ঢাকা ০৩:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
রাষ্ট্র গঠনের এই ঐতিহাসিক সুযোগ কাজে লাগাতে হবে: ড. আলী রীয়াজ মুরাদনগরে নারী ধর্ষণ মামলা: ছাত্রলীগ নেতাসহ ৪ জনের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর ডেঙ্গু পরীক্ষার স্বাস্থ্য অধিদফতরকে ১৯ হাজার কিট প্রদান করলো চীন আশুরা কেন্দ্র করে রাজধানীতে নিরাপত্তা সর্বোচ্চ: ডিএমপি কমিশনার পশ্চিম তীরে সার্বভৌমত্ব আরোপের বক্তব্যে ইসরায়েলকে সৌদি আরবের কঠোর প্রতিবাদ আইনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের বিষয়ে একমত বিএনপি: সালাহউদ্দিন আহমেদ ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় পরমাণু কর্মসূচি অন্তত ২ বছর পিছিয়ে গেছে: পেন্টাগন মৌলভীবাজার সীমান্তে ৪৮ বাংলাদেশিকে পুশইন করল বিএসএফ যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চেয়ারম্যানকে‘অবিলম্বে’ পদত্যাগের আহ্বান ট্রাম্পের আজ দুপুরে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে বিএনপি

জুনে সড়কে ঝরলো ৬৯৬ প্রাণ, প্রতিদিন গড়ে মৃত্যু ২৩ জনের: রোড সেফটি ফাউন্ডেশন

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:৩৫:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫
  • / 3

ছবি সংগৃহীত

 

গত জুন মাসে দেশের সড়কপথে ৬৮৯টি দুর্ঘটনায় ৬৯৬ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও ১ হাজার ৮৬৭ জন। গড়ে প্রতিদিন প্রায় ২৩ জনের জীবন শেষ হয়েছে সড়কে।

বুধবার (২ জুলাই) রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। ৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, বিভিন্ন ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম ও নিজস্ব তথ্যভাণ্ডারের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে সংস্থাটি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মে মাসের তুলনায় জুন মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ২২ দশমিক ৫৫ শতাংশ বেড়েছে। এই সময়ে দুর্ঘটনাজনিত আর্থিক ক্ষতি হয়েছে আনুমানিক ২ হাজার ৪৬৩ কোটি ২০ লাখ টাকা।

নিহতদের মধ্যে ১০৪ জন নারী এবং ১০৯ জন শিশু। সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটেছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়, নিহত ২২৮ জন যা মোট মৃত্যুর ৩২ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এছাড়া ১২০ জন পথচারী ও ১০৬ জন চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন।

দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৪৪ দশমিক ৪১ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটে নিয়ন্ত্রণ হারানোর কারণে, ২৪ দশমিক ২৩ শতাংশ ছিল মুখোমুখি সংঘর্ষ এবং ১৮ শতাংশ ঘটেছে পথচারীকে চাপা দেওয়ার ঘটনায়।

সময়ভিত্তিক পর্যালোচনায় দেখা যায়, সকালবেলায় (২৬ দশমিক ২৬ শতাংশ) এবং বিকেলের দিকে (২০ দশমিক ৭৫ শতাংশ) দুর্ঘটনার হার বেশি।

সড়ক অনুযায়ী দুর্ঘটনার ৪২ দশমিক ৯৬ শতাংশ ঘটেছে জাতীয় মহাসড়কে এবং ৩৫ দশমিক ২৬ শতাংশ আঞ্চলিক সড়কে। বিভাগের হিসেবে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিভাগে, যেখানে ২০২টি দুর্ঘটনায় ১৮৭ জন নিহত হয়েছেন।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, বেপরোয়া গতির পাশাপাশি চালকদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ ও মানসিক স্থিতিশীলতার ঘাটতি এবং পথচারীদের অসচেতনতা এই প্রাণঘাতী দুর্ঘটনার মূল কারণ।

সংগঠনটি মনে করে, কেবল আইন প্রয়োগে সমাধান আসবে না, প্রয়োজন ট্রাফিক ব্যবস্থার কাঠামোগত সংস্কার। সেইসঙ্গে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক জনসচেতনতামূলক প্রচারণা জোরদারের আহ্বান জানিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।

নিউজটি শেয়ার করুন

জুনে সড়কে ঝরলো ৬৯৬ প্রাণ, প্রতিদিন গড়ে মৃত্যু ২৩ জনের: রোড সেফটি ফাউন্ডেশন

আপডেট সময় ০৩:৩৫:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫

 

গত জুন মাসে দেশের সড়কপথে ৬৮৯টি দুর্ঘটনায় ৬৯৬ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও ১ হাজার ৮৬৭ জন। গড়ে প্রতিদিন প্রায় ২৩ জনের জীবন শেষ হয়েছে সড়কে।

বুধবার (২ জুলাই) রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। ৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, বিভিন্ন ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম ও নিজস্ব তথ্যভাণ্ডারের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে সংস্থাটি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মে মাসের তুলনায় জুন মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ২২ দশমিক ৫৫ শতাংশ বেড়েছে। এই সময়ে দুর্ঘটনাজনিত আর্থিক ক্ষতি হয়েছে আনুমানিক ২ হাজার ৪৬৩ কোটি ২০ লাখ টাকা।

নিহতদের মধ্যে ১০৪ জন নারী এবং ১০৯ জন শিশু। সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটেছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়, নিহত ২২৮ জন যা মোট মৃত্যুর ৩২ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এছাড়া ১২০ জন পথচারী ও ১০৬ জন চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন।

দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৪৪ দশমিক ৪১ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটে নিয়ন্ত্রণ হারানোর কারণে, ২৪ দশমিক ২৩ শতাংশ ছিল মুখোমুখি সংঘর্ষ এবং ১৮ শতাংশ ঘটেছে পথচারীকে চাপা দেওয়ার ঘটনায়।

সময়ভিত্তিক পর্যালোচনায় দেখা যায়, সকালবেলায় (২৬ দশমিক ২৬ শতাংশ) এবং বিকেলের দিকে (২০ দশমিক ৭৫ শতাংশ) দুর্ঘটনার হার বেশি।

সড়ক অনুযায়ী দুর্ঘটনার ৪২ দশমিক ৯৬ শতাংশ ঘটেছে জাতীয় মহাসড়কে এবং ৩৫ দশমিক ২৬ শতাংশ আঞ্চলিক সড়কে। বিভাগের হিসেবে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিভাগে, যেখানে ২০২টি দুর্ঘটনায় ১৮৭ জন নিহত হয়েছেন।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, বেপরোয়া গতির পাশাপাশি চালকদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ ও মানসিক স্থিতিশীলতার ঘাটতি এবং পথচারীদের অসচেতনতা এই প্রাণঘাতী দুর্ঘটনার মূল কারণ।

সংগঠনটি মনে করে, কেবল আইন প্রয়োগে সমাধান আসবে না, প্রয়োজন ট্রাফিক ব্যবস্থার কাঠামোগত সংস্কার। সেইসঙ্গে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক জনসচেতনতামূলক প্রচারণা জোরদারের আহ্বান জানিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।