ঢাকা ১০:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জন্মদিনে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত ড. মুহাম্মদ ইউনূস, তারেক রহমানের অভিনন্দন থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ, সড়কে জনতার ঢল করোনায় আরও দুজনের মৃত্যু, ২৪ ঘণ্টায় নতুন শনাক্ত ৭ জন শিক্ষা সমাজ ও রাষ্ট্রের উপযোগী মানুষ গড়ে তোলে : প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা পরিবেশই নয়, অর্থনীতি ও জীববৈচিত্র্যও টিকিয়ে রাখতে বন নিরাপত্তার অন্যতম ভিত্তি: রিজওয়ানা জোটবদ্ধ ইসলামি দলই আগামী দিনে দেশের প্রধান রাজনৈতিক শক্তি হয়ে উঠবে: চরমোনাই পীর কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তে বিজিবির ৯ কোটি টাকার এলএসডি ও ফেনসিডিল উদ্ধার গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে দুই বছরের শিশুর মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২৬২ জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে জামায়াতের ৩৬ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিশেষ অভিযানে ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে গ্রেফতার ১,৫৪০ জন

দুমকিতে ধর্ষন মিথ্যা নাটক সাজিয়ে বাদী নিজেই ফেসে গেলেন

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:২৫:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫
  • / 7

ছবি সংগৃহীত

 

পটুয়াখালীর দুমকিতে প্রতিপক্ষকে ফাসাতে প্রতিবন্ধী মেয়েকে ব্যবহার করে ধর্ষনের নাটক সাজিয়ে দায়েরকৃত মামলার বাদী মোসাঃ কহিনুর বেগম(৪৬)কে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

মামলার তদন্ত ও ডাক্তারি পরীক্ষায় অভিযোগ সম্পূর্ণভাবে মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

রোববার ২২ জুন দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোসা. নিলুফার ইয়াসমিন তাঁর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর উপজেলার মুরাদিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা কোহিনুর বেগম দুমকী থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলায় অভিযোগ করেন, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় তাঁর প্রতিবন্ধী মেয়েকে একা পেয়ে পার্শ্ববর্তী বাড়ির ফরিদ হাওলাদার এর পুত্র রাসেল হাওলাদার(৩৭) এর সহযোগিতায় মোক্তার হোসেন মৃধা(৪১) জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন।

পরবর্তীতে পুলিশি তদন্ত ও মেডিকেল পরীক্ষায় ধর্ষণের কোনো প্রকার আলামত না পাওয়ায় আদালত দুই আসামিকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন।
এ ঘটনার পর গত বছর ৯ সেপ্টেম্বর মানহানি ও হয়রানির অভিযোগ এনে রাসেল হাওলাদার বাদী হয়ে কোহিনুর বেগমসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। সেই মামলায় কোহিনুর আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।
বাদীপক্ষের অন্য আসামিরা হলেন কোহিনুরের স্বামী কামাল শরীফ, তাঁদের দুই মেয়ে জোসনা আক্তার ও মারুফা আক্তার, ইউপি সদস্য নাসির হাওলাদার, রেবেকা বেগম এবং স্থানীয় চৌকিদার মিজানুর রহমান।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জমি সংক্রান্ত দীর্ঘদিনের বিরোধ ও ইউপি নির্বাচনে পক্ষে কাজ না করার জেরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে এ মিথ্যা মামলা করা হয়।

এ বিষয়ে জানতে স্থানীয় ইউপি সদস্য নাসির হাওলাদারকে তার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি তো রিসিভ করেননি এবং তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

দুমকিতে ধর্ষন মিথ্যা নাটক সাজিয়ে বাদী নিজেই ফেসে গেলেন

আপডেট সময় ০৩:২৫:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

 

পটুয়াখালীর দুমকিতে প্রতিপক্ষকে ফাসাতে প্রতিবন্ধী মেয়েকে ব্যবহার করে ধর্ষনের নাটক সাজিয়ে দায়েরকৃত মামলার বাদী মোসাঃ কহিনুর বেগম(৪৬)কে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

মামলার তদন্ত ও ডাক্তারি পরীক্ষায় অভিযোগ সম্পূর্ণভাবে মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

রোববার ২২ জুন দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোসা. নিলুফার ইয়াসমিন তাঁর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর উপজেলার মুরাদিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা কোহিনুর বেগম দুমকী থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলায় অভিযোগ করেন, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় তাঁর প্রতিবন্ধী মেয়েকে একা পেয়ে পার্শ্ববর্তী বাড়ির ফরিদ হাওলাদার এর পুত্র রাসেল হাওলাদার(৩৭) এর সহযোগিতায় মোক্তার হোসেন মৃধা(৪১) জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন।

পরবর্তীতে পুলিশি তদন্ত ও মেডিকেল পরীক্ষায় ধর্ষণের কোনো প্রকার আলামত না পাওয়ায় আদালত দুই আসামিকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন।
এ ঘটনার পর গত বছর ৯ সেপ্টেম্বর মানহানি ও হয়রানির অভিযোগ এনে রাসেল হাওলাদার বাদী হয়ে কোহিনুর বেগমসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। সেই মামলায় কোহিনুর আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।
বাদীপক্ষের অন্য আসামিরা হলেন কোহিনুরের স্বামী কামাল শরীফ, তাঁদের দুই মেয়ে জোসনা আক্তার ও মারুফা আক্তার, ইউপি সদস্য নাসির হাওলাদার, রেবেকা বেগম এবং স্থানীয় চৌকিদার মিজানুর রহমান।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জমি সংক্রান্ত দীর্ঘদিনের বিরোধ ও ইউপি নির্বাচনে পক্ষে কাজ না করার জেরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে এ মিথ্যা মামলা করা হয়।

এ বিষয়ে জানতে স্থানীয় ইউপি সদস্য নাসির হাওলাদারকে তার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি তো রিসিভ করেননি এবং তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।