ঢাকা ০৬:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সিলেটে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১ আহত অর্ধশতাধিক ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে নতুন করে ২৯৪ জন ভর্তি, মৃত্যু নেই মোহাম্মদপুরে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ভাইরাল আলভিসহ ৪ জন গ্রেফতার পুরনো খেলায় নতুন প্লেয়ার না, নিয়মই বদলাতে এসেছি”: নাহিদ ইসলাম গাজায় নিজেদের ছোড়া ভূল গুলিতে নিহত ৩১ ইসরাইলি সেনা পবিত্র আশুরা মুসলিমদের জন্য গভীর শোক, শ্রদ্ধা ও আত্মত্যাগের দিন: তারেক রহমান ৩৭টি সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান বিদ্যুৎকেন্দ্র মালিকদের বোরো ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি, শিগগিরই চালের বাজার স্বাভাবিক হবে: খাদ্য উপদেষ্টা সিরিয়ার নতুন জাতীয় প্রতীক ‘সোনালি ঈগল’ উন্মোচন সিলেটে ৫ দফা দাবিতে পরিবহন ধর্মঘট, কর্মসূচি জারি রাখতে ৪৮ ঘণ্টার হুঁশিয়ারি

গাজায় মধ্যরাতের ইসরায়েলি হামলায় নিহত অন্তত ১৮

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৫০:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫
  • / 5

ছবি সংগৃহীত

 

গাজায় মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত ইসরায়েলি বাহিনীর তাণ্ডবে অন্তত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার প্রস্তাবের মধ্যেই এই প্রাণঘাতী হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। আল জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।

চিকিৎসা সূত্রের বরাতে ফিলিস্তিনি ইনফরমেশন সেন্টার এবং কুদস নিউজ নেটওয়ার্ক জানায়, মাত্র পাঁচ ঘণ্টার ব্যবধানে গাজা উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় চালানো ইসরায়েলি হামলায় এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে সাতজন আল-মাওয়াসি এলাকায় বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের জন্য স্থাপিত একটি ত্রাণ শিবিরে হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন।

এদিকে গাজায় ত্রাণের জন্য অপেক্ষমাণ ক্ষুধার্ত মানুষদের উপরও নির্বিচারে গুলি চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত ২৭ মে থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় ৬১৩ জন ত্রাণপ্রত্যাশী প্রাণ হারিয়েছেন। শুধু শুক্রবার সকাল থেকে নতুন হামলায় নিহত হয়েছে আরও ৪১ জন ফিলিস্তিনি।

নিহতদের মধ্যে অনেকেই ত্রাণের আশায় লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এই হামলা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) কার্যক্রম ঘিরে। সংস্থার সাবেক এক নিরাপত্তা ঠিকাদার অভিযোগ করেছেন, তিনি নিজ চোখে দেখেছেন কিভাবে মেশিনগানসহ বিভিন্ন আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে তার সহকর্মীরা ক্ষুধার্ত ও নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে, যারা কোনো ধরনের হুমকি তৈরি করেনি।

ফিলিস্তিনি মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, আন্তর্জাতিক নিয়ম-নীতিকে উপেক্ষা করে যেভাবে বারবার বেসামরিক মানুষকে লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে, তা যুদ্ধাপরাধের শামিল। এ নিয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মহল থেকেও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।

গাজার পরিস্থিতি দিন দিন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। চারপাশে ধ্বংসস্তূপ আর কান্নার শব্দ। খাদ্য, পানি, ওষুধের সংকটে বিপর্যস্ত মানুষরা বারবার আক্রমণের শিকার হচ্ছেন। যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা চললেও মাটিতে তার কোনো প্রভাব দেখা যাচ্ছে না। ফলে সাধারণ মানুষের জীবন রক্ষাই হয়ে উঠেছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজায় মধ্যরাতের ইসরায়েলি হামলায় নিহত অন্তত ১৮

আপডেট সময় ১০:৫০:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫

 

গাজায় মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত ইসরায়েলি বাহিনীর তাণ্ডবে অন্তত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার প্রস্তাবের মধ্যেই এই প্রাণঘাতী হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। আল জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।

চিকিৎসা সূত্রের বরাতে ফিলিস্তিনি ইনফরমেশন সেন্টার এবং কুদস নিউজ নেটওয়ার্ক জানায়, মাত্র পাঁচ ঘণ্টার ব্যবধানে গাজা উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় চালানো ইসরায়েলি হামলায় এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে সাতজন আল-মাওয়াসি এলাকায় বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের জন্য স্থাপিত একটি ত্রাণ শিবিরে হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন।

এদিকে গাজায় ত্রাণের জন্য অপেক্ষমাণ ক্ষুধার্ত মানুষদের উপরও নির্বিচারে গুলি চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত ২৭ মে থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় ৬১৩ জন ত্রাণপ্রত্যাশী প্রাণ হারিয়েছেন। শুধু শুক্রবার সকাল থেকে নতুন হামলায় নিহত হয়েছে আরও ৪১ জন ফিলিস্তিনি।

নিহতদের মধ্যে অনেকেই ত্রাণের আশায় লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এই হামলা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) কার্যক্রম ঘিরে। সংস্থার সাবেক এক নিরাপত্তা ঠিকাদার অভিযোগ করেছেন, তিনি নিজ চোখে দেখেছেন কিভাবে মেশিনগানসহ বিভিন্ন আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে তার সহকর্মীরা ক্ষুধার্ত ও নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে, যারা কোনো ধরনের হুমকি তৈরি করেনি।

ফিলিস্তিনি মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, আন্তর্জাতিক নিয়ম-নীতিকে উপেক্ষা করে যেভাবে বারবার বেসামরিক মানুষকে লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে, তা যুদ্ধাপরাধের শামিল। এ নিয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মহল থেকেও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।

গাজার পরিস্থিতি দিন দিন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। চারপাশে ধ্বংসস্তূপ আর কান্নার শব্দ। খাদ্য, পানি, ওষুধের সংকটে বিপর্যস্ত মানুষরা বারবার আক্রমণের শিকার হচ্ছেন। যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা চললেও মাটিতে তার কোনো প্রভাব দেখা যাচ্ছে না। ফলে সাধারণ মানুষের জীবন রক্ষাই হয়ে উঠেছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।