ঢাকা ০২:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সনদের প্রাথমিক খসড়া কমিশন তৈরি করেছে সোমবার দলগুলো হাতে পাবে : আলী রীয়াজ নোয়াখালীর এক পুকুর থেকে দুই শিশুর লাশ উদ্ধার ট্রাম্প ও ইব্রাহিমের প্রস্তাবে সম্মত হলেও কম্বোডিয়া-থাইল্যান্ড সীমান্তে মৃত্যু থামছে না সমাজে ছেয়ে গেছে সন্ত্রাস : নাহিদ ইসলাম বার বার ভাঙনে অস্থিত্ব সংকটে অনেক রাজনৈতিক দল ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার অস্ত্রবিরতির আলোচনা ইসরায়েলের হামলা ও অবরোধে গাজায় একদিনেই ৭১ জনের প্রাণহানি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে হেফাজতের বৈঠক: নীতিগত আলোচনা আবহাওয়ার সতর্কতা: ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস আওয়ামী লীগের আমলে ব্যাংকের ৮০ শতাংশ অর্থ পাচার হয়ে গেছে অর্থ উপদেষ্টা

ট্রানজিট সিরিজে লজ্জার হার টাইগারদের, ইতিহাস গড়লো আরব আমিরাত

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:০৫:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫
  • / 22

ছবি সংগৃহীত

 

সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে ৭ উইকেটে হেরে গেছে বাংলাদেশ। শারজাহতে অনুষ্ঠিত উত্তেজনাপূর্ণ এই ম্যাচে শেষ ওভারে জয় তুলে নেয় স্বাগতিকরা। ফলে তিন ম্যাচের সিরিজে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে ইতিহাস গড়েছে আমিরাত।

এই সিরিজ ছিল বাংলাদেশ দলের জন্য ‘ট্রানজিট সিরিজ’। পাকিস্তান সফরের আগে প্রস্তুতির অংশ হিসেবে বিসিবির অনুরোধে এই সিরিজ আয়োজন করে আমিরাত। এমনকি সিরিজে এক ম্যাচ বাড়িয়ে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিও খেলা হয়। কিন্তু বদলে এসেছে হতাশা ও লজ্জা।

বাংলাদেশ প্রথমে ব্যাট করতে নেমে টস হারার পর মাত্র ৫৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চরম বিপর্যয়ে পড়ে। ওপেনার পারভেজ ইমন গোল্ডেন ডাক মারেন। লিটন দাস ১৪, তাওহীদ হৃদয় ০, শেখ মেহেদী ২ ও শামীম পাটোয়ারি ৯ রানে ফেরেন। রিশাদও আউট হন শূন্য রানে। ওপেনার তামিম ইকবাল ১৮ বলে ৪০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেও দলকে বিপদমুক্ত করতে পারেননি। বাংলাদেশ ৭১ রানে হারায় সাত উইকেট।

শেষদিকে জাকের আলী ও হাসান মাহমুদের দৃঢ়তায় কিছুটা লড়াইয়ের পুঁজি পায় বাংলাদেশ। জাকের ৩৪ বলে তিন ছক্কা ও এক চারে ৪১ রান করেন। হাসান মাহমুদ ১৫ বলে তিন ছক্কায় ২৬ রান ও শরিফুল ইসলাম ৭ বলে ১৭ রান যোগ করেন। শেষ ৩ ওভারে আসে ৫৩ রান, যার মধ্যে শেষ ওভার থেকেই আসে ২৬ রান। সবমিলিয়ে বাংলাদেশ করে ১৩৬ রান।

কিন্তু এই রান লড়াইয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। আমিরাত ১৪ রানে প্রথম উইকেট হারালেও এরপর ধীরে ধীরে ম্যাচে ফেরে। ১০.৪ ওভারে ৭৯ রানে তাদের চতুর্থ উইকেট পড়লেও চতুর্থ উইকেটে আলিশান শারাফু ও আসিফ খানের দৃঢ় জুটিতে সহজেই লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে স্বাগতিকরা। আলিশান ৪৭ বলে পাঁচ চার ও তিন ছক্কায় ৬৮ রান করেন। আসিফ খান ২৬ বলে পাঁচ ছক্কায় করেন ৪১ রান।

বাংলাদেশের বোলিং ছিল হতাশাজনক। টি-২০ বিশেষজ্ঞ শেখ মেহেদী ৪ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন। তানজিম সাকিব ৪ ওভারে ৪০ রানে ১ উইকেট নেন, ব্যাট হাতেও কিছু করতে পারেননি। হাসান মাহমুদ ৩.১ ওভারে দেন ৩৩ রান। তুলনামূলকভাবে ভালো করেন শরিফুল ইসলাম, ৪ ওভারে ২৪ রানে নেন ১ উইকেট। রিশাদও ৪ ওভারে ৩২ রানে ১ উইকেট নেন।

