ঢাকা ০১:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
শেখ হাসিনার ফোনালাপের আন্তর্জাতিক যাচাই, মামলার স্বচ্ছতা বাড়াবে: প্রসিকিউটর রাজশাহীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধে ব্যবসায়ীকে হাতুড়িপেটা করে হত্যা, গ্রেফতার ৭ জুরাইনে পরিত্যক্ত বাসা থেকে বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্রসহ ৩ সন্ত্রাসী গ্রেফতার অডিট রিপোর্ট স্বচ্ছ না হলে অর্থনীতির টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়: গভর্নর পেটের মেদ কমাতে গিয়ে প্রাণ হারালেন আন্তর্জাতিক আম্পায়ার রাজবাড়ীর পাংশাতে ইউপি সদস্য ও ব্যবসায়ীর বিরোধে সংঘর্ষ, আহত ৬ গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর না হলে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আরও কঠোর পদক্ষেপের ইঙ্গিত যুক্তরাজ্যের চাঁদাবাজিসহ শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে টঙ্গীতে বিএনপির ৫ নেতাকে বহিষ্কার নানা সংকটের মধ্যেও তৈরি পোশাক রফতানিতে রেকর্ড, আয় ছাড়াল ৩৯ বিলিয়ন ডলার নোয়াখালীতে টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা ও বন্যাসদৃশ্য, চরম ভোগান্তিতে জনজীবন

আমার কথার ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে: প্রেস সচিব শফিকুল আলম

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:৪২:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫
  • / 32

ছবি সংগৃহীত

 

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের অবস্থান নিয়ে ভুল তথ্য দেওয়ার ঘটনায় নিজের বক্তব্য সংশোধন করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি দাবি করেছেন, তার বক্তব্যকে “ভুলভাবে ব্যাখ্যা” করা হয়েছে এবং পরবর্তীতে বিষয়টি পরিষ্কার করেই সংশোধন করা হয়েছে।

বুধবার (১১ জুন) লন্ডনে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, “আমি বলেছিলাম, একজন ব্রিটিশ এমপি বলেছিলেন স্টারমার সম্ভবত কানাডায় আছেন। এটাই ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। সত্যি বলতে, এটা আমার পক্ষ থেকে একটি ভুল হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “পরে বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে তা আমরা সংশোধন করেছি। প্রধানমন্ত্রী এখনও যুক্তরাজ্যেই আছেন।”

মঙ্গলবার (১০ জুন) বাংলাদেশ হাইকমিশনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে শফিকুল আলম বলেছিলেন, “আমাদের তথ্য অনুযায়ী, কিয়ার স্টারমার বর্তমানে কানাডায় রয়েছেন। আজ এক ব্রিটিশ এমপি আমাদের এই তথ্য দিয়েছেন।”

তবে তাৎক্ষণিকভাবে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিকেরা তথ্যটির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

‘দ্য গার্ডিয়ান’ ও ‘দ্য টাইমস’-এর খবরে দেখা যায়, স্টারমার তখনও যুক্তরাজ্যেই ছিলেন। এমনকি তিনি ওইদিন পার্লামেন্টে বক্তব্য দেন এবং কয়েকটি সরকারিভাবেও আয়োজিত বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।

এই বিভ্রান্তিমূলক মন্তব্যের পর ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনার মুখে পড়েন শফিকুল আলম।

কানাডা প্রবাসী সাংবাদিক শওগাত আলী সাগর লেখেন, “প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্র হয়ে স্টারমারের অবস্থান না জানাটা দুর্ভাগ্যজনক।”

যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাংবাদিক সাবির মোস্তফা বলেন, “কিয়ার স্টারমার এখন লন্ডনেই আছেন। আজ সকালেও হাউস অব কমন্সে ছিলেন।”

একজন ব্যবহারকারী মন্তব্য করেন: “রাষ্ট্রপ্রধানদের বৈঠক রাস্তায় হঠাৎ দেখা হওয়া নয়। এটি পরিকল্পিত ও আগেই চূড়ান্ত হয়।”

