ঢাকা ০৪:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
নরসিংদীতে ইউপি কার্যালয়ে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা পিআর পদ্ধতি নির্বাচন দেশকে স্বৈরশাসনের দিকে ঠেলে দেবে: রিজভী আহমেদ ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের ১০ বছরের প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি চূড়ান্তের পথে পটুয়াখালীতে ৪ কোটি ৬৫ লাখ টাকার অবৈধ চিংড়ির রেণু জব্দ টেলিকম নেটওয়ার্ক ও লাইসেন্সিং রিফর্ম নীতি নিয়ে উদ্বেগে বিএনপি: মির্জা ফখরুল রাষ্ট্র গঠনের এই ঐতিহাসিক সুযোগ কাজে লাগাতে হবে: ড. আলী রীয়াজ মুরাদনগরে নারী ধর্ষণ মামলা: ছাত্রলীগ নেতাসহ ৪ জনের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর ডেঙ্গু পরীক্ষার স্বাস্থ্য অধিদফতরকে ১৯ হাজার কিট প্রদান করলো চীন আশুরা কেন্দ্র করে রাজধানীতে নিরাপত্তা সর্বোচ্চ: ডিএমপি কমিশনার পশ্চিম তীরে সার্বভৌমত্ব আরোপের বক্তব্যে ইসরায়েলকে সৌদি আরবের কঠোর প্রতিবাদ

বাংলাদেশ থেকে আগামী এক বছরে ৪০ হাজার কর্মী নেবে মালয়ে‌শিয়া : আসিফ নজরুল

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৬:৩০:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫
  • / 1

ছবি সংগৃহীত

 

 

মালয়েশিয়ায় আগামী এক বছরে বাংলাদেশ থেকে খুব বেশি হলে ৩০ থেকে ৪০ হাজার কর্মী নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। বুধবার (২ জুলাই) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘জাপানের শ্রম বাজার: সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি।

আসিফ নজরুল জানান, মালয়েশিয়ার সঙ্গে পূর্ববর্তী সরকারের সময় একটি চুক্তি হয়েছিল যেখানে নির্দিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্সির তালিকা মালয়েশিয়া নির্ধারণ করবে। এটি দুই দেশের মধ্যে আনুষ্ঠানিক চুক্তি, যা অনেকেই ‘সিন্ডিকেট’ বলে উল্লেখ করে। বর্তমানে নতুন দায়িত্ব নিয়ে আসার পর সবার দাবি সিন্ডিকেট বাতিল করতে হবে। কিন্তু সেই চুক্তি পরিবর্তন করা না গেলে সিন্ডিকেট ছাড়া কর্মী পাঠানোর উপায় নেই।

তিনি বলেন, “যদি সেই চুক্তি পরিবর্তন না করা যায়, তাহলে আমার সামনে দুটি বিকল্প থাকবে — এক, তাদের দেওয়া ২৫, ৫০ বা ১০০ রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে কর্মী পাঠানো, আর দুই, একেবারেই কর্মী না পাঠানো। কিন্তু সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কর্মী পাঠালে সমালোচনা হবে যে, আমি সিন্ডিকেটের সঙ্গে যুক্ত। আর যদি কর্মী না পাঠাই, তাহলে ৩০-৪০ হাজার কর্মীর বিদেশযাত্রা থেমে যাবে, যা প্রায় এক থেকে দুই লাখ পরিবারের ক্ষতি ডেকে আনবে।”

সেমিনারে তিনি জাপানের শ্রমবাজার নিয়েও কথা বলেন। তিনি উল্লেখ করেন, জাপানে দক্ষ কর্মীর চাহিদা রয়েছে, কিন্তু সেই চাহিদা মেটানোর সক্ষমতা বাংলাদেশি কর্মীদের মধ্যে এখনও পর্যাপ্ত নয়। ভাষা শিখলেও দক্ষতা অর্জনে ঘাটতি রয়ে যাচ্ছে।

