ঢাকা ০৮:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
নিয়ম ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের দুই দিনে ৩,৬২২ মামলা চাঁদপুরে সেরা সাঁতারু বাছাইয়ে ট্যালেন্ট হান্ট অনুষ্ঠিত, অংশগ্রহণ ২ শতাধিক সাঁতারু ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে ছাত্রদল নেতা নিহত, আহত অন্তত ১৫ জন আশুরা আমাদের সত্য ও ন্যায়ের পথে সাহস জোগায়: প্রধান উপদেষ্টা হাতিরঝিলে ‘এগিয়ে বাংলাদেশ’ দৌড় প্রতিযোগিতা, অংশগ্রহণে ৮০০ প্রতিযোগী ইসলামবিরোধী কার্যকলাপে কঠোর অবস্থানের হুঁশিয়ারি খেলাফত আমিরের শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ব্যাটিং ব্যর্থতা, ২৪৯ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ জামালপুরে নগর মাতৃসদনে ভুল চিকিৎসায় এক নবজাতকের মৃত্যু, আটক ২ নার্স দেশে করোনায় ২৪ ঘণ্টায় একজনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ৬ আওয়ামী নেতাদের দমন-পীড়ন ছিল ইয়াজিদ বাহিনীর সমতুল্য: তারেক রহমান

ইউরোপে সর্বোচ্চ অবসরের বয়সের রেকর্ড গড়ছে ডেনমার্ক

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:৪৯:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫
  • / 17

ছবি সংগৃহীত

 

ডেনমার্কে অবসরের বয়স ৭০ বছরে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার। এরইমধ্যে ডেনমার্কের পার্লামেন্টে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব পাশ হয়েছে। ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে এটি হবে সর্বোচ্চ অবসরের বয়সসীমা।

গত বৃহস্পতিবার (২২ মে) পার্লামেন্টে এই আইন পাশ হয়। এতে ৮১ জন সংসদ সদস্য প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেন, আর বিপক্ষে ভোট পড়ে মাত্র ২১টি। ফলে বড় ব্যবধানে নতুন অবসরের বয়স বৃদ্ধির প্রস্তাবটি গৃহীত হয়।

নতুন এই আইন অনুযায়ী, ১৯৭০ সালের ৩১ ডিসেম্বরের পর জন্ম নেওয়া নাগরিকদের ক্ষেত্রেই ৭০ বছর বয়সে অবসরের নিয়ম প্রযোজ্য হবে। বর্তমানে ডেনমার্কে অবসরের বয়স ৬৭ বছর। তবে ১৯৬৭ সালের ১ জানুয়ারি বা তার পরে জন্ম নেওয়া নাগরিকদের ক্ষেত্রে এটি ৬৯ বছর পর্যন্ত যেতে পারে।

পর্যায়ক্রমে অবসরের বয়স বাড়বে বলে জানানো হয়েছে। ২০৩০ সালে এটি ৬৭ থেকে বাড়িয়ে ৬৮ বছর করা হবে, ২০৩৫ সালে ৬৯ এবং ২০৪০ সালে তা পৌঁছাবে ৭০ বছরে। অর্থাৎ, ২০৪০ সাল থেকেই নতুন আইনটি পূর্ণভাবে কার্যকর হবে।

ডেনমার্কের সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশটির বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ৬০ লাখ। যার মধ্যে প্রায় ৭ লাখ ১৩ হাজার নাগরিকের বয়স ৬০ থেকে ৬৯ এর মধ্যে এবং ৫ লাখ ৮০ হাজার নাগরিকের বয়স ৭০ থেকে ৭৯ বছর।

নতুন এই সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে দেশটির কর্মসংস্থানমন্ত্রী অ্যান হ্যালসবো-জর্গেনসেন এক বিবৃতিতে বলেন, “ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কল্যাণ ও টেকসই পেনশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে আমাদের অবসরের বয়স বৃদ্ধি করতে হচ্ছে।”

