১১:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

দশ বছর পর আজ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সরাসরি ভর্তি পরীক্ষা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:০৩:৩৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫
  • / 175

ছবি: সংগৃহীত

 

দীর্ঘ এক দশক পর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির সরাসরি ভর্তি পরীক্ষা। আগামী শনিবার (৩১ মে) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দেশের ৬৪টি জেলা শহরের ৮৭৯টি কেন্দ্রে একযোগে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এতে অংশ নিচ্ছেন ৫ লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ জানিয়েছেন, দীর্ঘ বিরতির পর সারাদেশব্যাপী পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোর পরিচালনায় দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব ও কর্মকর্তাদের যথাযথ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যাতে নিরবচ্ছিন্নভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন করা যায়।”

বিজ্ঞাপন

ভর্তি প্রক্রিয়ায় ফিরল পরীক্ষা পদ্ধতি

২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হতো। কিন্তু ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার জিপিএর ভিত্তিতে ভর্তি প্রক্রিয়া চালু হয়। চলতি শিক্ষাবর্ষে আবারও আগের নিয়মে ফিরে গেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বিভাগভিত্তিক কেন্দ্র সংখ্যা

ঢাকা বিভাগে সর্বাধিক ২৪৭টি কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। খুলনায় রয়েছে ১৫৬টি, রাজশাহীতে ১৪৩টি, চট্টগ্রামে ১৩৪টি, রংপুরে ৯৬টি, বরিশালে ৫৯টি এবং সিলেট বিভাগে রয়েছে ৪৪টি কেন্দ্র। সরকারি কলেজ ছাড়াও স্থানীয় কিছু বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে পরীক্ষাকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হবে।

পরীক্ষার ধরন ও মূল্যায়ন পদ্ধতি

ভর্তি পরীক্ষা হবে এক ঘণ্টার এমসিকিউ ভিত্তিক, যেখানে থাকবে ১০০ নম্বরের প্রশ্ন। প্রতিটি সঠিক উত্তরের জন্য ১ নম্বর দেওয়া হবে, তবে ভুল উত্তরের জন্য কোনো নম্বর কাটা হবে না। পাস নম্বর নির্ধারিত হয়েছে ৩৫। চূড়ান্ত মেধাতালিকা তৈরি হবে এমসিকিউ অংশে প্রাপ্ত নম্বর, এসএসসির জিপিএর ৪০ শতাংশ এবং এইচএসসির জিপিএর ৬০ শতাংশ যোগ করে মোট ২০০ নম্বরের ভিত্তিতে।

ভর্তিযোগ্য আসন ও কোটা ব্যবস্থা

বর্তমানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ৮৮১টি কলেজে স্নাতক (সম্মান) কোর্স চালু রয়েছে। এর মধ্যে ২৬৪টি সরকারি ও ৬১৭টি বেসরকারি কলেজ। ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে সম্মান কোর্সে আসন সংখ্যা ছিল ৪ লাখ ৩৬ হাজার ২৮৫টি এবং ডিগ্রি (পাস) কোর্সে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে আসন ছিল ৪ লাখ ২১ হাজার ৯৯০টি।

প্রত্যেক বিষয়ে সর্বোচ্চ ৮টি আসন সংরক্ষিত থাকবে বিভিন্ন কোটার জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩টি, আদিবাসী কোটা ১টি, প্রতিবন্ধী কোটা ১টি এবং পোষ্য কোটা ৩টি।

নিউজটি শেয়ার করুন

দশ বছর পর আজ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সরাসরি ভর্তি পরীক্ষা

আপডেট সময় ১১:০৩:৩৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫

 

দীর্ঘ এক দশক পর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির সরাসরি ভর্তি পরীক্ষা। আগামী শনিবার (৩১ মে) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দেশের ৬৪টি জেলা শহরের ৮৭৯টি কেন্দ্রে একযোগে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এতে অংশ নিচ্ছেন ৫ লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ জানিয়েছেন, দীর্ঘ বিরতির পর সারাদেশব্যাপী পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোর পরিচালনায় দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব ও কর্মকর্তাদের যথাযথ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যাতে নিরবচ্ছিন্নভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন করা যায়।”

বিজ্ঞাপন

ভর্তি প্রক্রিয়ায় ফিরল পরীক্ষা পদ্ধতি

২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হতো। কিন্তু ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার জিপিএর ভিত্তিতে ভর্তি প্রক্রিয়া চালু হয়। চলতি শিক্ষাবর্ষে আবারও আগের নিয়মে ফিরে গেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বিভাগভিত্তিক কেন্দ্র সংখ্যা

ঢাকা বিভাগে সর্বাধিক ২৪৭টি কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। খুলনায় রয়েছে ১৫৬টি, রাজশাহীতে ১৪৩টি, চট্টগ্রামে ১৩৪টি, রংপুরে ৯৬টি, বরিশালে ৫৯টি এবং সিলেট বিভাগে রয়েছে ৪৪টি কেন্দ্র। সরকারি কলেজ ছাড়াও স্থানীয় কিছু বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে পরীক্ষাকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হবে।

পরীক্ষার ধরন ও মূল্যায়ন পদ্ধতি

ভর্তি পরীক্ষা হবে এক ঘণ্টার এমসিকিউ ভিত্তিক, যেখানে থাকবে ১০০ নম্বরের প্রশ্ন। প্রতিটি সঠিক উত্তরের জন্য ১ নম্বর দেওয়া হবে, তবে ভুল উত্তরের জন্য কোনো নম্বর কাটা হবে না। পাস নম্বর নির্ধারিত হয়েছে ৩৫। চূড়ান্ত মেধাতালিকা তৈরি হবে এমসিকিউ অংশে প্রাপ্ত নম্বর, এসএসসির জিপিএর ৪০ শতাংশ এবং এইচএসসির জিপিএর ৬০ শতাংশ যোগ করে মোট ২০০ নম্বরের ভিত্তিতে।

ভর্তিযোগ্য আসন ও কোটা ব্যবস্থা

বর্তমানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ৮৮১টি কলেজে স্নাতক (সম্মান) কোর্স চালু রয়েছে। এর মধ্যে ২৬৪টি সরকারি ও ৬১৭টি বেসরকারি কলেজ। ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে সম্মান কোর্সে আসন সংখ্যা ছিল ৪ লাখ ৩৬ হাজার ২৮৫টি এবং ডিগ্রি (পাস) কোর্সে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে আসন ছিল ৪ লাখ ২১ হাজার ৯৯০টি।

প্রত্যেক বিষয়ে সর্বোচ্চ ৮টি আসন সংরক্ষিত থাকবে বিভিন্ন কোটার জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩টি, আদিবাসী কোটা ১টি, প্রতিবন্ধী কোটা ১টি এবং পোষ্য কোটা ৩টি।