ঢাকা ১১:১৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
শ্রীলঙ্কায় সিরিজ হাতছাড়া, ইতিহাস গড়ার স্বপ্ন ভাঙলো টাইগারদের বাণিজ্য টানাপোড়েনে স্থবির বেনাপোল বন্দর, কমেছে আমদানি-রফতানি শিল্পে সহযোগিতা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তুরস্কের প্রতিরক্ষা শিল্প সংস্থা প্রধানের সাক্ষাৎ বাংলাদেশের উপর ট্রাম্পের শুল্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বৈঠক আজ ফ্রান্সের মার্সেইয়ে ভয়াবহ দাবানল, আহত অন্তত ১১০ ফেনীতে বন্যা মোকাবিলায় প্রস্তুত প্রশাসন, খুলেছে ১৩১টি আশ্রয়কেন্দ্র ক্ষমতায় থাকার সেই ধরনের কোনো ইচ্ছা আমার নেই: নৌপরিবহন উপদেষ্টা একটি বড় অংশের ভোটার আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে যেতে আগ্রহী নন: মাসুদ কামাল সড়ক ভাঙনের ফলে সকল ধরণের যান চলাচল বন্ধ বন্য হাতির আক্রমণে প্রাণ গেল কৃষকের

বৃষ্টিতে ভাসছে বোরো ধান, হতাশায় বগুড়ার কৃষকরা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:০৫:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫
  • / 64

ছবি সংগৃহীত

 

 

চলতি বোরো মৌসুমে অতিবৃষ্টির কারণে বগুড়ার ধুনট উপজেলায় বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা। নিম্নাঞ্চলের অনেক জমিতে পাকা ও আধা পাকা ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। জমিতেই ভেসে যাচ্ছে কৃষকের সোনালি স্বপ্ন। পাকা ধান পানিতে পচে নষ্ট হচ্ছে, আবার কাটা ধান মাড়াই ও শুকানোর সুযোগ না পেয়ে নষ্ট হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকার মাঠে দেখা গেছে, কোথাও পাকা ধান মাটিতে নুয়ে পড়েছে, কোথাও কাটা ধান পানিতে ডুবে আছে। কেউ হাঁটু পানি ঠেলে ধান কাটছেন, কেউ বা ভেজা ধান একত্র করছেন উঁচু স্থানে তুলতে। টানা বৃষ্টির মধ্যেও কৃষকেরা হাল না ছেড়ে চেষ্টা করে যাচ্ছেন কোনোভাবে ধান ঘরে তুলতে। ধান কাটার মৌসুম প্রায় শেষ হলেও এখনো অনেক কৃষকের জমির ধান ঘরে ওঠেনি।

কৃষকেরা বলছেন, একদিকে প্রচণ্ড বৃষ্টি, অন্যদিকে শ্রমিক সংকটে পড়ে তারা দিশেহারা। পানির কারণে জমিতে ঢুকতে চাচ্ছেন না শ্রমিকরা। আবার কষ্ট করে কাটা ধান উঠান কিংবা রাস্তা কোথাও শুকাতে পারছেন না। বাড়ির উঠানেও কাদায় ভরে গেছে। ফলে মাড়াই করা ধান শুকিয়ে ঘরে তোলা হয়ে পড়েছে কঠিন।

স্থানীয় এক কৃষক বলেন, “এই ধান ঘরে তুলতে পারলেই আমাদের বছরের খরচ চলে যেত। এখন যেভাবে পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে, তাতে অনেকটাই ক্ষতি হয়ে গেল। কাটা ধান শুকাতে না পারলে সব পচে যাবে।”

ধুনট উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা নুর নাহার জানান, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় ১৬ হাজার ৭৮৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৯২ শতাংশ জমির ধান কাটা শেষ। তবে কিছু জমিতে বৃষ্টির কারণে পানি জমেছে এবং ধান নুয়ে পড়েছে। ক্ষয়ক্ষতি যেন না বাড়ে, এজন্য কৃষকদের দ্রুত ধান কাটার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, “ফলন এবার ভালো হলেও বৃষ্টির কারণে কিছু জমিতে সমস্যা দেখা দিয়েছে। আমরা মাঠপর্যায়ে কৃষকদের পাশে আছি এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছি।”

ধানে ভালো ফলন ও বাজারে ভালো দাম থাকলেও পরিবেশের বৈরী পরিস্থিতি ও শ্রমিক সংকটে কৃষকের মুখে হাসি নেই। উল্টো চোখেমুখে স্পষ্ট হতাশা কীভাবে ঘরে তুলবেন সোনালি ফসল, সেটাই এখন সবচেয়ে বড় চিন্তা।

নিউজটি শেয়ার করুন

বৃষ্টিতে ভাসছে বোরো ধান, হতাশায় বগুড়ার কৃষকরা

আপডেট সময় ০১:০৫:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

 

 

চলতি বোরো মৌসুমে অতিবৃষ্টির কারণে বগুড়ার ধুনট উপজেলায় বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা। নিম্নাঞ্চলের অনেক জমিতে পাকা ও আধা পাকা ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। জমিতেই ভেসে যাচ্ছে কৃষকের সোনালি স্বপ্ন। পাকা ধান পানিতে পচে নষ্ট হচ্ছে, আবার কাটা ধান মাড়াই ও শুকানোর সুযোগ না পেয়ে নষ্ট হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকার মাঠে দেখা গেছে, কোথাও পাকা ধান মাটিতে নুয়ে পড়েছে, কোথাও কাটা ধান পানিতে ডুবে আছে। কেউ হাঁটু পানি ঠেলে ধান কাটছেন, কেউ বা ভেজা ধান একত্র করছেন উঁচু স্থানে তুলতে। টানা বৃষ্টির মধ্যেও কৃষকেরা হাল না ছেড়ে চেষ্টা করে যাচ্ছেন কোনোভাবে ধান ঘরে তুলতে। ধান কাটার মৌসুম প্রায় শেষ হলেও এখনো অনেক কৃষকের জমির ধান ঘরে ওঠেনি।

কৃষকেরা বলছেন, একদিকে প্রচণ্ড বৃষ্টি, অন্যদিকে শ্রমিক সংকটে পড়ে তারা দিশেহারা। পানির কারণে জমিতে ঢুকতে চাচ্ছেন না শ্রমিকরা। আবার কষ্ট করে কাটা ধান উঠান কিংবা রাস্তা কোথাও শুকাতে পারছেন না। বাড়ির উঠানেও কাদায় ভরে গেছে। ফলে মাড়াই করা ধান শুকিয়ে ঘরে তোলা হয়ে পড়েছে কঠিন।

স্থানীয় এক কৃষক বলেন, “এই ধান ঘরে তুলতে পারলেই আমাদের বছরের খরচ চলে যেত। এখন যেভাবে পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে, তাতে অনেকটাই ক্ষতি হয়ে গেল। কাটা ধান শুকাতে না পারলে সব পচে যাবে।”

ধুনট উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা নুর নাহার জানান, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় ১৬ হাজার ৭৮৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৯২ শতাংশ জমির ধান কাটা শেষ। তবে কিছু জমিতে বৃষ্টির কারণে পানি জমেছে এবং ধান নুয়ে পড়েছে। ক্ষয়ক্ষতি যেন না বাড়ে, এজন্য কৃষকদের দ্রুত ধান কাটার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, “ফলন এবার ভালো হলেও বৃষ্টির কারণে কিছু জমিতে সমস্যা দেখা দিয়েছে। আমরা মাঠপর্যায়ে কৃষকদের পাশে আছি এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছি।”

ধানে ভালো ফলন ও বাজারে ভালো দাম থাকলেও পরিবেশের বৈরী পরিস্থিতি ও শ্রমিক সংকটে কৃষকের মুখে হাসি নেই। উল্টো চোখেমুখে স্পষ্ট হতাশা কীভাবে ঘরে তুলবেন সোনালি ফসল, সেটাই এখন সবচেয়ে বড় চিন্তা।