ডেনমার্কের এই সিদ্ধান্ত ইউরোপজুড়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। অনেকেই এটিকে ভবিষ্যতের কর্মজীবী সমাজের জন্য একটি বাস্তবধর্মী পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন বয়স্কদের দীর্ঘ সময় কাজ করার সক্ষমতা নিয়ে।

তবে সরকার বলছে, গড় আয়ু যেহেতু বাড়ছে, তাই কর্মক্ষম জীবনও দীর্ঘায়িত হচ্ছে। আর সেই বাস্তবতায় সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে দীর্ঘমেয়াদে টেকসই রাখতে এমন উদ্যোগ নেয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ইউরোপে সর্বোচ্চ অবসরের বয়সের রেকর্ড গড়ছে ডেনমার্ক

আপডেট সময় ০৪:৪৯:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

 

ডেনমার্কে অবসরের বয়স ৭০ বছরে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার। এরইমধ্যে ডেনমার্কের পার্লামেন্টে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব পাশ হয়েছে। ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে এটি হবে সর্বোচ্চ অবসরের বয়সসীমা।

গত বৃহস্পতিবার (২২ মে) পার্লামেন্টে এই আইন পাশ হয়। এতে ৮১ জন সংসদ সদস্য প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেন, আর বিপক্ষে ভোট পড়ে মাত্র ২১টি। ফলে বড় ব্যবধানে নতুন অবসরের বয়স বৃদ্ধির প্রস্তাবটি গৃহীত হয়।

নতুন এই আইন অনুযায়ী, ১৯৭০ সালের ৩১ ডিসেম্বরের পর জন্ম নেওয়া নাগরিকদের ক্ষেত্রেই ৭০ বছর বয়সে অবসরের নিয়ম প্রযোজ্য হবে। বর্তমানে ডেনমার্কে অবসরের বয়স ৬৭ বছর। তবে ১৯৬৭ সালের ১ জানুয়ারি বা তার পরে জন্ম নেওয়া নাগরিকদের ক্ষেত্রে এটি ৬৯ বছর পর্যন্ত যেতে পারে।

পর্যায়ক্রমে অবসরের বয়স বাড়বে বলে জানানো হয়েছে। ২০৩০ সালে এটি ৬৭ থেকে বাড়িয়ে ৬৮ বছর করা হবে, ২০৩৫ সালে ৬৯ এবং ২০৪০ সালে তা পৌঁছাবে ৭০ বছরে। অর্থাৎ, ২০৪০ সাল থেকেই নতুন আইনটি পূর্ণভাবে কার্যকর হবে।

ডেনমার্কের সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশটির বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ৬০ লাখ। যার মধ্যে প্রায় ৭ লাখ ১৩ হাজার নাগরিকের বয়স ৬০ থেকে ৬৯ এর মধ্যে এবং ৫ লাখ ৮০ হাজার নাগরিকের বয়স ৭০ থেকে ৭৯ বছর।

নতুন এই সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে দেশটির কর্মসংস্থানমন্ত্রী অ্যান হ্যালসবো-জর্গেনসেন এক বিবৃতিতে বলেন, “ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কল্যাণ ও টেকসই পেনশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে আমাদের অবসরের বয়স বৃদ্ধি করতে হচ্ছে।”

ডেনমার্কের এই সিদ্ধান্ত ইউরোপজুড়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। অনেকেই এটিকে ভবিষ্যতের কর্মজীবী সমাজের জন্য একটি বাস্তবধর্মী পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন বয়স্কদের দীর্ঘ সময় কাজ করার সক্ষমতা নিয়ে।

তবে সরকার বলছে, গড় আয়ু যেহেতু বাড়ছে, তাই কর্মক্ষম জীবনও দীর্ঘায়িত হচ্ছে। আর সেই বাস্তবতায় সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে দীর্ঘমেয়াদে টেকসই রাখতে এমন উদ্যোগ নেয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।