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বর্তমানে যুক্তরাজ্য সফরে রয়েছেন। এই সফরে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে সম্ভাব্য বৈঠকের আলোচনা চলছিল বলেও জানানো হয়েছিল। তবে ওই বৈঠক আদৌ চূড়ান্ত হয়েছে কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়।

শফিকুল আলম তার মন্তব্যে ভুল স্বীকার করলেও ঘটনাটি সরকারের যোগাযোগ ব্যবস্থাপনার ওপর প্রশ্ন তুলেছে। সরকারের মুখপাত্র হিসেবে এমন তথ্যভিত্তিক ভুলকে অনেকেই “দায়িত্বজ্ঞানহীনতা” হিসেবেই দেখছেন।

বিষয় :

নিউজটি শেয়ার করুন

আমার কথার ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে: প্রেস সচিব শফিকুল আলম

আপডেট সময় ০৫:৪২:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫

 

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের অবস্থান নিয়ে ভুল তথ্য দেওয়ার ঘটনায় নিজের বক্তব্য সংশোধন করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি দাবি করেছেন, তার বক্তব্যকে “ভুলভাবে ব্যাখ্যা” করা হয়েছে এবং পরবর্তীতে বিষয়টি পরিষ্কার করেই সংশোধন করা হয়েছে।

বুধবার (১১ জুন) লন্ডনে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, “আমি বলেছিলাম, একজন ব্রিটিশ এমপি বলেছিলেন স্টারমার সম্ভবত কানাডায় আছেন। এটাই ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। সত্যি বলতে, এটা আমার পক্ষ থেকে একটি ভুল হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “পরে বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে তা আমরা সংশোধন করেছি। প্রধানমন্ত্রী এখনও যুক্তরাজ্যেই আছেন।”

মঙ্গলবার (১০ জুন) বাংলাদেশ হাইকমিশনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে শফিকুল আলম বলেছিলেন, “আমাদের তথ্য অনুযায়ী, কিয়ার স্টারমার বর্তমানে কানাডায় রয়েছেন। আজ এক ব্রিটিশ এমপি আমাদের এই তথ্য দিয়েছেন।”

তবে তাৎক্ষণিকভাবে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিকেরা তথ্যটির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

‘দ্য গার্ডিয়ান’ ও ‘দ্য টাইমস’-এর খবরে দেখা যায়, স্টারমার তখনও যুক্তরাজ্যেই ছিলেন। এমনকি তিনি ওইদিন পার্লামেন্টে বক্তব্য দেন এবং কয়েকটি সরকারিভাবেও আয়োজিত বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।

এই বিভ্রান্তিমূলক মন্তব্যের পর ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনার মুখে পড়েন শফিকুল আলম।

কানাডা প্রবাসী সাংবাদিক শওগাত আলী সাগর লেখেন, “প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্র হয়ে স্টারমারের অবস্থান না জানাটা দুর্ভাগ্যজনক।”

যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাংবাদিক সাবির মোস্তফা বলেন, “কিয়ার স্টারমার এখন লন্ডনেই আছেন। আজ সকালেও হাউস অব কমন্সে ছিলেন।”

একজন ব্যবহারকারী মন্তব্য করেন: “রাষ্ট্রপ্রধানদের বৈঠক রাস্তায় হঠাৎ দেখা হওয়া নয়। এটি পরিকল্পিত ও আগেই চূড়ান্ত হয়।”

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বর্তমানে যুক্তরাজ্য সফরে রয়েছেন। এই সফরে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে সম্ভাব্য বৈঠকের আলোচনা চলছিল বলেও জানানো হয়েছিল। তবে ওই বৈঠক আদৌ চূড়ান্ত হয়েছে কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়।

শফিকুল আলম তার মন্তব্যে ভুল স্বীকার করলেও ঘটনাটি সরকারের যোগাযোগ ব্যবস্থাপনার ওপর প্রশ্ন তুলেছে। সরকারের মুখপাত্র হিসেবে এমন তথ্যভিত্তিক ভুলকে অনেকেই “দায়িত্বজ্ঞানহীনতা” হিসেবেই দেখছেন।