০৪:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:০৯:১৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫
  • / 130

ছবি সংগৃহীত

 

 

যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি পোশাকের বাজারে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় আশাব্যঞ্জকভাবে বেড়ে চলেছে। চলতি বছরের প্রথম চার মাস জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত মার্কিন বাজারে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি আগের বছরের তুলনায় ২৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ বেড়েছে।

বিজ্ঞাপন

এই তথ্য উঠে এসেছে ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের অধীনস্থ অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেলের (অটেক্সা) সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানে। এতে বলা হয়েছে, চলতি বছরের প্রথম চার মাসে যুক্তরাষ্ট্রে মোট ২৬২১ কোটি ৮০ লাখ ডলারের তৈরি পোশাক আমদানি হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ দশমিক ৬৫ শতাংশ বেশি।

অটেক্সার তথ্য অনুযায়ী, মার্কিন বাজারে চীনকে পেছনে ফেলে এখন শীর্ষ রপ্তানিকারক দেশ ভিয়েতনাম। দেশটি এ সময়ে ৫০৮ কোটি ৯১ লাখ ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে, যা গত বছরের তুলনায় ১৬ দশমিক ০৬ শতাংশ বেশি। অন্যদিকে চীন থেকে রপ্তানি মাত্র ০ দশমিক ৬৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৩৫ কোটি ৭৬ লাখ ডলারে।

যদিও রপ্তানির মোট পরিমাণে বাংলাদেশ এখনো ভিয়েতনাম ও চীনের পেছনে, তবে প্রবৃদ্ধির হারে বাংলাদেশ এগিয়ে রয়েছে সবার উপরে। প্রথম চার মাসে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে ২৯৮ কোটি ৩১ লাখ ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে, যা প্রবৃদ্ধির দিক থেকে উল্লেখযোগ্য। এই প্রবৃদ্ধি ভিয়েতনামের দ্বিগুণেরও বেশি।

বাংলাদেশের পরে প্রবৃদ্ধিতে এগিয়ে রয়েছে ভারত, যাদের রপ্তানি বেড়েছে ২০ দশমিক ৩০ শতাংশ। ইন্দোনেশিয়া ১৫ দশমিক ৬০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে ১৬০ কোটি ১১ লাখ ডলারে পৌঁছেছে। পাকিস্তানের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৯ দশমিক ৭৯ শতাংশ, মোট রপ্তানি ১২৩ কোটি ৯ লাখ ডলার। অন্যদিকে, কম্বোডিয়ার রপ্তানি বেড়েছে ১৯ দশমিক ৫৭ শতাংশ, মোট আয় ৭৪ কোটি ৯৫ লাখ ডলার।

বিশ্লেষকদের মতে, শ্রম-নির্ভর তৈরি পোশাক খাতে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে উচ্চমানের পণ্য সরবরাহ করতে পারায় এই প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হয়েছে। মার্কিন বাজারে বাংলাদেশের অবস্থান আরও মজবুত করার জন্য প্রযুক্তি উন্নয়ন, উৎপাদন দক্ষতা বৃদ্ধি ও বাণিজ্য কূটনীতিকে আরও জোরদার করার পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ

আপডেট সময় ১১:০৯:১৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

 

 

যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি পোশাকের বাজারে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় আশাব্যঞ্জকভাবে বেড়ে চলেছে। চলতি বছরের প্রথম চার মাস জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত মার্কিন বাজারে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি আগের বছরের তুলনায় ২৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ বেড়েছে।

বিজ্ঞাপন

এই তথ্য উঠে এসেছে ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের অধীনস্থ অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেলের (অটেক্সা) সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানে। এতে বলা হয়েছে, চলতি বছরের প্রথম চার মাসে যুক্তরাষ্ট্রে মোট ২৬২১ কোটি ৮০ লাখ ডলারের তৈরি পোশাক আমদানি হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ দশমিক ৬৫ শতাংশ বেশি।

অটেক্সার তথ্য অনুযায়ী, মার্কিন বাজারে চীনকে পেছনে ফেলে এখন শীর্ষ রপ্তানিকারক দেশ ভিয়েতনাম। দেশটি এ সময়ে ৫০৮ কোটি ৯১ লাখ ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে, যা গত বছরের তুলনায় ১৬ দশমিক ০৬ শতাংশ বেশি। অন্যদিকে চীন থেকে রপ্তানি মাত্র ০ দশমিক ৬৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৩৫ কোটি ৭৬ লাখ ডলারে।

যদিও রপ্তানির মোট পরিমাণে বাংলাদেশ এখনো ভিয়েতনাম ও চীনের পেছনে, তবে প্রবৃদ্ধির হারে বাংলাদেশ এগিয়ে রয়েছে সবার উপরে। প্রথম চার মাসে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে ২৯৮ কোটি ৩১ লাখ ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে, যা প্রবৃদ্ধির দিক থেকে উল্লেখযোগ্য। এই প্রবৃদ্ধি ভিয়েতনামের দ্বিগুণেরও বেশি।

বাংলাদেশের পরে প্রবৃদ্ধিতে এগিয়ে রয়েছে ভারত, যাদের রপ্তানি বেড়েছে ২০ দশমিক ৩০ শতাংশ। ইন্দোনেশিয়া ১৫ দশমিক ৬০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে ১৬০ কোটি ১১ লাখ ডলারে পৌঁছেছে। পাকিস্তানের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৯ দশমিক ৭৯ শতাংশ, মোট রপ্তানি ১২৩ কোটি ৯ লাখ ডলার। অন্যদিকে, কম্বোডিয়ার রপ্তানি বেড়েছে ১৯ দশমিক ৫৭ শতাংশ, মোট আয় ৭৪ কোটি ৯৫ লাখ ডলার।

বিশ্লেষকদের মতে, শ্রম-নির্ভর তৈরি পোশাক খাতে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে উচ্চমানের পণ্য সরবরাহ করতে পারায় এই প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হয়েছে। মার্কিন বাজারে বাংলাদেশের অবস্থান আরও মজবুত করার জন্য প্রযুক্তি উন্নয়ন, উৎপাদন দক্ষতা বৃদ্ধি ও বাণিজ্য কূটনীতিকে আরও জোরদার করার পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।