটি নিয়মিত প্রশিক্ষণ মিশনের সময় আইএএফের একটি দুই আসনের জাগুয়ার ট্রেনার বিমান রাজস্থানের চুরু জেলায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। দুর্ঘটনায় দুই পাইলটই গুরুতর আহত হন এবং পরে তাঁদের মৃত্যু হয়।

চুরু জেলার পুলিশ সুপার জয় যাদব জানান, বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ভাবানা বাদাভানে গ্রামসংলগ্ন এলাকায় বিমানটি ভেঙে পড়ে। প্রাথমিকভাবে বিমানে দুইজন পাইলট ছিলেন বলে জানা যায়। দুর্ঘটনার পরপরই তাঁদের অবস্থা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে কিছুক্ষণ পর বিমানবাহিনী নিশ্চিত করে যে, তাঁরা আর বেঁচে নেই।

আইএএফের এই জাগুয়ার বিমানটি ছিল একটি প্রশিক্ষণ মিশনের অংশ। উল্লেখ্য, এর আগেও একই মডেলের যুদ্ধবিমান একাধিকবার দুর্ঘটনায় পড়েছে।

২০২৪ সালের এপ্রিলে গুজরাটের জামনগর জেলার সুভর্দা গ্রামে একটি জাগুয়ার যুদ্ধবিমান খোলা মাঠে বিধ্বস্ত হয়। রাতের প্রশিক্ষণ চলাকালীন দুর্ঘটনাটি ঘটে। এতে একজন পাইলট নিহত হন। বিমানটি জামনগর শহর থেকে প্রায় ১৮ কিলোমিটার দূরে কালাভাদ হাইওয়ের পাশে ভেঙে পড়ে।

এরও আগে, ২০২৪ সালের মার্চ মাসে হরিয়ানার আম্বালা বিমানঘাঁটি থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যেই একটি জাগুয়ার বিমান ভেঙে পড়ে। একই দিনে পশ্চিমবঙ্গের বাগডোগরায় আইএএফের একটি এএন–৩২ পরিবহন বিমান জরুরি অবতরণ করে। তবে সে সময় উভয় বিমানের ক্রুরা নিরাপদে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন।

আইএএফ জানিয়েছে, মারাত্মক এই দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে একটি তদন্ত শুরু হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রযুক্তিগত ত্রুটি বা প্রশিক্ষণের সময় কোনো ত্রুটি এই দুর্ঘটনার পেছনে দায়ী হতে পারে।

ভারতের আকাশসীমায় সামরিক প্রশিক্ষণকালে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনা বাড়ছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্ট মহল।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

রাজস্থানে ভারতীয় যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত: নিহত দুই পাইলট

আপডেট সময় ০৭:২১:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫

 

ভারতের রাজস্থান রাজ্যের চুরু জেলার রতনগড় তেহসিলে ভারতীয় বিমানবাহিনীর (আইএএফ) একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় বিমানটির দুই আরোহী পাইলট নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে আইএএফ।

ভারতীয় বিমানবাহিনীর পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স–এ দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়, বুধবার একটি নিয়মিত প্রশিক্ষণ মিশনের সময় আইএএফের একটি দুই আসনের জাগুয়ার ট্রেনার বিমান রাজস্থানের চুরু জেলায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। দুর্ঘটনায় দুই পাইলটই গুরুতর আহত হন এবং পরে তাঁদের মৃত্যু হয়।

চুরু জেলার পুলিশ সুপার জয় যাদব জানান, বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ভাবানা বাদাভানে গ্রামসংলগ্ন এলাকায় বিমানটি ভেঙে পড়ে। প্রাথমিকভাবে বিমানে দুইজন পাইলট ছিলেন বলে জানা যায়। দুর্ঘটনার পরপরই তাঁদের অবস্থা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে কিছুক্ষণ পর বিমানবাহিনী নিশ্চিত করে যে, তাঁরা আর বেঁচে নেই।

আইএএফের এই জাগুয়ার বিমানটি ছিল একটি প্রশিক্ষণ মিশনের অংশ। উল্লেখ্য, এর আগেও একই মডেলের যুদ্ধবিমান একাধিকবার দুর্ঘটনায় পড়েছে।

২০২৪ সালের এপ্রিলে গুজরাটের জামনগর জেলার সুভর্দা গ্রামে একটি জাগুয়ার যুদ্ধবিমান খোলা মাঠে বিধ্বস্ত হয়। রাতের প্রশিক্ষণ চলাকালীন দুর্ঘটনাটি ঘটে। এতে একজন পাইলট নিহত হন। বিমানটি জামনগর শহর থেকে প্রায় ১৮ কিলোমিটার দূরে কালাভাদ হাইওয়ের পাশে ভেঙে পড়ে।

এরও আগে, ২০২৪ সালের মার্চ মাসে হরিয়ানার আম্বালা বিমানঘাঁটি থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যেই একটি জাগুয়ার বিমান ভেঙে পড়ে। একই দিনে পশ্চিমবঙ্গের বাগডোগরায় আইএএফের একটি এএন–৩২ পরিবহন বিমান জরুরি অবতরণ করে। তবে সে সময় উভয় বিমানের ক্রুরা নিরাপদে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন।

আইএএফ জানিয়েছে, মারাত্মক এই দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে একটি তদন্ত শুরু হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রযুক্তিগত ত্রুটি বা প্রশিক্ষণের সময় কোনো ত্রুটি এই দুর্ঘটনার পেছনে দায়ী হতে পারে।

ভারতের আকাশসীমায় সামরিক প্রশিক্ষণকালে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনা বাড়ছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্ট মহল।