ঢাকা ০৯:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সাগর-রুনি হত্যা: ১১৮ বারের মতো পেছালো মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ভারতের বিধিনিষেধে আমাদের আত্মনির্ভরতার নতুন দুয়ার খুলছে: আসিফ মাহমুদ অপসারণ নয়, নিজ ইচ্ছাতেই সরে যেতে চান পররাষ্ট্রসচিব: জানালেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সারা দেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ১৫৩৩ জন দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য জরুরি নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি আন্তর্জাতিক মঞ্চে সেরা অভিনেত্রীর মনোনয়ন পেলেন মেহজাবীন অচল সেন্টমার্টিন দ্বীপে দুর্বিষহ জীবন নতুন নোট আসছে বাজারে, সমাধান মিলছে ছেঁড়া টাকার ঝামেলায় শাসনের পথে র‍্যাবকে নতুন উদ্যমে এগিয়ে চলার আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার ইউক্রেনের সুমিতে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, ৬ ইউক্রেনীয় সেনা নিহত

পুলিশের ওপর হামলা করে আসামি ছিনতাই ও হত্যায় জড়িত দুইজন গ্রেপ্তার

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:৫০:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫
  • / 2

ছবি সংগৃহীত

 

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আসামি ছিনিয়ে নিয়ে তাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। মঙ্গলবার ভোরে চট্টগ্রাম মহানগরের রাহাত্তারপুল এলাকা থেকে র‍্যাব-৫-এর একটি দল তাদের গ্রেপ্তার করে। বুধবার সকালে গ্রেপ্তারকৃতদের বাগমারা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন নওগাঁর আত্রাই উপজেলার গোয়ালবাড়ি গ্রামের খোরশেদ আলম (৪৫) ও ভুট্টু প্রামাণিক (৪২)। র‍্যাবের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রাজশাহী ও চট্টগ্রামের র‍্যাব সদস্যরা যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করে। তারা প্রায় এক মাস ধরে রাহাত্তারপুল এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, গত ৪ এপ্রিল বিকেলে বাগমারার রনশিবাড়ি বাজার এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জেরে মাছ ব্যবসায়ী আবদুর রাজ্জাককে কুপিয়ে হত্যা করেন একই গ্রামের তরুণ আমিরুল ইসলাম। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে ধরে একটি বাড়িতে আটক রাখে। রাত আটটার দিকে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানায় নেওয়ার চেষ্টা করলে, স্থানীয়রা বাধা দেয়। একপর্যায়ে উত্তেজিত জনতা পুলিশের ওপর হামলা চালায় এবং আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে প্রকাশ্যেই লাঠি ও ইট দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে।

এ ঘটনায় পুলিশের ছয় সদস্য আহত হন এবং তাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়। পুলিশ পরে সরকারি কাজে বাধা, পুলিশকে মারধর ও আসামি ছিনতাই করে হত্যা করার অভিযোগে বাগমারা থানায় অজ্ঞাতনামা ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে।

ঘটনার পর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং অভিযুক্তরা আত্মগোপনে চলে যায়। র‍্যাব ও পুলিশ যৌথভাবে ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে হামলায় জড়িতদের শনাক্ত করতে থাকে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, গ্রেপ্তারকৃত দুই ব্যক্তি নিহত আমিরুল ইসলামের আশেপাশে ছিলেন এবং তাদের হাতে লাঠি দেখা যায়। পরে তারাই আমিরুলকে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন।

বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম জানান, পুলিশের দায়ের করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে বুধবার দুপুরে আদালতে হাজির করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

পুলিশের ওপর হামলা করে আসামি ছিনতাই ও হত্যায় জড়িত দুইজন গ্রেপ্তার

আপডেট সময় ০২:৫০:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫

 

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আসামি ছিনিয়ে নিয়ে তাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। মঙ্গলবার ভোরে চট্টগ্রাম মহানগরের রাহাত্তারপুল এলাকা থেকে র‍্যাব-৫-এর একটি দল তাদের গ্রেপ্তার করে। বুধবার সকালে গ্রেপ্তারকৃতদের বাগমারা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন নওগাঁর আত্রাই উপজেলার গোয়ালবাড়ি গ্রামের খোরশেদ আলম (৪৫) ও ভুট্টু প্রামাণিক (৪২)। র‍্যাবের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রাজশাহী ও চট্টগ্রামের র‍্যাব সদস্যরা যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করে। তারা প্রায় এক মাস ধরে রাহাত্তারপুল এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, গত ৪ এপ্রিল বিকেলে বাগমারার রনশিবাড়ি বাজার এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জেরে মাছ ব্যবসায়ী আবদুর রাজ্জাককে কুপিয়ে হত্যা করেন একই গ্রামের তরুণ আমিরুল ইসলাম। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে ধরে একটি বাড়িতে আটক রাখে। রাত আটটার দিকে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানায় নেওয়ার চেষ্টা করলে, স্থানীয়রা বাধা দেয়। একপর্যায়ে উত্তেজিত জনতা পুলিশের ওপর হামলা চালায় এবং আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে প্রকাশ্যেই লাঠি ও ইট দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে।

এ ঘটনায় পুলিশের ছয় সদস্য আহত হন এবং তাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়। পুলিশ পরে সরকারি কাজে বাধা, পুলিশকে মারধর ও আসামি ছিনতাই করে হত্যা করার অভিযোগে বাগমারা থানায় অজ্ঞাতনামা ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে।

ঘটনার পর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং অভিযুক্তরা আত্মগোপনে চলে যায়। র‍্যাব ও পুলিশ যৌথভাবে ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে হামলায় জড়িতদের শনাক্ত করতে থাকে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, গ্রেপ্তারকৃত দুই ব্যক্তি নিহত আমিরুল ইসলামের আশেপাশে ছিলেন এবং তাদের হাতে লাঠি দেখা যায়। পরে তারাই আমিরুলকে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন।

বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম জানান, পুলিশের দায়ের করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে বুধবার দুপুরে আদালতে হাজির করা হবে।