ঢাকা ১১:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ২০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বিশ্বে প্রথমবার তালেবান সরকারকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিলো রাশিয়া শুটিংয়ের মাঝে অসুস্থ স্বস্তিকা দত্ত, হাসপাতালে ভর্তি চূড়ান্ত হলো দুই এল ক্লাসিকো, ঐতিহাসিক ক্যাম্প ন্যুতে ফিরছে রোমাঞ্চ চকরিয়ায় বাস দুর্ঘটনা: নিহত ২, আহত ৫ গাজায় মানবিক বিপর্যয়, ৪৮ ঘণ্টায় নিহত ৩০০’র বেশি ফিলিস্তিনি বালিয়াডাঙ্গীতে পুকুরের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু জাপানের সহায়তা ও বিনিয়োগে জোর দিতে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের আহ্বান সংস্কার সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি, দ্রুত নির্বাচনের আশা: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছর শেষে দেশে খাদ্য মজুদ বেড়েছে: প্রেস উইং সারা দেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার ১,৪৪৩

নতুন নির্দেশনা দিল বাংলাদেশ ব্যাংক, থাকছে ঋণ গ্রহীতাদের জন্য সুখবর

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৬:৪৯:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫
  • / 3

ছবি সংগৃহীত

 

 

অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটে (ওবিইউ) জমা রাখা বৈদেশিক মুদ্রা জামানত হিসেবে ব্যবহার করে টাকায় ঋণ দেওয়ার অনুমতি পেয়েছে দেশের ব্যাংকগুলো। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে।

নতুন এ নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রবাসী বাংলাদেশি, বিদেশি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান, বিদেশে নিবন্ধিত কোম্পানি এবং বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বিদেশি নাগরিকরা ওবিইউতে রাখা তাদের বৈদেশিক মুদ্রাকে জামানত হিসেবে ব্যবহার করে স্থানীয় মুদ্রায় ঋণ নিতে পারবেন।

এছাড়া দেশে পরিচালিত কোম্পানি বা ব্যক্তি, যারা অনিবাসী হিসাবধারীর সঙ্গে আর্থিক লেনদেনে জড়িত, তারাও এ সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। তবে ব্যাংকগুলোকে নিশ্চিত করতে হবে, ঋণগ্রহীতা ও হিসাবধারীর মধ্যে যৌক্তিক সম্পর্ক রয়েছে।

এ সুবিধার আওতায় ব্যাংকগুলো কেবল স্বল্পমেয়াদি চলতি মূলধনী ঋণ দিতে পারবে। ঋণের বিপরীতে কোনো জামানত চার্জ বা ফি আরোপ করা যাবে না। প্রয়োজনে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারের ঝুঁকি সামলাতে জামানতের কিছু অংশ মার্জিন হিসেবে রাখা যাবে।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, ঋণগ্রহীতা যদি ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়, তাহলে নির্ধারিত প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বৈদেশিক মুদ্রা নগদায়ন করে ঋণ সমন্বয়ের ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।

ওবিইউ ছাড়াও প্রাইভেট ফরেন কারেন্সি অ্যাকাউন্ট (পিএফসিএ) এবং নন-রেসিডেন্ট ফরেন কারেন্সি ডিপোজিট (এনআরএফসিডি) অ্যাকাউন্টে রাখা অর্থকেও জামানত হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। তবে আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টের অর্থ এ সুবিধার আওতায় আসবে না।

বাংলাদেশে পরিচালিত বিদেশি মালিকানাধীন কোম্পানিগুলো এই সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে। তাদের মতে, স্থানীয়ভাবে জামানত দেওয়া অনেক সময়ই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। এ সুযোগের ফলে বিদেশি বিনিয়োগকারী ও শেয়ারহোল্ডাররা তাদের বৈদেশিক মুদ্রা সহজেই জামানত হিসেবে রেখে স্থানীয় মুদ্রায় ঋণ নিতে পারবেন, যা বিনিয়োগের গতি বাড়াবে বলে মনে করছে তারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

নতুন নির্দেশনা দিল বাংলাদেশ ব্যাংক, থাকছে ঋণ গ্রহীতাদের জন্য সুখবর

আপডেট সময় ০৬:৪৯:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫

 

 

অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটে (ওবিইউ) জমা রাখা বৈদেশিক মুদ্রা জামানত হিসেবে ব্যবহার করে টাকায় ঋণ দেওয়ার অনুমতি পেয়েছে দেশের ব্যাংকগুলো। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে।

নতুন এ নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রবাসী বাংলাদেশি, বিদেশি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান, বিদেশে নিবন্ধিত কোম্পানি এবং বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বিদেশি নাগরিকরা ওবিইউতে রাখা তাদের বৈদেশিক মুদ্রাকে জামানত হিসেবে ব্যবহার করে স্থানীয় মুদ্রায় ঋণ নিতে পারবেন।

এছাড়া দেশে পরিচালিত কোম্পানি বা ব্যক্তি, যারা অনিবাসী হিসাবধারীর সঙ্গে আর্থিক লেনদেনে জড়িত, তারাও এ সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। তবে ব্যাংকগুলোকে নিশ্চিত করতে হবে, ঋণগ্রহীতা ও হিসাবধারীর মধ্যে যৌক্তিক সম্পর্ক রয়েছে।

এ সুবিধার আওতায় ব্যাংকগুলো কেবল স্বল্পমেয়াদি চলতি মূলধনী ঋণ দিতে পারবে। ঋণের বিপরীতে কোনো জামানত চার্জ বা ফি আরোপ করা যাবে না। প্রয়োজনে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারের ঝুঁকি সামলাতে জামানতের কিছু অংশ মার্জিন হিসেবে রাখা যাবে।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, ঋণগ্রহীতা যদি ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়, তাহলে নির্ধারিত প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বৈদেশিক মুদ্রা নগদায়ন করে ঋণ সমন্বয়ের ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।

ওবিইউ ছাড়াও প্রাইভেট ফরেন কারেন্সি অ্যাকাউন্ট (পিএফসিএ) এবং নন-রেসিডেন্ট ফরেন কারেন্সি ডিপোজিট (এনআরএফসিডি) অ্যাকাউন্টে রাখা অর্থকেও জামানত হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। তবে আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টের অর্থ এ সুবিধার আওতায় আসবে না।

বাংলাদেশে পরিচালিত বিদেশি মালিকানাধীন কোম্পানিগুলো এই সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে। তাদের মতে, স্থানীয়ভাবে জামানত দেওয়া অনেক সময়ই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। এ সুযোগের ফলে বিদেশি বিনিয়োগকারী ও শেয়ারহোল্ডাররা তাদের বৈদেশিক মুদ্রা সহজেই জামানত হিসেবে রেখে স্থানীয় মুদ্রায় ঋণ নিতে পারবেন, যা বিনিয়োগের গতি বাড়াবে বলে মনে করছে তারা।