আসিফ নজরুল বলেন, “জাপানের চাহিদা পূরণ করতে হলে আমাদের দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে হবে। এজন্য আমরা জাপান সেল চালু করেছি এবং শিগগিরই একটি ডেডিকেটেড ওয়েবসাইট চালু করা হবে। জাপানে কর্মী প্রেরণে কোনো জটিল প্রক্রিয়া রাখব না। পাশাপাশি কর্মীদের দক্ষ করে তুলতে প্রাইভেট-পাবলিক পার্টনারশিপের পরিকল্পনাও করা হচ্ছে।”

তিনি আরও উল্লেখ করেন, জাপানে কাজের সুযোগ বাড়লেও দেশের অদক্ষ শ্রমিকদের যোগ্যতা অর্জনে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। এতে বাংলাদেশের কর্মীরা বিদেশের বাজারে আরও প্রতিযোগিতামূলক হতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ থেকে আগামী এক বছরে ৪০ হাজার কর্মী নেবে মালয়ে‌শিয়া : আসিফ নজরুল

আপডেট সময় ০৬:৩০:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫

 

 

মালয়েশিয়ায় আগামী এক বছরে বাংলাদেশ থেকে খুব বেশি হলে ৩০ থেকে ৪০ হাজার কর্মী নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। বুধবার (২ জুলাই) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘জাপানের শ্রম বাজার: সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি।

আসিফ নজরুল জানান, মালয়েশিয়ার সঙ্গে পূর্ববর্তী সরকারের সময় একটি চুক্তি হয়েছিল যেখানে নির্দিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্সির তালিকা মালয়েশিয়া নির্ধারণ করবে। এটি দুই দেশের মধ্যে আনুষ্ঠানিক চুক্তি, যা অনেকেই ‘সিন্ডিকেট’ বলে উল্লেখ করে। বর্তমানে নতুন দায়িত্ব নিয়ে আসার পর সবার দাবি সিন্ডিকেট বাতিল করতে হবে। কিন্তু সেই চুক্তি পরিবর্তন করা না গেলে সিন্ডিকেট ছাড়া কর্মী পাঠানোর উপায় নেই।

তিনি বলেন, “যদি সেই চুক্তি পরিবর্তন না করা যায়, তাহলে আমার সামনে দুটি বিকল্প থাকবে — এক, তাদের দেওয়া ২৫, ৫০ বা ১০০ রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে কর্মী পাঠানো, আর দুই, একেবারেই কর্মী না পাঠানো। কিন্তু সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কর্মী পাঠালে সমালোচনা হবে যে, আমি সিন্ডিকেটের সঙ্গে যুক্ত। আর যদি কর্মী না পাঠাই, তাহলে ৩০-৪০ হাজার কর্মীর বিদেশযাত্রা থেমে যাবে, যা প্রায় এক থেকে দুই লাখ পরিবারের ক্ষতি ডেকে আনবে।”

সেমিনারে তিনি জাপানের শ্রমবাজার নিয়েও কথা বলেন। তিনি উল্লেখ করেন, জাপানে দক্ষ কর্মীর চাহিদা রয়েছে, কিন্তু সেই চাহিদা মেটানোর সক্ষমতা বাংলাদেশি কর্মীদের মধ্যে এখনও পর্যাপ্ত নয়। ভাষা শিখলেও দক্ষতা অর্জনে ঘাটতি রয়ে যাচ্ছে।

আসিফ নজরুল বলেন, “জাপানের চাহিদা পূরণ করতে হলে আমাদের দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে হবে। এজন্য আমরা জাপান সেল চালু করেছি এবং শিগগিরই একটি ডেডিকেটেড ওয়েবসাইট চালু করা হবে। জাপানে কর্মী প্রেরণে কোনো জটিল প্রক্রিয়া রাখব না। পাশাপাশি কর্মীদের দক্ষ করে তুলতে প্রাইভেট-পাবলিক পার্টনারশিপের পরিকল্পনাও করা হচ্ছে।”

তিনি আরও উল্লেখ করেন, জাপানে কাজের সুযোগ বাড়লেও দেশের অদক্ষ শ্রমিকদের যোগ্যতা অর্জনে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। এতে বাংলাদেশের কর্মীরা বিদেশের বাজারে আরও প্রতিযোগিতামূলক হতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।