কাকরাইলে রাতভর অবস্থান, তিন দফা দাবিতে অনড় জবি শিক্ষার্থীরা

- আপডেট সময় ১১:০৮:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫
- / 4
রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে রাতভর অবস্থান কর্মসূচির পর আজ বৃহস্পতিবার সকালেও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অবস্থান করতে দেখা গেছে। সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত অন্তত অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী সেখানে অবস্থান করছিলেন।
আন্দোলনকারীরা জানান, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা সেখান থেকে সরবেন না। ফলে কাকরাইল মোড় দিয়ে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে, সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট।
ঘটনাস্থলে দায়িত্বরত রমনা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল কাদির জানান, শিক্ষার্থীরা কেউ বসে, কেউ শুয়ে সড়কে অবস্থান করছেন। তাদের কারণে কাকরাইলের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
আন্দোলনকারীরা জানান, গতকাল বুধবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে তিন দফা দাবি আদায়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দিকে লংমার্চ শুরু করেন। কিন্তু তারা দুই দফায় পুলিশের বাধার মুখে পড়েন। দ্বিতীয়বার ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে গেলে পুলিশ টিয়ার গ্যাস, জলকামান, লাঠিচার্জ এবং সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এরপরও বিচ্ছিন্নভাবে অনেক শিক্ষার্থী কাকরাইল মোড়ে অবস্থান নেওয়ার চেষ্টা করেন। পুলিশ পুনরায় লাঠিপেটা ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
রাত ১০টার দিকে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে ঘটনাস্থলে আসেন। কিন্তু কথা বলার আগেই এক শিক্ষার্থী তাঁর মাথায় বোতল ছুড়ে মারেন। এরপর কোনো আলোচনা ছাড়াই তিনি ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
পরে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, “আমি আলোচনার জন্য প্রস্তুত ছিলাম। প্রধান উপদেষ্টা এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে শিগগিরই বৈঠকের সম্ভাবনা আছে। তবে যারা আমার ওপর হামলা করেছে, তারা প্রকৃত আন্দোলনকারী নয়। এই ঘটনার মাধ্যমে তারা বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষকদের অসম্মান করেছে।”
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারীদের তিন দফা দাবি হলো—
এক. ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন না হওয়া পর্যন্ত আবাসন বৃত্তি কার্যকর করা।
দুই. প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কোনো কাটছাঁট না করে অনুমোদন করা।
তিন. বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন দিয়ে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করা।
আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি চলবে।