গুজব ও ভুয়া তথ্য মোকাবেলায় প্রয়োজন জাতিসংঘের কার্যকর কৌশল: প্রধান উপদেষ্টা

- আপডেট সময় ০৬:২৩:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫
- / 3
গুজব ও ভুয়া তথ্য রোধে কার্যকর কৌশল প্রণয়নের জন্য জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, অনেক সময় মূলধারার গণমাধ্যমও ভুয়া তথ্যের উৎস হয়ে দাঁড়ায়, যা আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে।
বুধবার (২ জুলাই) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউনেসকোর প্রতিনিধি ও প্রধান সুসান ভাইজ এবং ইউনেসকোর ফ্রিডম অব এক্সপ্রেশন অ্যান্ড সেফটি অব জার্নালিস্টস বিভাগের সিনিয়র প্রজেক্ট অফিসার মেহদি বেনচেলাহ সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ আহ্বান জানান।
‘মুক্ত, স্বাধীন ও বহুমাত্রিক গণমাধ্যম ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থান মূল্যায়ন’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনের প্রকাশনা উপলক্ষে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবেদনটি যৌথভাবে তৈরি করেছে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) এবং ইউনেসকো।
প্রতিবেদন প্রসঙ্গে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “এই প্রতিবেদনের জন্য আমি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।” তিনি আরও বলেন, “গুজব ও ভুয়া তথ্য এখন আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। কিছু গুজব দেশের বাইরে থেকে আসে, আবার কিছু আমাদের সমাজেই ছড়ায়। এগুলো যেন নিয়মিত বোমাবর্ষণের মতো।”
তিনি মনে করেন, কেবল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমই নয়, অনেক সময় মূলধারার সংবাদমাধ্যমও ভুয়া তথ্যের বাহক হয়ে যায়। এ কারণে জাতিসংঘের উচিত সরকার ও গণমাধ্যমের সঙ্গে একযোগে কাজ করা।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “গণমাধ্যমের জন্য স্বাধীন নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন। কোনো গণমাধ্যম যদি নিয়মিতভাবে গুজব ছড়ায়, তাহলে তাদের মনে করিয়ে দিতে হবে যে, তারা আর বিশ্বাসযোগ্য নয়। জাতিসংঘের বক্তব্য এ ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ, আপনাদের সহায়তা দরকার।”
উত্তরে ইউনেসকোর প্রতিনিধি সুসান ভাইজ জানান, বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হতে যাওয়া প্রতিবেদনে আত্মনিয়ন্ত্রণের বিষয়টি বিশেষভাবে তুলে ধরা হয়েছে। তিনি বলেন, “প্রতিবেদনে আন্তর্জাতিক মানের সুপারিশ আছে এবং বিচারক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের ওপরও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।”
ইউনেসকোর সিনিয়র প্রজেক্ট অফিসার মেহদি বেনচেলাহ বলেন, সাংবাদিকদের কাজের পরিবেশ, বিশেষ করে নারী সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রতিবেদনটিতে সুপারিশ থাকবে। তিনি যোগ করেন, “এ বিষয়গুলোতে সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।”
দুই কর্মকর্তা জানান, ইউএনডিপির ‘স্ট্রেনদেনিং ইনস্টিটিউশনস, পলিসিস অ্যান্ড সার্ভিসেস (এসআইপিএস)’ প্রকল্পের আওতায় এবং ইউনেসকোর গণমাধ্যম উন্নয়ন ম্যান্ডেট অনুসারে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।