ঢাকা ১২:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
টাঙ্গাইলে ট্রাকের পেছনে মাইক্রোবাসের ধাক্কা: নিহত ৩, আহত ৩ শ্রীপুরে শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষে আহত অর্ধশতাধিক, উত্তপ্ত পরিস্থিতি বায়তুল মোকাররমে ঈদুল আজহার পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে হাফতার প্রশাসনের পাল্টা সিদ্ধান্ত: তুরস্ক-লিবিয়া সমুদ্র চুক্তিতে যোগদান আসামে একদিনে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাত, ভাঙল ১৩২ বছরের পুরনো রেকর্ড দিনাজপুরে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা জাগাচ্ছে নতুন ধান ব্রি-১০২ শান্তি আলোচনায় ব্যর্থ রাশিয়া-ইউক্রেন, তবে যুদ্ধবন্দি বিনিময়ে অগ্রগতি ঈদযাত্রায় কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে বেড়েছে চাপ, নেই কোন ভোগান্তি ঈদ ফিরতি ট্রেন যাত্রা: আজ মিলছে ১৩ জুনের অগ্রিম টিকিট দিল্লিতে ১৬ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার

জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ তৈরিতে এক মাস সময় দাবি করল বিএনপি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:১৪:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫
  • / 11

ছবি: সংগৃহীত

 

জাতীয় নির্বাচনের নির্ধারিত সময় এবং অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকা নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। দলটি জানিয়েছে, জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা ও সরকারের অবস্থান পুনর্বিবেচনার জন্য এক মাস সময় দেওয়া হবে। এই সময়ের মধ্যে সরকার কোনো ইতিবাচক সাড়া না দিলে জুলাই থেকে কঠোর আন্দোলন শুরু করবে বিএনপি।

দলটির নীতিনির্ধারক নেতারা জানান, জুন মাসজুড়ে কোনো বড় রাজনৈতিক কর্মসূচি থাকবে না। বরং তারা সরকারকে সিদ্ধান্ত বদলের জন্য সময় দেবে। নেতাদের ভাষ্য অনুযায়ী, “আমরা চাই সরকার নিজের অবস্থান পুনর্বিবেচনা করুক। যদি না করে, তাহলে জুলাইয়ে রাজপথে ফিরব।”

আগামী ৭ জুন পবিত্র ঈদুল আজহা, ফলে ঈদের আগ পর্যন্ত কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি দিচ্ছে না বিএনপি। ঈদের পর জুলাই ও আগস্টে ধারাবাহিক কর্মসূচি আসবে বলে দলটির দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে।

স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “নির্বাচনের জন্য আমাদের কার্যক্রম চলতে থাকবে। সামনে আরও কর্মসূচি থাকবে।”

আরেক সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আমরা আমাদের কার্যক্রম পরিচালনা করব এবং জাতির সামনে উপস্থাপন করব। আমরা আরও কিছু সময় অপেক্ষা করব, যাতে সরকারের বিবেচনাবোধ জাগে।”

গত বুধবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিএনপির শীর্ষ নেতারা স্পষ্টভাবে জানান, জাতীয় নির্বাচন এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই অনুষ্ঠিত হতে হবে। দলটি সেই লক্ষ্যে আন্দোলন ও কূটনৈতিক প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।

বিএনপি মনে করছে, জুলাই-আগস্টে রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও স্পষ্ট হয়ে উঠবে এবং তখন সরকারকেও সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করা যাবে।

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে আয়োজনের লক্ষ্যে একটি রূপরেখা ঘোষণা করতে পারে বলে আলোচনা রয়েছে। কিন্তু বিএনপি তা প্রত্যাখ্যান করে এ বছরের মধ্যেই নির্বাচন দাবি করে আসছে।

দলটির নেতারা বিশ্বাস করেন, জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন প্রয়োজন, এবং এর বাইরে কোনো ব্যবস্থা দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রার পরিপন্থী।

নিউজটি শেয়ার করুন

জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ তৈরিতে এক মাস সময় দাবি করল বিএনপি

আপডেট সময় ০১:১৪:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫

 

জাতীয় নির্বাচনের নির্ধারিত সময় এবং অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকা নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। দলটি জানিয়েছে, জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা ও সরকারের অবস্থান পুনর্বিবেচনার জন্য এক মাস সময় দেওয়া হবে। এই সময়ের মধ্যে সরকার কোনো ইতিবাচক সাড়া না দিলে জুলাই থেকে কঠোর আন্দোলন শুরু করবে বিএনপি।

দলটির নীতিনির্ধারক নেতারা জানান, জুন মাসজুড়ে কোনো বড় রাজনৈতিক কর্মসূচি থাকবে না। বরং তারা সরকারকে সিদ্ধান্ত বদলের জন্য সময় দেবে। নেতাদের ভাষ্য অনুযায়ী, “আমরা চাই সরকার নিজের অবস্থান পুনর্বিবেচনা করুক। যদি না করে, তাহলে জুলাইয়ে রাজপথে ফিরব।”

আগামী ৭ জুন পবিত্র ঈদুল আজহা, ফলে ঈদের আগ পর্যন্ত কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি দিচ্ছে না বিএনপি। ঈদের পর জুলাই ও আগস্টে ধারাবাহিক কর্মসূচি আসবে বলে দলটির দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে।

স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “নির্বাচনের জন্য আমাদের কার্যক্রম চলতে থাকবে। সামনে আরও কর্মসূচি থাকবে।”

আরেক সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আমরা আমাদের কার্যক্রম পরিচালনা করব এবং জাতির সামনে উপস্থাপন করব। আমরা আরও কিছু সময় অপেক্ষা করব, যাতে সরকারের বিবেচনাবোধ জাগে।”

গত বুধবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিএনপির শীর্ষ নেতারা স্পষ্টভাবে জানান, জাতীয় নির্বাচন এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই অনুষ্ঠিত হতে হবে। দলটি সেই লক্ষ্যে আন্দোলন ও কূটনৈতিক প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।

বিএনপি মনে করছে, জুলাই-আগস্টে রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও স্পষ্ট হয়ে উঠবে এবং তখন সরকারকেও সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করা যাবে।

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে আয়োজনের লক্ষ্যে একটি রূপরেখা ঘোষণা করতে পারে বলে আলোচনা রয়েছে। কিন্তু বিএনপি তা প্রত্যাখ্যান করে এ বছরের মধ্যেই নির্বাচন দাবি করে আসছে।

দলটির নেতারা বিশ্বাস করেন, জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন প্রয়োজন, এবং এর বাইরে কোনো ব্যবস্থা দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রার পরিপন্থী।