ঢাকা ১২:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বায়তুল মোকাররমে ঈদুল আজহার পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে হাফতার প্রশাসনের পাল্টা সিদ্ধান্ত: তুরস্ক-লিবিয়া সমুদ্র চুক্তিতে যোগদান আসামে একদিনে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাত, ভাঙল ১৩২ বছরের পুরনো রেকর্ড দিনাজপুরে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা জাগাচ্ছে নতুন ধান ব্রি-১০২ শান্তি আলোচনায় ব্যর্থ রাশিয়া-ইউক্রেন, তবে যুদ্ধবন্দি বিনিময়ে অগ্রগতি ঈদযাত্রায় কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে বেড়েছে চাপ, নেই কোন ভোগান্তি ঈদ ফিরতি ট্রেন যাত্রা: আজ মিলছে ১৩ জুনের অগ্রিম টিকিট দিল্লিতে ১৬ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার রাজস্থলীতে বন্যহাতির তাণ্ডবে বসতবাড়ি লণ্ডভণ্ড সিকিমে ভূমিধসে সেনা ক্যাম্প ধসে ৩ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ অন্তত ৬

অর্থনীতিতে রোডম্যাপহীনতা ও সমন্বয়ের অভাবেই বিনিয়োগে অনিশ্চয়তা: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:০৬:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫
  • / 16

ছবি: সংগৃহীত

 

গবেষণা সংস্থা সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো এবং এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য অভিযোগ করেছেন, বর্তমান সরকারের অর্থনৈতিক কর্মকৌশলে কোনো সুস্পষ্ট রোডম্যাপ নেই। মধ্যমেয়াদি কোনো পরিকল্পনা প্রণয়ন না করায় তিনি হতবাক হয়েছেন বলে জানান।

এক জাতীয় দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে অন্তত একটি মধ্যমেয়াদি অর্থনৈতিক পরিকল্পনার প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু সেটা আসেনি। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বিনিয়োগ সম্মেলনে এ ঘাটতি আরও বেশি করে অনুভূত হয়েছে।” তিনি জানান, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা করনীতি, বিনিয়োগ সুবিধা, অর্থ প্রত্যাবাসন ও রপ্তানি সংক্রান্ত সমন্বিত নীতিমালা সম্পর্কে জানতে চাইলেও সরকার এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট দলিল দিতে পারেনি।

ড. দেবপ্রিয় আরও বলেন, সরকার বিভিন্ন অর্থনৈতিক টাস্কফোর্স ও কমিটি গঠন করলেও তার কার্যকর ফলাফল এখনো দৃশ্যমান নয়। বিশেষ করে শ্বেতপত্র কমিটির কাজের অগ্রগতি বা সুপারিশের বাস্তবায়ন নিয়ে কোনো স্পষ্টতা নেই।

বাজেট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বর্তমান বাজেট কার্যত একটি পতিত সরকারের বাজেট। সরকার বাজেট সংশোধন করেছে, কিন্তু তা কী নীতির ভিত্তিতে করেছে, সেটা স্পষ্ট নয়। পরোক্ষ করের ওপর নির্ভরতা কমানো হয়েছে কিনা, বা ভর্তুকি ও সুদের খাতে কী ধরনের কৌশল নেওয়া হয়েছে, তাও জানা যায়নি।”

তিনি অভিযোগ করেন, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) ৪০ শতাংশই অকার্যকর বা ভুয়া প্রকল্পে ভরা। কোনো মেগা প্রকল্প বাদ দেওয়া হয়েছে কি না, বা মূল্য সংশোধন করা হয়েছে কি না, সে সম্পর্কেও কোনো ব্যাখ্যা নেই। সরকার যে খরচ কমাচ্ছে, তার পেছনের নীতিগত অবস্থানও স্পষ্ট নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।

জ্বালানি, ব্যাংক এবং কর ব্যবস্থায় যেসব সংস্কারের চেষ্টা চলছে, তার সঙ্গেও বাজেটের কোনো সমন্বয় নেই বলেও জানান ড. দেবপ্রিয়। তিনি বলেন, “নীতির দ্রুত পরিবর্তন স্থানীয় ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অনিশ্চয়তা তৈরি করছে। সরকারের অর্থনৈতিক মেনিফেস্টো বা সমন্বিত সংস্কার কর্মসূচির অভাব বিনিয়োগের জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে।”

