পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে অগ্রগতি, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে যুক্তরাষ্ট্রের স্বচ্ছতা চায় তেহেরান

- আপডেট সময় ০১:২২:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫
- / 9
পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে নতুন একটি চুক্তির সম্ভাবনা দেখা দিলেও নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে আরও স্বচ্ছতা দেখানোর আহ্বান জানিয়েছে তেহেরান। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘেই সোমবার (২ জুন) এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন। খবর আল জাজিরা।
তিনি বলেন, “আমরা যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে জানতে চাই, কীভাবে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে। এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো পরিষ্কার বার্তা দেওয়া হয়নি।”
গত সাত সপ্তাহ ধরে চলমান আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র একটি শান্তিপূর্ণ চুক্তির প্রত্যাশা করছে। অন্যদিকে ইরান চায়, তার অর্থনীতিকে চাপে রাখা নিষেধাজ্ঞাগুলো প্রত্যাহার হোক। বাঘেই বলেন, “শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যেই আমরা ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করছি। তবে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কোনো নির্দিষ্ট গাইডলাইন এখনো মেলেনি।”
এর আগে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনেয়ি যুক্তরাষ্ট্রের কার্যক্রম নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন। ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ইরনা জানিয়েছে, বাঘেই জাতিসংঘের এক ফাঁস হওয়া প্রতিবেদনে ইরান সম্পর্কে করা মন্তব্যকে পক্ষপাতদুষ্ট বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।
জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরান প্রায় ৬০ শতাংশ ইউরেনিয়াম মজুদ করেছে। যদিও এটি ৯০ শতাংশের নিচে, যা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির জন্য প্রয়োজনীয়, তবু সাধারণ পারমাণবিক জ্বালানির তুলনায় এটি অনেক বেশি।
মার্কিন প্রতিনিধি স্টিভ উইটকভ জানিয়েছেন, তেহেরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ অব্যাহত থাকায় সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একে ‘রেড লাইন’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
এদিকে নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে ইরানকে সব ধরনের ইউরেনিয়াম মজুদ কার্যক্রম বন্ধের আহ্বান জানানো হয়েছে। তবে ইরান এখনো ওই প্রস্তাব পর্যালোচনা করছে। তেহেরান জানিয়েছে, প্রস্তাব গ্রহণ করার অর্থ এই নয় যে তারা তা মেনে নিয়েছে।
হোয়াইট হাউস বলছে, ইরানের স্বার্থ রক্ষায় এটাই ‘সর্বোত্তম’ প্রস্তাব। তবে ইরান বলছে, চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের আগে নিষেধাজ্ঞা বিষয়ে পরিষ্কার দিকনির্দেশনা প্রয়োজন।
এই পরিস্থিতিতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের নজর এখন ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য নতুন চুক্তির দিকেই। চুক্তিটি যদি হয়, তা মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনীতিতে বড় প্রভাব ফেলতে পারে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।