জাপার তিন শীর্ষ নেতা ব্যারিস্টার আনিসুল, রুহুল আমিন ও মুজিবুল হক চুন্নুকে দল থেকে অব্যাহতি

- আপডেট সময় ১১:৪৫:০৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জুলাই ২০২৫
- / 6
জাতীয় পার্টির (জাপা) তিন শীর্ষ নেতাকে প্রাথমিক সদস্যসহ সকল পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। দলের সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার এবং কো-চেয়ারম্যান ও মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নুর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৭ জুলাই) জাপার দফতর সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। এতে বলা হয়, পার্টির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের প্রদত্ত ক্ষমতা অনুযায়ী এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৫ জুন জেলা ও মহানগর পর্যায়ের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক/আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবদের নিয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় উল্লিখিত তিন নেতার বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ উত্থাপন করা হয়। ওই সভায় নেতাদের বিরুদ্ধে শান্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণেরও দাবি ওঠে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৮ জুন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে আলোচনার পর তাদের দলীয় সকল পদ-পদবি থেকে অব্যাহতির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এরপর পার্টির চেয়ারম্যান তা অনুমোদন দেন এবং গঠনতন্ত্রের ক্ষমতাবলে তিন নেতাকে দলীয় প্রাথমিক সদস্যপদসহ সকল পদ থেকে অব্যাহতি দেন।
দলের অভ্যন্তরে চলমান অসন্তোষ, মতবিরোধ এবং শৃঙ্খলাভঙ্গজনিত কারণে এই কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন। তবে এই সিদ্ধান্তের ফলে জাপার অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
দল থেকে অব্যাহতি পাওয়া এই তিন নেতা জাতীয় রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ মুখ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। বিশেষ করে মুজিবুল হক চুন্নু পার্টির মহাসচিব হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছেন এবং সংসদে দলের মুখপাত্র হিসেবেও ছিলেন সক্রিয়।
তবে এই সিদ্ধান্তের পর তাদের অবস্থান কী হবে, কিংবা তারা পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে কী সিদ্ধান্ত নেবেন, তা এখনও জানা যায়নি। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, নেতৃত্বে শৃঙ্খলা ও একতা বজায় রাখতে এবং দলের ভিতরে স্থিতিশীলতা আনার লক্ষ্যেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জাতীয় পার্টির সর্বশেষ এই সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে এবং আগামী দিনগুলোতে এর প্রভাব জাতীয় রাজনীতিতে কতটা পড়বে, তা সময়ই বলে দেবে।