ঢাকা ১২:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
নোয়াখালীতে টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা ও বন্যাসদৃশ্য, চরম ভোগান্তিতে জনজীবন ব্রিকস সদস্য দেশগুলোর ওপর ১০% শুল্ক আরোপের হুমকি ট্রাম্পের শেখ হাসিনার ‘গুলি করার নির্দেশ’ সংক্রান্ত অডিও ফাঁস: প্রতিবেদন বিবিসির বগুড়ায় শ্বশুর ও পুত্রবধূকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা, এলাকায় চাঞ্চল্য তালেবানের শীর্ষ দুই নেতার বিরুদ্ধে আইসিসির গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি ব্রাজিলিয়ানের জোড়া গোলে ফ্লুমিনেন্সিকে হারিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে চেলসি পুতিনের ওপর অসন্তোষ, রাশিয়ার বিরুদ্ধে অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞার ইঙ্গিত ট্রাম্পের তরুণদের হাত ধরেই বদলে যাবে বাংলাদেশ: মির্জা ফখরুল শ্রীলঙ্কায় সিরিজ হাতছাড়া, ইতিহাস গড়ার স্বপ্ন ভাঙলো টাইগারদের বাণিজ্য টানাপোড়েনে স্থবির বেনাপোল বন্দর, কমেছে আমদানি-রফতানি

বৃষ্টিতে ভাসছে বোরো ধান, হতাশায় বগুড়ার কৃষকরা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:০৫:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫
  • / 65

ছবি সংগৃহীত

 

 

চলতি বোরো মৌসুমে অতিবৃষ্টির কারণে বগুড়ার ধুনট উপজেলায় বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা। নিম্নাঞ্চলের অনেক জমিতে পাকা ও আধা পাকা ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। জমিতেই ভেসে যাচ্ছে কৃষকের সোনালি স্বপ্ন। পাকা ধান পানিতে পচে নষ্ট হচ্ছে, আবার কাটা ধান মাড়াই ও শুকানোর সুযোগ না পেয়ে নষ্ট হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকার মাঠে দেখা গেছে, কোথাও পাকা ধান মাটিতে নুয়ে পড়েছে, কোথাও কাটা ধান পানিতে ডুবে আছে। কেউ হাঁটু পানি ঠেলে ধান কাটছেন, কেউ বা ভেজা ধান একত্র করছেন উঁচু স্থানে তুলতে। টানা বৃষ্টির মধ্যেও কৃষকেরা হাল না ছেড়ে চেষ্টা করে যাচ্ছেন কোনোভাবে ধান ঘরে তুলতে। ধান কাটার মৌসুম প্রায় শেষ হলেও এখনো অনেক কৃষকের জমির ধান ঘরে ওঠেনি।

কৃষকেরা বলছেন, একদিকে প্রচণ্ড বৃষ্টি, অন্যদিকে শ্রমিক সংকটে পড়ে তারা দিশেহারা। পানির কারণে জমিতে ঢুকতে চাচ্ছেন না শ্রমিকরা। আবার কষ্ট করে কাটা ধান উঠান কিংবা রাস্তা কোথাও শুকাতে পারছেন না। বাড়ির উঠানেও কাদায় ভরে গেছে। ফলে মাড়াই করা ধান শুকিয়ে ঘরে তোলা হয়ে পড়েছে কঠিন।

স্থানীয় এক কৃষক বলেন, “এই ধান ঘরে তুলতে পারলেই আমাদের বছরের খরচ চলে যেত। এখন যেভাবে পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে, তাতে অনেকটাই ক্ষতি হয়ে গেল। কাটা ধান শুকাতে না পারলে সব পচে যাবে।”

ধুনট উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা নুর নাহার জানান, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় ১৬ হাজার ৭৮৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৯২ শতাংশ জমির ধান কাটা শেষ। তবে কিছু জমিতে বৃষ্টির কারণে পানি জমেছে এবং ধান নুয়ে পড়েছে। ক্ষয়ক্ষতি যেন না বাড়ে, এজন্য কৃষকদের দ্রুত ধান কাটার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, “ফলন এবার ভালো হলেও বৃষ্টির কারণে কিছু জমিতে সমস্যা দেখা দিয়েছে। আমরা মাঠপর্যায়ে কৃষকদের পাশে আছি এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছি।”

