ঢাকা ০৭:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ০২ জুন ২০২৫, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
৩০ জেলা ও দায়রা জজসহ ২০০ কর্মকর্তার বদলি ও পদোন্নতি ধামরাইয়ে একই পরিবারের ৩ জনের লাশ উদ্ধার, তদন্তে পুলিশ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে গাজায় ভয়াবহ ইসরাইলি হামলা, একদিনে নিহত অর্ধশতাধিক ফিলিস্তিনি বিচার বিভাগের সংস্কারে সহযোগিতা করছে গণমাধ্যম: প্রধান বিচারপতি প্রধান উপদেষ্টার কাছে নতুন নোটের ছবি হস্তান্তর করলেন গভর্নর শান্তি আলোচনার মাঝেও তীব্র ড্রোন হামলায় উত্তপ্ত রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত ইসির জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে তিন হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ নজিরবিহীন লুটপাটে ক্ষতবিক্ষত ব্যাংকিং খাত: অর্থ উপদেষ্টা কেন্দ্রীয় ব্যাংক ছয়টি নতুন নোটের ছবি প্রকাশ করল

তিন দফা দাবিতে আজ থেকে পূর্ণ দিবস কর্মবিরতিতে প্রাথমিক শিক্ষকরা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:৫১:০৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫
  • / 14

ছবি সংগৃহীত

 

 

তিন দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আজ সোমবার (২৬ মে) থেকে পূর্ণ দিবস কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে বলে জানিয়েছে শিক্ষক সংগঠন প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ঐক্য পরিষদ।

বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ গণমাধ্যমকে বলেন, “আমরা দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু এখনো কোনো সুরাহা হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে আজ থেকে পূর্ণ দিবস কর্মবিরতিতে যাচ্ছি।”

এর আগে শিক্ষকরা কয়েক ধাপে কর্মবিরতি পালন করেছেন। ৫ থেকে ১৫ মে পর্যন্ত প্রতিদিন এক ঘণ্টা, ১৬ থেকে ২০ মে পর্যন্ত দুই ঘণ্টা এবং ২১ থেকে ২৫ মে পর্যন্ত অর্ধদিবস কর্মবিরতি করেছেন তারা। কিন্তু তাতেও দাবি পূরণের কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় এবার তারা পূর্ণ দিবস কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

শিক্ষকদের মূল তিনটি দাবি হলো—

এক. কনসালটেশন কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী যৌক্তিক সংস্কারের মাধ্যমে সহকারী শিক্ষক পদকে ‘এন্ট্রি পদ’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে ১১তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ।

দুই. চাকরির ১০ ও ১৬ বছর পূর্ণ হলে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তিতে যে জটিলতা রয়েছে, তা দ্রুত দূরীকরণ।

তিন. প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ পদোন্নতির নিশ্চয়তা ও দ্রুত পদোন্নতি কার্যকর করা।

এছাড়াও শিক্ষকরা আরও কিছু দাবি উত্থাপন করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে শুক্র ও শনিবার বিদ্যালয় বন্ধ রাখার নিশ্চয়তা, এবং প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা যেন শুধুমাত্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়েই অনুষ্ঠিত হয়।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে ৬৫ হাজার ৬২০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় পৌনে চার লাখ সহকারী শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন। শিক্ষকদের এই কর্মবিরতিতে দেশের প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রমে বড় ধরনের প্রভাব পড়তে পারে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

শিক্ষকরা বলছেন, তারা শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে সবসময় অঙ্গীকারবদ্ধ। তবে ন্যায্য অধিকার আদায়ে এই আন্দোলন তারা শান্তিপূর্ণভাবে চালিয়ে যাবেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

তিন দফা দাবিতে আজ থেকে পূর্ণ দিবস কর্মবিরতিতে প্রাথমিক শিক্ষকরা

আপডেট সময় ১১:৫১:০৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫

 

 

তিন দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আজ সোমবার (২৬ মে) থেকে পূর্ণ দিবস কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে বলে জানিয়েছে শিক্ষক সংগঠন প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ঐক্য পরিষদ।

বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ গণমাধ্যমকে বলেন, “আমরা দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু এখনো কোনো সুরাহা হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে আজ থেকে পূর্ণ দিবস কর্মবিরতিতে যাচ্ছি।”

এর আগে শিক্ষকরা কয়েক ধাপে কর্মবিরতি পালন করেছেন। ৫ থেকে ১৫ মে পর্যন্ত প্রতিদিন এক ঘণ্টা, ১৬ থেকে ২০ মে পর্যন্ত দুই ঘণ্টা এবং ২১ থেকে ২৫ মে পর্যন্ত অর্ধদিবস কর্মবিরতি করেছেন তারা। কিন্তু তাতেও দাবি পূরণের কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় এবার তারা পূর্ণ দিবস কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

শিক্ষকদের মূল তিনটি দাবি হলো—

এক. কনসালটেশন কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী যৌক্তিক সংস্কারের মাধ্যমে সহকারী শিক্ষক পদকে ‘এন্ট্রি পদ’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে ১১তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ।

দুই. চাকরির ১০ ও ১৬ বছর পূর্ণ হলে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তিতে যে জটিলতা রয়েছে, তা দ্রুত দূরীকরণ।

তিন. প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ পদোন্নতির নিশ্চয়তা ও দ্রুত পদোন্নতি কার্যকর করা।

এছাড়াও শিক্ষকরা আরও কিছু দাবি উত্থাপন করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে শুক্র ও শনিবার বিদ্যালয় বন্ধ রাখার নিশ্চয়তা, এবং প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা যেন শুধুমাত্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়েই অনুষ্ঠিত হয়।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে ৬৫ হাজার ৬২০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় পৌনে চার লাখ সহকারী শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন। শিক্ষকদের এই কর্মবিরতিতে দেশের প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রমে বড় ধরনের প্রভাব পড়তে পারে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

শিক্ষকরা বলছেন, তারা শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে সবসময় অঙ্গীকারবদ্ধ। তবে ন্যায্য অধিকার আদায়ে এই আন্দোলন তারা শান্তিপূর্ণভাবে চালিয়ে যাবেন।