চীন ও তুরস্কের সহায়তার অভিযোগ সরাসরি প্রত্যাখ্যান করল পাকিস্তান

- আপডেট সময় ০৪:৪৮:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫
- / 3
ভারতের সামরিক কর্মকর্তা রাহুল আর সিং সম্প্রতি দাবি করেছেন, মে মাসের চারদিনের সংঘাতে পাকিস্তানকে ‘লাইভ স্যাটেলাইট ইনপুট’ দিয়েছে চীন, আর তুরস্ক সরবরাহ করেছে ড্রোন ও প্রশিক্ষণ। তবে এই অভিযোগ সরাসরি নাকচ করেছেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খাজা আসিফ।
আসিফ বলেন, “এ ধরনের বক্তব্য আসলে ভারতের জনগণকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য। বাস্তবিক অর্থে পাকিস্তান ভারতকে সামরিকভাবে পরাজিত করেছে, তাদের অহংকার ভেঙে দিয়েছে।”
ভারতের ডেপুটি চিফ অব আর্মি স্টাফ রাহুল আর সিংয়ের অভিযোগ, চীন যুদ্ধের সময় ভারতীয় গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানগুলো পাকিস্তানের কাছে প্রকাশ করে স্যাটেলাইট তথ্য দিয়েছে। পাশাপাশি তুরস্কের দেওয়া বায়রাকতারসহ নানা ড্রোন পাকিস্তানি বাহিনী ব্যবহার করেছে বলে দাবি করেন তিনি।
এর জবাবে খাজা আসিফ বলেন, “যে দেশ থেকে আমরা অস্ত্র বা সামরিক সরঞ্জাম কিনি, সেটি কখনো যুদ্ধের অংশীদার হয় না। যেমন পাকিস্তান যুক্তরাষ্ট্র থেকে অস্ত্র কেনে, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধের অংশ না। একইভাবে ভারতও ফ্রান্স থেকে বিমান কিনছে, অথচ ফ্রান্স সরাসরি যুদ্ধে জড়ায়নি।”
তিনি আরও বলেন, “চীন আমাদের কূটনৈতিকভাবে সমর্থন দিয়েছে, তবে সরাসরি যুদ্ধে তাদের কোনো অংশগ্রহণের প্রমাণ নেই।” আসিফ ভারতের অভিযোগগুলোকে “ভিত্তিহীন ও মিথ্যা” আখ্যা দিয়ে হুঁশিয়ার করেন, “ভারত যদি আবার আগ্রাসন চালায়, তাহলে একই ধরনের পরিণতি তাকে মেনে নিতে হবে।”
মে মাসের সংঘাত চারদিন ধরে চলে, যেখানে উভয় পক্ষ ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন ও আর্টিলারি ব্যবহার করে।
উল্লেখ্য, ভারত ও চীনের সম্পর্ক কয়েক বছর ধরে সীমান্ত উত্তেজনা ও সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে গেছে। তবে ২০২৪ সালের অক্টোবরে দুই দেশ সীমান্ত পশ্চাদপসরণ নিয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছায়।
ভারতীয় পক্ষও পরে জানায়, চীনের সরাসরি সহায়তার কোনো নিশ্চিত প্রমাণ তাদের হাতে নেই, কারণ স্যাটেলাইট চিত্র বাণিজ্যিকভাবেই সহজলভ্য এবং যুদ্ধক্ষেত্রে অনেক দেশ এ ধরনের ছবি সংগ্রহ করে থাকে।
বিশ্লেষকদের মতে, দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে এমন অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ ভবিষ্যতে নতুন উত্তেজনার জন্ম দিতে পারে।
সূত্র: জিওটিভি