এই জয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশকে হারিয়ে প্রথমবার কোনো টেস্ট খেলুড়ে দেশের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের ইতিহাস গড়ল সংযুক্ত আরব আমিরাত। বাংলাদেশের জন্য এটি শুধুই হার নয়, বরং একটি বড় বার্তা প্রস্তুতির নামেও খেললে লড়াইটা দিতে হয় মাঠে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্রানজিট সিরিজে লজ্জার হার টাইগারদের, ইতিহাস গড়লো আরব আমিরাত

আপডেট সময় ১১:০৫:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

 

সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে ৭ উইকেটে হেরে গেছে বাংলাদেশ। শারজাহতে অনুষ্ঠিত উত্তেজনাপূর্ণ এই ম্যাচে শেষ ওভারে জয় তুলে নেয় স্বাগতিকরা। ফলে তিন ম্যাচের সিরিজে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে ইতিহাস গড়েছে আমিরাত।

এই সিরিজ ছিল বাংলাদেশ দলের জন্য ‘ট্রানজিট সিরিজ’। পাকিস্তান সফরের আগে প্রস্তুতির অংশ হিসেবে বিসিবির অনুরোধে এই সিরিজ আয়োজন করে আমিরাত। এমনকি সিরিজে এক ম্যাচ বাড়িয়ে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিও খেলা হয়। কিন্তু বদলে এসেছে হতাশা ও লজ্জা।

বাংলাদেশ প্রথমে ব্যাট করতে নেমে টস হারার পর মাত্র ৫৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চরম বিপর্যয়ে পড়ে। ওপেনার পারভেজ ইমন গোল্ডেন ডাক মারেন। লিটন দাস ১৪, তাওহীদ হৃদয় ০, শেখ মেহেদী ২ ও শামীম পাটোয়ারি ৯ রানে ফেরেন। রিশাদও আউট হন শূন্য রানে। ওপেনার তামিম ইকবাল ১৮ বলে ৪০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেও দলকে বিপদমুক্ত করতে পারেননি। বাংলাদেশ ৭১ রানে হারায় সাত উইকেট।

শেষদিকে জাকের আলী ও হাসান মাহমুদের দৃঢ়তায় কিছুটা লড়াইয়ের পুঁজি পায় বাংলাদেশ। জাকের ৩৪ বলে তিন ছক্কা ও এক চারে ৪১ রান করেন। হাসান মাহমুদ ১৫ বলে তিন ছক্কায় ২৬ রান ও শরিফুল ইসলাম ৭ বলে ১৭ রান যোগ করেন। শেষ ৩ ওভারে আসে ৫৩ রান, যার মধ্যে শেষ ওভার থেকেই আসে ২৬ রান। সবমিলিয়ে বাংলাদেশ করে ১৩৬ রান।

কিন্তু এই রান লড়াইয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। আমিরাত ১৪ রানে প্রথম উইকেট হারালেও এরপর ধীরে ধীরে ম্যাচে ফেরে। ১০.৪ ওভারে ৭৯ রানে তাদের চতুর্থ উইকেট পড়লেও চতুর্থ উইকেটে আলিশান শারাফু ও আসিফ খানের দৃঢ় জুটিতে সহজেই লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে স্বাগতিকরা। আলিশান ৪৭ বলে পাঁচ চার ও তিন ছক্কায় ৬৮ রান করেন। আসিফ খান ২৬ বলে পাঁচ ছক্কায় করেন ৪১ রান।

বাংলাদেশের বোলিং ছিল হতাশাজনক। টি-২০ বিশেষজ্ঞ শেখ মেহেদী ৪ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন। তানজিম সাকিব ৪ ওভারে ৪০ রানে ১ উইকেট নেন, ব্যাট হাতেও কিছু করতে পারেননি। হাসান মাহমুদ ৩.১ ওভারে দেন ৩৩ রান। তুলনামূলকভাবে ভালো করেন শরিফুল ইসলাম, ৪ ওভারে ২৪ রানে নেন ১ উইকেট। রিশাদও ৪ ওভারে ৩২ রানে ১ উইকেট নেন।

এই জয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশকে হারিয়ে প্রথমবার কোনো টেস্ট খেলুড়ে দেশের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের ইতিহাস গড়ল সংযুক্ত আরব আমিরাত। বাংলাদেশের জন্য এটি শুধুই হার নয়, বরং একটি বড় বার্তা প্রস্তুতির নামেও খেললে লড়াইটা দিতে হয় মাঠে।