ঢাকা ০৩:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
গাজীপুরে নাসির হত্যার ঘটনায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য গ্রেপ্তার চট্টগ্রামে ডেঙ্গুর প্রকোপ: একদিনে ৩২ জন আক্রান্ত ভিয়েতনামে পর্যটকবাহী নৌকা ডুবে ৩৪ জনের মৃত্যু গাজায় অনাহারে ৩৫ দিনের শিশুর মৃত্যু, ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ১১৬ ২০ বছর কোমায় থাকার পর সৌদির ‘ঘুমন্ত রাজপুত্র’ মারা গেলেন কুষ্টিয়া সাংবাদিক ইউনিয়ন (কেইউজে) নির্বাহী সভা অনুষ্ঠিত ইরানে ধ/র্ষ/ণে/র দায়ে ৩ ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর শ্রমিকদের কঠোর পরিশ্রম ও অবদানে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই হবে আগামী দিনের লক্ষ্য: জামায়াত আমির মানবাধিকারের পক্ষে থাকুন, ঘেটো বানাবেন না: তথ্য উপদেষ্টা

তিন দফা দাবিতে আজ থেকে পূর্ণ দিবস কর্মবিরতিতে প্রাথমিক শিক্ষকরা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:৫১:০৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫
  • / 52

ছবি সংগৃহীত

 

 

তিন দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আজ সোমবার (২৬ মে) থেকে পূর্ণ দিবস কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে বলে জানিয়েছে শিক্ষক সংগঠন প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ঐক্য পরিষদ।

বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ গণমাধ্যমকে বলেন, “আমরা দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু এখনো কোনো সুরাহা হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে আজ থেকে পূর্ণ দিবস কর্মবিরতিতে যাচ্ছি।”

এর আগে শিক্ষকরা কয়েক ধাপে কর্মবিরতি পালন করেছেন। ৫ থেকে ১৫ মে পর্যন্ত প্রতিদিন এক ঘণ্টা, ১৬ থেকে ২০ মে পর্যন্ত দুই ঘণ্টা এবং ২১ থেকে ২৫ মে পর্যন্ত অর্ধদিবস কর্মবিরতি করেছেন তারা। কিন্তু তাতেও দাবি পূরণের কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় এবার তারা পূর্ণ দিবস কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

শিক্ষকদের মূল তিনটি দাবি হলো—

এক. কনসালটেশন কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী যৌক্তিক সংস্কারের মাধ্যমে সহকারী শিক্ষক পদকে ‘এন্ট্রি পদ’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে ১১তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ।

দুই. চাকরির ১০ ও ১৬ বছর পূর্ণ হলে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তিতে যে জটিলতা রয়েছে, তা দ্রুত দূরীকরণ।

তিন. প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ পদোন্নতির নিশ্চয়তা ও দ্রুত পদোন্নতি কার্যকর করা।

এছাড়াও শিক্ষকরা আরও কিছু দাবি উত্থাপন করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে শুক্র ও শনিবার বিদ্যালয় বন্ধ রাখার নিশ্চয়তা, এবং প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা যেন শুধুমাত্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়েই অনুষ্ঠিত হয়।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে ৬৫ হাজার ৬২০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় পৌনে চার লাখ সহকারী শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন। শিক্ষকদের এই কর্মবিরতিতে দেশের প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রমে বড় ধরনের প্রভাব পড়তে পারে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

শিক্ষকরা বলছেন, তারা শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে সবসময় অঙ্গীকারবদ্ধ। তবে ন্যায্য অধিকার আদায়ে এই আন্দোলন তারা শান্তিপূর্ণভাবে চালিয়ে যাবেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

তিন দফা দাবিতে আজ থেকে পূর্ণ দিবস কর্মবিরতিতে প্রাথমিক শিক্ষকরা

আপডেট সময় ১১:৫১:০৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫

 

 

তিন দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আজ সোমবার (২৬ মে) থেকে পূর্ণ দিবস কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে বলে জানিয়েছে শিক্ষক সংগঠন প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ঐক্য পরিষদ।

বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ গণমাধ্যমকে বলেন, “আমরা দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু এখনো কোনো সুরাহা হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে আজ থেকে পূর্ণ দিবস কর্মবিরতিতে যাচ্ছি।”

এর আগে শিক্ষকরা কয়েক ধাপে কর্মবিরতি পালন করেছেন। ৫ থেকে ১৫ মে পর্যন্ত প্রতিদিন এক ঘণ্টা, ১৬ থেকে ২০ মে পর্যন্ত দুই ঘণ্টা এবং ২১ থেকে ২৫ মে পর্যন্ত অর্ধদিবস কর্মবিরতি করেছেন তারা। কিন্তু তাতেও দাবি পূরণের কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় এবার তারা পূর্ণ দিবস কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

শিক্ষকদের মূল তিনটি দাবি হলো—

এক. কনসালটেশন কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী যৌক্তিক সংস্কারের মাধ্যমে সহকারী শিক্ষক পদকে ‘এন্ট্রি পদ’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে ১১তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ।

দুই. চাকরির ১০ ও ১৬ বছর পূর্ণ হলে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তিতে যে জটিলতা রয়েছে, তা দ্রুত দূরীকরণ।

তিন. প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ পদোন্নতির নিশ্চয়তা ও দ্রুত পদোন্নতি কার্যকর করা।

এছাড়াও শিক্ষকরা আরও কিছু দাবি উত্থাপন করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে শুক্র ও শনিবার বিদ্যালয় বন্ধ রাখার নিশ্চয়তা, এবং প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা যেন শুধুমাত্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়েই অনুষ্ঠিত হয়।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে ৬৫ হাজার ৬২০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় পৌনে চার লাখ সহকারী শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন। শিক্ষকদের এই কর্মবিরতিতে দেশের প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রমে বড় ধরনের প্রভাব পড়তে পারে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

শিক্ষকরা বলছেন, তারা শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে সবসময় অঙ্গীকারবদ্ধ। তবে ন্যায্য অধিকার আদায়ে এই আন্দোলন তারা শান্তিপূর্ণভাবে চালিয়ে যাবেন।