ধানে ভালো ফলন ও বাজারে ভালো দাম থাকলেও পরিবেশের বৈরী পরিস্থিতি ও শ্রমিক সংকটে কৃষকের মুখে হাসি নেই। উল্টো চোখেমুখে স্পষ্ট হতাশা কীভাবে ঘরে তুলবেন সোনালি ফসল, সেটাই এখন সবচেয়ে বড় চিন্তা।

নিউজটি শেয়ার করুন

বৃষ্টিতে ভাসছে বোরো ধান, হতাশায় বগুড়ার কৃষকরা

আপডেট সময় ০১:০৫:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

 

 

চলতি বোরো মৌসুমে অতিবৃষ্টির কারণে বগুড়ার ধুনট উপজেলায় বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা। নিম্নাঞ্চলের অনেক জমিতে পাকা ও আধা পাকা ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। জমিতেই ভেসে যাচ্ছে কৃষকের সোনালি স্বপ্ন। পাকা ধান পানিতে পচে নষ্ট হচ্ছে, আবার কাটা ধান মাড়াই ও শুকানোর সুযোগ না পেয়ে নষ্ট হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকার মাঠে দেখা গেছে, কোথাও পাকা ধান মাটিতে নুয়ে পড়েছে, কোথাও কাটা ধান পানিতে ডুবে আছে। কেউ হাঁটু পানি ঠেলে ধান কাটছেন, কেউ বা ভেজা ধান একত্র করছেন উঁচু স্থানে তুলতে। টানা বৃষ্টির মধ্যেও কৃষকেরা হাল না ছেড়ে চেষ্টা করে যাচ্ছেন কোনোভাবে ধান ঘরে তুলতে। ধান কাটার মৌসুম প্রায় শেষ হলেও এখনো অনেক কৃষকের জমির ধান ঘরে ওঠেনি।

কৃষকেরা বলছেন, একদিকে প্রচণ্ড বৃষ্টি, অন্যদিকে শ্রমিক সংকটে পড়ে তারা দিশেহারা। পানির কারণে জমিতে ঢুকতে চাচ্ছেন না শ্রমিকরা। আবার কষ্ট করে কাটা ধান উঠান কিংবা রাস্তা কোথাও শুকাতে পারছেন না। বাড়ির উঠানেও কাদায় ভরে গেছে। ফলে মাড়াই করা ধান শুকিয়ে ঘরে তোলা হয়ে পড়েছে কঠিন।

স্থানীয় এক কৃষক বলেন, “এই ধান ঘরে তুলতে পারলেই আমাদের বছরের খরচ চলে যেত। এখন যেভাবে পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে, তাতে অনেকটাই ক্ষতি হয়ে গেল। কাটা ধান শুকাতে না পারলে সব পচে যাবে।”

ধুনট উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা নুর নাহার জানান, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় ১৬ হাজার ৭৮৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৯২ শতাংশ জমির ধান কাটা শেষ। তবে কিছু জমিতে বৃষ্টির কারণে পানি জমেছে এবং ধান নুয়ে পড়েছে। ক্ষয়ক্ষতি যেন না বাড়ে, এজন্য কৃষকদের দ্রুত ধান কাটার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, “ফলন এবার ভালো হলেও বৃষ্টির কারণে কিছু জমিতে সমস্যা দেখা দিয়েছে। আমরা মাঠপর্যায়ে কৃষকদের পাশে আছি এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছি।”

ধানে ভালো ফলন ও বাজারে ভালো দাম থাকলেও পরিবেশের বৈরী পরিস্থিতি ও শ্রমিক সংকটে কৃষকের মুখে হাসি নেই। উল্টো চোখেমুখে স্পষ্ট হতাশা কীভাবে ঘরে তুলবেন সোনালি ফসল, সেটাই এখন সবচেয়ে বড় চিন্তা।