তিনি আরও বলেন, “অর্থনৈতিক সংস্কার নিয়ে রাজনৈতিক পর্যায়ে কোনো আলোচনা না হওয়ায় প্রক্রিয়াগত ধারাবাহিকতাও অনিশ্চিত। এরই প্রেক্ষিতে শেয়ারবাজার ও রাজস্ব আদায় খাতে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।”

নিউজটি শেয়ার করুন

অর্থনীতিতে রোডম্যাপহীনতা ও সমন্বয়ের অভাবেই বিনিয়োগে অনিশ্চয়তা: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

আপডেট সময় ০১:০৬:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫

 

গবেষণা সংস্থা সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো এবং এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য অভিযোগ করেছেন, বর্তমান সরকারের অর্থনৈতিক কর্মকৌশলে কোনো সুস্পষ্ট রোডম্যাপ নেই। মধ্যমেয়াদি কোনো পরিকল্পনা প্রণয়ন না করায় তিনি হতবাক হয়েছেন বলে জানান।

এক জাতীয় দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে অন্তত একটি মধ্যমেয়াদি অর্থনৈতিক পরিকল্পনার প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু সেটা আসেনি। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বিনিয়োগ সম্মেলনে এ ঘাটতি আরও বেশি করে অনুভূত হয়েছে।” তিনি জানান, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা করনীতি, বিনিয়োগ সুবিধা, অর্থ প্রত্যাবাসন ও রপ্তানি সংক্রান্ত সমন্বিত নীতিমালা সম্পর্কে জানতে চাইলেও সরকার এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট দলিল দিতে পারেনি।

ড. দেবপ্রিয় আরও বলেন, সরকার বিভিন্ন অর্থনৈতিক টাস্কফোর্স ও কমিটি গঠন করলেও তার কার্যকর ফলাফল এখনো দৃশ্যমান নয়। বিশেষ করে শ্বেতপত্র কমিটির কাজের অগ্রগতি বা সুপারিশের বাস্তবায়ন নিয়ে কোনো স্পষ্টতা নেই।

বাজেট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বর্তমান বাজেট কার্যত একটি পতিত সরকারের বাজেট। সরকার বাজেট সংশোধন করেছে, কিন্তু তা কী নীতির ভিত্তিতে করেছে, সেটা স্পষ্ট নয়। পরোক্ষ করের ওপর নির্ভরতা কমানো হয়েছে কিনা, বা ভর্তুকি ও সুদের খাতে কী ধরনের কৌশল নেওয়া হয়েছে, তাও জানা যায়নি।”

তিনি অভিযোগ করেন, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) ৪০ শতাংশই অকার্যকর বা ভুয়া প্রকল্পে ভরা। কোনো মেগা প্রকল্প বাদ দেওয়া হয়েছে কি না, বা মূল্য সংশোধন করা হয়েছে কি না, সে সম্পর্কেও কোনো ব্যাখ্যা নেই। সরকার যে খরচ কমাচ্ছে, তার পেছনের নীতিগত অবস্থানও স্পষ্ট নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।

জ্বালানি, ব্যাংক এবং কর ব্যবস্থায় যেসব সংস্কারের চেষ্টা চলছে, তার সঙ্গেও বাজেটের কোনো সমন্বয় নেই বলেও জানান ড. দেবপ্রিয়। তিনি বলেন, “নীতির দ্রুত পরিবর্তন স্থানীয় ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অনিশ্চয়তা তৈরি করছে। সরকারের অর্থনৈতিক মেনিফেস্টো বা সমন্বিত সংস্কার কর্মসূচির অভাব বিনিয়োগের জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে।”

তিনি আরও বলেন, “অর্থনৈতিক সংস্কার নিয়ে রাজনৈতিক পর্যায়ে কোনো আলোচনা না হওয়ায় প্রক্রিয়াগত ধারাবাহিকতাও অনিশ্চিত। এরই প্রেক্ষিতে শেয়ারবাজার ও রাজস্ব আদায় খাতে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।”