জুলাই গণহত্যা মামলা: শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি আজ

- আপডেট সময় ১২:২০:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫
- / 12
জুলাই গণহত্যা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন বিষয়ে দ্বিতীয় দিনের শুনানি আজ অনুষ্ঠিত হবে। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সোমবার এ শুনানি গ্রহণ করবে।
এ মামলার অপর দুই আসামি হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। এরই মধ্যে অভিযোগ গঠনের শুনানিকে কেন্দ্র করে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে প্রিজন ভ্যানে করে সকালে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে।
এর আগে গত ১ জুলাই মামলার প্রথম দিনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। ওইদিন বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। আসামিপক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন অংশ নেন। আলোচিত এই মামলার শুনানি সেদিন বিটিভিতে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
মামলার ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায়, গত ১ জুন শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল। ওইদিন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর আব্দুস সোবহান তরফদার ও মিজানুল ইসলাম আদালতে অভিযোগ পড়ে শোনান, যা দেশের সব গণমাধ্যমে সম্প্রচারিত হয়।
এরও আগে, গত ১২ মে তদন্ত সংস্থা জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। তদন্তে উঠে আসে, ওই গণহত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে শেখ হাসিনার নাম উল্লেখ রয়েছে।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ট্রাইব্যুনাল এই মামলার তদন্ত ২০ এপ্রিলের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেয়। প্রসিকিউশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।
অন্যদিকে, ২০২৪ সালের ১৭ ডিসেম্বর আরেকটি মামলায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত দুই মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকারের গুলি ও হত্যার ঘটনায় প্রায় দেড় হাজার নিরস্ত্র ছাত্র-জনতা প্রাণ হারান বলে অভিযোগে বলা হয়। সেই গণহত্যার পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় শেখ হাসিনাসহ অভিযুক্তদের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলেও মামলার নথিতে উল্লেখ আছে।
মামলার পরবর্তী শুনানিতে অভিযোগ গঠন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।