ঢাকা ০৬:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সাফজয়ী দল নিয়েই এশিয়ান মিশনে লাওস যাচ্ছে বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব-২০ নারী দল “শিবিরের নির্দেশে কাজ করিনি, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যাচার” — নাহিদ ইসলাম পঞ্চগড় সীমান্তে ফের ১৭ বাংলাদেশিকে ঠেলে পাঠালো বিএসএফ ত্রাণ নিতে গিয়ে ইসরায়েলি হামলায় ৭১ ফিলিস্তিনি নিহত, দুর্ভিক্ষে আরও প্রাণহানি ব্রাজিলের আমদানিতে ৫০% শুল্ক আরোপ করলেন ট্রাম্প, পাল্টা হুমকি ব্রাসিলিয়ার বিশ্বের ষষ্ঠ শক্তিশালী ভূমিকম্প: রাশিয়ার সুনামি বিপদ মেসির শেষ মুহূর্তের জাদুতে ইন্টার মায়ামির নাটকীয় জয় অ্যাঙ্গোলায় জ্বালানি মূল্যের বিরোধে রক্তক্ষয়ী বিক্ষোভ, ২২ জন নিহত নিঃশব্দ আতঙ্কের ছায়া: বোবায় ধরা বা স্লিপ প্যারালাইসিসের বৈজ্ঞানিক রহস্য। রংপুরে হিন্দুপল্লীতে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৫

আসামে ধুবড়িতে দুষ্কৃতকারীদের ঠেকাতে কঠোর পদক্ষেপ, মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট বার্তা: ‘দেখামাত্র গুলি’

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:০৮:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫
  • / 14

ছবি সংগৃহীত

 

 

আসামের ধুবড়ি জেলায় সম্প্রতি সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা ‘দুষ্কৃতকারীদের’ দেখামাত্র গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি জানান, রাতে ধুবড়িতে যেকোনো ধরনের সহিংস আচরণ, বিশেষ করে পাথর ছোঁড়ার মতো ঘটনা দেখলেই পুলিশ গুলি চালাবে।

ঘটনার সূত্রপাত গত রোববার, ধুবড়ির একটি হনুমান মন্দিরের কাছে প্রাণীর দেহাবশেষ পাওয়া গেলে স্থানীয় জনতার মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এরপর জনতা ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় শুক্রবার পর্যন্ত ২২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

পরিস্থিতি পর্যালোচনায় মুখ্যমন্ত্রী বিশ্বশর্মা শুক্রবার সরেজমিনে ধুবড়ি পরিদর্শনে যান। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জানান, তিনি গৌহাটি ফিরে গিয়ে ‘দুষ্কৃতকারীদের দেখামাত্র গুলি’ করার আনুষ্ঠানিক নির্দেশ জারি করবেন।

বিশ্বশর্মা দাবি করেন, “ধুবড়িতে মন্দিরে মাংস ফেলার পেছনে রয়েছে একটি ‘বিদেশি চক্র’। ঈদের আগের দিন ‘নবীন বাংলা’ নামে একটি সংগঠন ধুবড়িকে বাংলাদেশের অংশ হিসেবে দাবির পোস্টার লাগিয়েছে। এটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র।”

তিনি আরও বলেন, “ধুবড়িতে একটি গরুর মাফিয়া চক্র সক্রিয় হয়েছে, যারা পশ্চিমবঙ্গ থেকে হাজার হাজার গবাদিপশু এনে ঈদের আগে বিক্রি করছে। এই চক্রে বাংলাদেশের প্রভাব রয়েছে বলেও সন্দেহ করা হচ্ছে।”

এমন পরিস্থিতিতে র‍্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স ও আধা-সামরিক বাহিনী মোতায়েনের পাশাপাশি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি থাকা ব্যক্তিদের ধরতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, “আগামী বছর ঈদের দিন আমি নিজে ধুবড়িতে উপস্থিত থাকব। কাউকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির সুযোগ দেওয়া হবে না।”

এই ঘটনার প্রেক্ষিতে আসামে রাজনৈতিক উত্তাপও বাড়ছে। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিরোধী দলগুলো বিজেপির বিরুদ্ধে ‘ধর্মীয় মেরুকরণের’ অভিযোগ তুলেছে। তাদের ভাষ্য, নির্বাচন সামনে রেখে রাজ্য সরকার পরিকল্পিতভাবে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা উসকে দিচ্ছে।

নির্বাচনের এখনো ৯-১০ মাস বাকি থাকলেও, ধুবড়ির সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ ইতোমধ্যে রাজনীতিতে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আসামে ধুবড়িতে দুষ্কৃতকারীদের ঠেকাতে কঠোর পদক্ষেপ, মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট বার্তা: ‘দেখামাত্র গুলি’

আপডেট সময় ০২:০৮:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫

 

 

আসামের ধুবড়ি জেলায় সম্প্রতি সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা ‘দুষ্কৃতকারীদের’ দেখামাত্র গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি জানান, রাতে ধুবড়িতে যেকোনো ধরনের সহিংস আচরণ, বিশেষ করে পাথর ছোঁড়ার মতো ঘটনা দেখলেই পুলিশ গুলি চালাবে।

ঘটনার সূত্রপাত গত রোববার, ধুবড়ির একটি হনুমান মন্দিরের কাছে প্রাণীর দেহাবশেষ পাওয়া গেলে স্থানীয় জনতার মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এরপর জনতা ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় শুক্রবার পর্যন্ত ২২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

পরিস্থিতি পর্যালোচনায় মুখ্যমন্ত্রী বিশ্বশর্মা শুক্রবার সরেজমিনে ধুবড়ি পরিদর্শনে যান। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জানান, তিনি গৌহাটি ফিরে গিয়ে ‘দুষ্কৃতকারীদের দেখামাত্র গুলি’ করার আনুষ্ঠানিক নির্দেশ জারি করবেন।

বিশ্বশর্মা দাবি করেন, “ধুবড়িতে মন্দিরে মাংস ফেলার পেছনে রয়েছে একটি ‘বিদেশি চক্র’। ঈদের আগের দিন ‘নবীন বাংলা’ নামে একটি সংগঠন ধুবড়িকে বাংলাদেশের অংশ হিসেবে দাবির পোস্টার লাগিয়েছে। এটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র।”

তিনি আরও বলেন, “ধুবড়িতে একটি গরুর মাফিয়া চক্র সক্রিয় হয়েছে, যারা পশ্চিমবঙ্গ থেকে হাজার হাজার গবাদিপশু এনে ঈদের আগে বিক্রি করছে। এই চক্রে বাংলাদেশের প্রভাব রয়েছে বলেও সন্দেহ করা হচ্ছে।”

এমন পরিস্থিতিতে র‍্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স ও আধা-সামরিক বাহিনী মোতায়েনের পাশাপাশি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি থাকা ব্যক্তিদের ধরতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, “আগামী বছর ঈদের দিন আমি নিজে ধুবড়িতে উপস্থিত থাকব। কাউকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির সুযোগ দেওয়া হবে না।”

এই ঘটনার প্রেক্ষিতে আসামে রাজনৈতিক উত্তাপও বাড়ছে। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিরোধী দলগুলো বিজেপির বিরুদ্ধে ‘ধর্মীয় মেরুকরণের’ অভিযোগ তুলেছে। তাদের ভাষ্য, নির্বাচন সামনে রেখে রাজ্য সরকার পরিকল্পিতভাবে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা উসকে দিচ্ছে।

নির্বাচনের এখনো ৯-১০ মাস বাকি থাকলেও, ধুবড়ির সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ ইতোমধ্যে রাজনীতিতে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে।