০৭:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

টেকনাফ সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ১ লাখ ১০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:১০:১৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫
  • / 79

ছবি সংগৃহীত

 

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার লেদা ও নোয়াপাড়া সীমান্তবর্তী আদমের জোড়া বেড়িবাঁধ এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে এক লাখ দশ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

মঙ্গলবার (১৭ জুন) রাতে বিজিবির নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্যে জানা যায়, মিয়ানমার থেকে একটি বড় মাদক চালান আদমের জোড়া ও নোয়াপাড়া বিএসপি সংলগ্ন বেড়িবাঁধ এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে। এ তথ্যের ভিত্তিতে টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ লেদা বিওপি ও নোয়াপাড়া বিশেষ ক্যাম্প থেকে একাধিক টহল দল মোতায়েন করা হয়।

বিজ্ঞাপন

প্রতিকূল আবহাওয়া ও ঝড়-বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে বিজিবি সদস্যরা রাতে নাফ নদীর তীরে কৌশলগত অবস্থান নেন। গভীর রাতে সন্দেহভাজন দুজন ব্যক্তিকে চুপিচুপি বেড়িবাঁধ পার হওয়ার চেষ্টা করতে দেখে বিজিবি সদস্যরা বিভিন্ন দিক থেকে তাদের ধাওয়া করে। তবে বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে তারা নদীর পাড়ের কেওড়া জঙ্গলে পালিয়ে যায়।

পরে টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়কের নেতৃত্বে পুরো এলাকা ঘিরে ব্যাপক তল্লাশি চালানো হয়। দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর পাচারকারীদের ফেলে যাওয়া দুটি কর্দমাক্ত বস্তা থেকে এক লাখ দশ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। তবে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, অভিযানের সময় পাচারকারীরা নদী সাঁতরে মিয়ানমারে পালিয়ে গেছে।

জব্দকৃত ইয়াবা ট্যাবলেটগুলো মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের আওতায় আইনানুগভাবে সংরক্ষণ ও জমার জন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

বিজিবি জানিয়েছে, সীমান্ত এলাকায় মাদক ও অন্যান্য অবৈধ কর্মকাণ্ড রুখতে তাদের জিরো টলারেন্স নীতির বাস্তবায়ন অব্যাহত থাকবে। জাতীয় নিরাপত্তা ও সীমান্ত সুরক্ষায় বিজিবি ভবিষ্যতেও কঠোর অবস্থান বজায় রাখবে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

টেকনাফ সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ১ লাখ ১০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার

আপডেট সময় ১০:১০:১৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

 

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার লেদা ও নোয়াপাড়া সীমান্তবর্তী আদমের জোড়া বেড়িবাঁধ এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে এক লাখ দশ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

মঙ্গলবার (১৭ জুন) রাতে বিজিবির নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্যে জানা যায়, মিয়ানমার থেকে একটি বড় মাদক চালান আদমের জোড়া ও নোয়াপাড়া বিএসপি সংলগ্ন বেড়িবাঁধ এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে। এ তথ্যের ভিত্তিতে টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ লেদা বিওপি ও নোয়াপাড়া বিশেষ ক্যাম্প থেকে একাধিক টহল দল মোতায়েন করা হয়।

বিজ্ঞাপন

প্রতিকূল আবহাওয়া ও ঝড়-বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে বিজিবি সদস্যরা রাতে নাফ নদীর তীরে কৌশলগত অবস্থান নেন। গভীর রাতে সন্দেহভাজন দুজন ব্যক্তিকে চুপিচুপি বেড়িবাঁধ পার হওয়ার চেষ্টা করতে দেখে বিজিবি সদস্যরা বিভিন্ন দিক থেকে তাদের ধাওয়া করে। তবে বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে তারা নদীর পাড়ের কেওড়া জঙ্গলে পালিয়ে যায়।

পরে টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়কের নেতৃত্বে পুরো এলাকা ঘিরে ব্যাপক তল্লাশি চালানো হয়। দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর পাচারকারীদের ফেলে যাওয়া দুটি কর্দমাক্ত বস্তা থেকে এক লাখ দশ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। তবে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, অভিযানের সময় পাচারকারীরা নদী সাঁতরে মিয়ানমারে পালিয়ে গেছে।

জব্দকৃত ইয়াবা ট্যাবলেটগুলো মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের আওতায় আইনানুগভাবে সংরক্ষণ ও জমার জন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

বিজিবি জানিয়েছে, সীমান্ত এলাকায় মাদক ও অন্যান্য অবৈধ কর্মকাণ্ড রুখতে তাদের জিরো টলারেন্স নীতির বাস্তবায়ন অব্যাহত থাকবে। জাতীয় নিরাপত্তা ও সীমান্ত সুরক্ষায় বিজিবি ভবিষ্যতেও কঠোর অবস্থান বজায় রাখবে।