ঢাকা ১২:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জাপানের সহায়তা ও বিনিয়োগে জোর দিতে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের আহ্বান সংস্কার সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি, দ্রুত নির্বাচনের আশা: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছর শেষে দেশে খাদ্য মজুদ বেড়েছে: প্রেস উইং সারা দেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার ১,৪৪৩ যুক্তরাজ্যে প্যালেস্টাইন অ্যাকশনকে সন্ত্রাসী ঘোষণা ব্রিটিশ পার্লামেন্টের বিচার ব্যবস্থাকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে ঐকমত্য তৈরি হয়েছে: জামায়াতে নায়েবে আমির তিন দফা দাবিতে উত্তাল রুয়েট নওগাঁর পোরশা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত নতুন নির্দেশনা দিল বাংলাদেশ ব্যাংক, থাকছে ঋণ গ্রহীতাদের জন্য সুখবর সুনামগঞ্জে পুকুরের পানিতে ডুবে ২ শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু

কারাগার থেকে আন্দোলনের ডাক ইমরান খানের, পাকিস্তানে ফের উত্তেজনা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:৩৪:২১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫
  • / 3

ছবি সংগৃহীত

 

 

কারাগারেই বন্দি থেকেও ফের কঠোর আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই প্রধান ইমরান খান। আশুরা শেষে দেশের সব নাগরিক এবং তার রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের রাজপথে নামার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ দেয়া একটি পোস্টে ইমরান খান অভিযোগ করেন, ক্ষমতাসীন শেহবাজ শরিফ সরকার সংসদে সংবিধানের ২৭তম সংশোধনী পাসের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তিনি বলেন, ‘একটি ভুয়া সংসদের মাধ্যমে এই সংশোধনী আনতে না গিয়ে সরাসরি রাজতন্ত্রের ঘোষণা দেওয়াই ভালো। কারণ এখন দেশে চলছে একপ্রকার একনায়কতন্ত্র, যা জোর করে চাপিয়ে দেয়া হয়েছে।’

ইমরান খান আরও বলেন, এই ২৭তম সংশোধনী রুখতেই তীব্র আন্দোলনের ডাক দিচ্ছেন তিনি। আশুরা শেষেই দেশের সকল নাগরিক এবং বিশেষ করে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) কর্মী-সমর্থকদের রাজপথে নামতে অনুরোধ করেছেন।

তিনি তার বার্তায় উল্লেখ করেন, বর্তমান সরকারের দাসত্ব মেনে নেওয়ার চেয়ে কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে থাকাই তার কাছে শ্রেয়। তার ভাষায়, ‘একটি মাফিয়া গোষ্ঠী পুরো জাতিকে দাসে পরিণত করতে চায়। আমি নির্জন কারাবাস মেনে নেব, কিন্তু দাসত্ব মেনে নেব না।’

সামরিক প্রধান আসিম মুনিরের বিরুদ্ধেও তীব্র সমালোচনা করেন ইমরান খান। তিনি বলেন, ‘যখন একজন স্বৈরশাসক ক্ষমতায় থাকে, তখন ভোটের দরকার হয় না, তারা বলপ্রয়োগে শাসন করে।’ একইসাথে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের সঙ্গে সাক্ষাৎ না করে আসিম মুনিরের সঙ্গে দেখা করাকেই আসল ক্ষমতার কেন্দ্র চিহ্ন হিসেবে তুলে ধরেন তিনি।

ইমরানের এই ঘোষণা সামনে আসতেই পিটিআই দলও স্পষ্ট জানিয়েছে, তারা শিগগিরই আন্দোলনে নামবে। দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা গণমাধ্যমে জানিয়েছেন, আশুরা শেষ হওয়ার পর শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচি শুরু করা হবে। তবে সরকার বাধা দিলে তার উপযুক্ত জবাব দেয়ার প্রস্তুতিও থাকবে তাদের।

ইমরানের এমন বক্তব্যের প্রেক্ষিতে পাকিস্তানের রাজনীতিতে আবারও উত্তেজনা বাড়ছে। নতুন করে সহিংসতার শঙ্কা তৈরি হয়েছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

কারাগার থেকে আন্দোলনের ডাক ইমরান খানের, পাকিস্তানে ফের উত্তেজনা

আপডেট সময় ১১:৩৪:২১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫

 

 

কারাগারেই বন্দি থেকেও ফের কঠোর আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই প্রধান ইমরান খান। আশুরা শেষে দেশের সব নাগরিক এবং তার রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের রাজপথে নামার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ দেয়া একটি পোস্টে ইমরান খান অভিযোগ করেন, ক্ষমতাসীন শেহবাজ শরিফ সরকার সংসদে সংবিধানের ২৭তম সংশোধনী পাসের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তিনি বলেন, ‘একটি ভুয়া সংসদের মাধ্যমে এই সংশোধনী আনতে না গিয়ে সরাসরি রাজতন্ত্রের ঘোষণা দেওয়াই ভালো। কারণ এখন দেশে চলছে একপ্রকার একনায়কতন্ত্র, যা জোর করে চাপিয়ে দেয়া হয়েছে।’

ইমরান খান আরও বলেন, এই ২৭তম সংশোধনী রুখতেই তীব্র আন্দোলনের ডাক দিচ্ছেন তিনি। আশুরা শেষেই দেশের সকল নাগরিক এবং বিশেষ করে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) কর্মী-সমর্থকদের রাজপথে নামতে অনুরোধ করেছেন।

তিনি তার বার্তায় উল্লেখ করেন, বর্তমান সরকারের দাসত্ব মেনে নেওয়ার চেয়ে কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে থাকাই তার কাছে শ্রেয়। তার ভাষায়, ‘একটি মাফিয়া গোষ্ঠী পুরো জাতিকে দাসে পরিণত করতে চায়। আমি নির্জন কারাবাস মেনে নেব, কিন্তু দাসত্ব মেনে নেব না।’

সামরিক প্রধান আসিম মুনিরের বিরুদ্ধেও তীব্র সমালোচনা করেন ইমরান খান। তিনি বলেন, ‘যখন একজন স্বৈরশাসক ক্ষমতায় থাকে, তখন ভোটের দরকার হয় না, তারা বলপ্রয়োগে শাসন করে।’ একইসাথে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের সঙ্গে সাক্ষাৎ না করে আসিম মুনিরের সঙ্গে দেখা করাকেই আসল ক্ষমতার কেন্দ্র চিহ্ন হিসেবে তুলে ধরেন তিনি।

ইমরানের এই ঘোষণা সামনে আসতেই পিটিআই দলও স্পষ্ট জানিয়েছে, তারা শিগগিরই আন্দোলনে নামবে। দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা গণমাধ্যমে জানিয়েছেন, আশুরা শেষ হওয়ার পর শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচি শুরু করা হবে। তবে সরকার বাধা দিলে তার উপযুক্ত জবাব দেয়ার প্রস্তুতিও থাকবে তাদের।

ইমরানের এমন বক্তব্যের প্রেক্ষিতে পাকিস্তানের রাজনীতিতে আবারও উত্তেজনা বাড়ছে। নতুন করে সহিংসতার শঙ্কা তৈরি হয়েছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন।