ঢাকা ০৪:১৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
লন্ডন বৈঠক নিয়ে ধোঁয়াশা নয়, বিষয়-সিদ্ধান্ত পরিষ্কার করুন: পীর সাহেব চরমোনাই আজারবাইজানে ইসরায়েলি হামলায় নিহত অন্তত ৩৩ জন নাইজেরিয়ায় বন্দুকধারীদের হামলায় নিহত অন্তত শতাধিক ২৪ ঘণ্টায় করোনায় একজনের মৃত্যু,শনাক্ত ২৬ খেলাপি ঋণ ৪ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা, চাপ বাড়ছে ব্যাংক খাতে: বাংলাদেশ ব্যাংক বাগেরহাটে বিএনপির সম্মেলনে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৩০, স্থগিত সভা উপযুক্ত চ্যানেলেই ফেরত আসবে ভারতস্থ বাংলাদেশিরা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা চলনবিলের কৃষকদের স্বপ্ন এখন পানির নিচে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে করোনা ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে ৬ নির্দেশনা জারি ময়মনসিংহের নান্দাইলে লুডো খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, নারীসহ আহত ১৬

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জিতে চোকার’ তকমা ঘুচানোর দ্বারপ্রান্তে দক্ষিণ আফ্রিকা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:১৩:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫
  • / 9

ছবি সংগৃহীত

 

 

দীর্ঘদিনের ‘চোকার’ তকমা মুছে ফেলতে আর মাত্র এক ধাপ দূরে দক্ষিণ আফ্রিকা। আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের তৃতীয় দিন শেষে জয়ের পথে দারুণভাবে এগিয়ে তারা। লর্ডসে অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া ২৮২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ২ উইকেট হারিয়ে তুলে ফেলেছে ২১৩ রান। জয় পেতে প্রয়োজন আর মাত্র ৬৯ রান, হাতে রয়েছে ৮টি মূল্যবান উইকেট।

অবিচলিত এক সেঞ্চুরিতে দলের ভিত গড়েছেন এইডেন মার্করাম। ১০২ রানে অপরাজিত থেকে মাঠে আছেন তিনি। তার সঙ্গে ইনিংস গুছিয়ে নিচ্ছেন অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা, যিনি ৬৫ রানে অপরাজিত আছেন। যদিও ইনিংসের শুরুতে মাত্র ২ রানে স্টিভ স্মিথের হাতে জীবন পেয়েছিলেন বাভুমা, সেটাই যেন হয়ে উঠেছে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া মুহূর্ত।

এর আগে দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া গুটিয়ে যায় মাত্র ২০৭ রানে। প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার চেয়ে ৭৪ রান এগিয়ে থাকলেও, দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যর্থতায় চাপে পড়ে যায় প্যাট কামিন্সের দল। শেষ উইকেটে মিচেল স্টার্ক ও জশ হ্যাজলউড ৫৯ রানের মূল্যবান এক জুটি গড়েন, যেখানে স্টার্ক অপরাজিত থাকেন ৫৮ রানে। এই জুটি আইসিসি টুর্নামেন্ট ফাইনালের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দশম উইকেট জুটি এবং লর্ডসে অতিথি দলের পঞ্চম সর্বোচ্চ।

লক্ষ্য ২৮২ হলেও দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য এটি অচেনা নয়। অতীতে পাঁচবার তারা ২৫০ রানের বেশি লক্ষ্য তাড়া করে জিতেছে, যার মধ্যে তিনটিই এসেছে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। বিশেষ করে ২০০৮ সালের পার্থ টেস্টে ৪১৪ রান তাড়া করে জয়ের স্মৃতি এখনো উজ্জ্বল।

ম্যাচের শুরুতে রায়ান রিকেলটন দ্রুত ফিরে গেলেও, মার্করাম প্রথমে ওয়েন মুল্ডারের সঙ্গে ৬১ রানের জুটি এবং পরে বাভুমার সঙ্গে গড়ে তোলেন জয়ের মঞ্চ। বাভুমা ইনজুরি নিয়ে খেললেও দেখিয়েছেন দারুণ সাহস, অন্যদিকে স্টিভ স্মিথের ক্যাচ মিস ও পরে চোটে মাঠ ছাড়াও অস্ট্রেলিয়ার জন্য দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

লর্ডসের ঝকঝকে আবহে দক্ষিণ আফ্রিকা এখন ইতিহাস গড়ার দ্বারপ্রান্তে। বহুবার কাছাকাছি গিয়েও হতাশা বরণ করা দলটি কি পারবে এবার কাঙ্ক্ষিত ট্রফিটা ছুঁতে? উত্তরের জন্য অপেক্ষা আর মাত্র এক দিনের।

নিউজটি শেয়ার করুন

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জিতে চোকার’ তকমা ঘুচানোর দ্বারপ্রান্তে দক্ষিণ আফ্রিকা

আপডেট সময় ১২:১৩:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫

 

 

দীর্ঘদিনের ‘চোকার’ তকমা মুছে ফেলতে আর মাত্র এক ধাপ দূরে দক্ষিণ আফ্রিকা। আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের তৃতীয় দিন শেষে জয়ের পথে দারুণভাবে এগিয়ে তারা। লর্ডসে অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া ২৮২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ২ উইকেট হারিয়ে তুলে ফেলেছে ২১৩ রান। জয় পেতে প্রয়োজন আর মাত্র ৬৯ রান, হাতে রয়েছে ৮টি মূল্যবান উইকেট।

অবিচলিত এক সেঞ্চুরিতে দলের ভিত গড়েছেন এইডেন মার্করাম। ১০২ রানে অপরাজিত থেকে মাঠে আছেন তিনি। তার সঙ্গে ইনিংস গুছিয়ে নিচ্ছেন অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা, যিনি ৬৫ রানে অপরাজিত আছেন। যদিও ইনিংসের শুরুতে মাত্র ২ রানে স্টিভ স্মিথের হাতে জীবন পেয়েছিলেন বাভুমা, সেটাই যেন হয়ে উঠেছে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া মুহূর্ত।

এর আগে দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া গুটিয়ে যায় মাত্র ২০৭ রানে। প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার চেয়ে ৭৪ রান এগিয়ে থাকলেও, দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যর্থতায় চাপে পড়ে যায় প্যাট কামিন্সের দল। শেষ উইকেটে মিচেল স্টার্ক ও জশ হ্যাজলউড ৫৯ রানের মূল্যবান এক জুটি গড়েন, যেখানে স্টার্ক অপরাজিত থাকেন ৫৮ রানে। এই জুটি আইসিসি টুর্নামেন্ট ফাইনালের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দশম উইকেট জুটি এবং লর্ডসে অতিথি দলের পঞ্চম সর্বোচ্চ।

লক্ষ্য ২৮২ হলেও দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য এটি অচেনা নয়। অতীতে পাঁচবার তারা ২৫০ রানের বেশি লক্ষ্য তাড়া করে জিতেছে, যার মধ্যে তিনটিই এসেছে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। বিশেষ করে ২০০৮ সালের পার্থ টেস্টে ৪১৪ রান তাড়া করে জয়ের স্মৃতি এখনো উজ্জ্বল।

ম্যাচের শুরুতে রায়ান রিকেলটন দ্রুত ফিরে গেলেও, মার্করাম প্রথমে ওয়েন মুল্ডারের সঙ্গে ৬১ রানের জুটি এবং পরে বাভুমার সঙ্গে গড়ে তোলেন জয়ের মঞ্চ। বাভুমা ইনজুরি নিয়ে খেললেও দেখিয়েছেন দারুণ সাহস, অন্যদিকে স্টিভ স্মিথের ক্যাচ মিস ও পরে চোটে মাঠ ছাড়াও অস্ট্রেলিয়ার জন্য দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

লর্ডসের ঝকঝকে আবহে দক্ষিণ আফ্রিকা এখন ইতিহাস গড়ার দ্বারপ্রান্তে। বহুবার কাছাকাছি গিয়েও হতাশা বরণ করা দলটি কি পারবে এবার কাঙ্ক্ষিত ট্রফিটা ছুঁতে? উত্তরের জন্য অপেক্ষা আর মাত্র এক দিনের।