ঢাকা ০১:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫, ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
এআই চ্যাটবট নিয়ে গুরুতর তথ্য ফাঁস স্বীকার করল মেটা নবীগঞ্জে ৩০ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদককারবারি আটক সংগ্রাম-শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় ৮১ বছরে খালেদা জিয়া রাশিয়ার সম্ভাব্য হুমকি মোকাবিলায় ড্রোন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খুলছে লিথুয়ানিয়া এআই–ভিত্তিক হার্ডওয়্যারে বড় উদ্যোগ নিচ্ছে অ্যাপল জেরুজালেমকে চিরতরে ছিনিয়ে নিতে ই-ওয়ান বসতি প্রকল্প পুনরুজ্জীবনের ঘোষণা ইসরাইলি অর্থমন্ত্রীর ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলল ইউরোপ সিরিয়ার পুনর্গঠনে ইদলিব হবে কেন্দ্রবিন্দু: প্রেসিডেন্ট শারআ নির্বাচন করলে তফসিলের আগেই উপদেষ্টার পদ ছেড়ে দেব: আসিফ মাহমুদ রাজনীতি থেকে মাইনাস হবে, যারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করবে: সালাহউদ্দিন

সিনহা হত্যা মামলায় ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল: হাইকোর্ট

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:২৬:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫
  • / 21

ছবি সংগৃহীত

 

সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় হাইকোর্ট ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও লিয়াকত আলীর মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছে। একইসঙ্গে আরও ৬ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডও বহাল রাখা হয়েছে।

সোমবার (২ জুন) বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই বহুল আলোচিত মামলার রায় ঘোষণা করেন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়।

রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জসিম সরকার, অ্যাডভোকেট মো. আসাদ উদ্দিন, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল গিয়াসউদ্দিন গাজি, লাবনি আক্তার, তানভীর প্রধান, সুমাইয়া বিনতে আজিজ ও আসাদুল্লাহ আল গালিব।

২০২০ সালের ৩১ জুলাই টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ সড়কে শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান। ঘটনার পরপরই দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়।

এই ঘটনার পর দায়ের হওয়া মামলায় ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের তৎকালীন ইনচার্জ লিয়াকত আলীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন: বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের বরখাস্ত এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিত, সাগর দেব ও রুবেল শর্মা, এবং মামলার সাক্ষী হিসেবে থাকা স্থানীয় তিনজন নুরুল আমিন, মো. নেজামুদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।

এ মামলায় আরও সাতজনকে খালাস দেওয়া হয়।

জেলকোড অনুযায়ী, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের দণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। একইসঙ্গে সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হাইকোর্টে আপিল ও জেল আপিল করেন।

হাইকোর্ট আজকের রায়ে নিম্ন আদালতের দেওয়া রায় বহাল রাখায় বিচারপ্রার্থীদের মাঝে স্বস্তি নেমে এসেছে। মামলাটি দেশের বিচার ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন ঘটনার সাক্ষী হয়ে রইল।

নিউজটি শেয়ার করুন

সিনহা হত্যা মামলায় ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল: হাইকোর্ট

আপডেট সময় ১২:২৬:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫

 

সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় হাইকোর্ট ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও লিয়াকত আলীর মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছে। একইসঙ্গে আরও ৬ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডও বহাল রাখা হয়েছে।

সোমবার (২ জুন) বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই বহুল আলোচিত মামলার রায় ঘোষণা করেন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়।

রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জসিম সরকার, অ্যাডভোকেট মো. আসাদ উদ্দিন, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল গিয়াসউদ্দিন গাজি, লাবনি আক্তার, তানভীর প্রধান, সুমাইয়া বিনতে আজিজ ও আসাদুল্লাহ আল গালিব।

২০২০ সালের ৩১ জুলাই টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ সড়কে শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান। ঘটনার পরপরই দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়।

এই ঘটনার পর দায়ের হওয়া মামলায় ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের তৎকালীন ইনচার্জ লিয়াকত আলীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন: বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের বরখাস্ত এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিত, সাগর দেব ও রুবেল শর্মা, এবং মামলার সাক্ষী হিসেবে থাকা স্থানীয় তিনজন নুরুল আমিন, মো. নেজামুদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।

এ মামলায় আরও সাতজনকে খালাস দেওয়া হয়।

জেলকোড অনুযায়ী, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের দণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। একইসঙ্গে সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হাইকোর্টে আপিল ও জেল আপিল করেন।

হাইকোর্ট আজকের রায়ে নিম্ন আদালতের দেওয়া রায় বহাল রাখায় বিচারপ্রার্থীদের মাঝে স্বস্তি নেমে এসেছে। মামলাটি দেশের বিচার ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন ঘটনার সাক্ষী হয়ে রইল।